কোহলির কাছেই হেরে গেল পাকিস্তান
হোয়াট অ্যা ক্রিকেট! হোয়াট অ্যা ম্যাচ! একুশ শতকের সেরা ম্যাচ বললেও বোধ হয় ভুল হবে না। ক্ষণে ক্ষণে ম্যাচের চিত্র্য নাট্য পাল্টেছে। ম্যাচের ভাগ্য যেন পেন্ডুলামের মত দুলছিল। একবার ভারত জিতে যায় তো আরেকবার পাকিস্তান। শেষ পর্যন্ত সব রোমাঞ্চ ছাপিয়ে পাকিস্তানকে হারিয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করল ভারত।
গেল বছর আরব আমিরাতে ১০ উইকেটে হার, তারপর এশিয়া কাপে ৫ উইকেটে হেরে যাওয়া ভারত এবার সব হারের শোধ নিল ৪ উইকেটে জিতে। হাত ছোঁয়া দূরত্বে জয়ের ম্যাচ ফসকে গেল পাকিস্তানের কাছ থেকে। আর ভারতের হয়ে অবিশ্বাস্য সেই কাজ টুকুই করলেন বিরাট কোহলি। শেষ ৩০ বলে ৬০ রান যোগ করে জেতালেন দলকে, আর অপরাজিত থাকলেন তিনিও।
মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে বাবর আজমের দল ৮ উইকেটের বিনিময়ে ১৫৯ রান সংগ্রহ করে। টপ অর্ডার মিডল অর্ডারের ব্যর্থতার দিনে এদিন দলকে সম্মানজনক স্কোর এনে দিয়েছেন ওপেনার শান মাসুদ ও ইফতেখার আহমেদ। এদিন বাবর-রিজওয়ান কেও মেলে ধরতে পারেননি।
জবাবে ভারত শুরুতেই চাপে পড়ে যায়। হারিস রউফ-নাসিম শাহ এর সামনে কুপোকাত দুই ওপেনার লোকেশ রাহুল ও রোহিত শর্মা। এদিন ক্লিক করতে পারেননি ম্যান ইন ব্লুজ দের সবচেয়ে ইনফরম ব্যাটার সুরিয়া কুমার যাদব। ৭ম ওভারে ৪র্থ উইকেটের পতন ঘটলে একেবারেই কোণঠাসা হয়ে পড়ে রোহিত শর্মার দল।
সেখান থেকে দলকে মন্থর গতিতে জয়ের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন বিরাট ও হার্দিক পান্ডে। এক সময় সমীকরণ দাঁড়ায় ১৮ বলে ৪৮ রান। সেখান থেকেই নাটকীয়তার শুরু। শাহিন আফ্রিদির করা ১৮ তম ওভারেই ১৭ রান তুলে ম্যাচের চিত্র্য নাট্য অনেকটাই পাল্টে দেন বিরাট।
হারিসের ১৯তম ওভারের শেষ দুই বলে অবিশ্বাস্য দুইটি ছক্কা মেরে ম্যাচের অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে নেনে বিরাট। তারপর নওয়াজের করা শেষ ওভারে নাটকীয়তার সব নাটক মঞ্চস্ত্য হয়ে রূপকথার নতুন এক উপখ্যান লেখে কিং কোহলি গংরা। কোহলির ব্যাট থেকে আসে ৪৩ বলে ৮২ রান। হার্দিক পান্ডিয়া করেন ৪০ রান।