বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) এলিমিনেটর ম্যাচে খুলনা টাইগার্সকে ৭ রানে হারিয়ে ফাইনালের পথে এগিয়ে গেল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। আগে ব্যাট করতে নেমে চ্যাডউইক ওয়ালটনের ঝড়ো ইনিংসে ১৮৯ রানের বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করায় বন্দরনগরীর দল চট্টগ্রাম। জবাবে শেষ ওভারের নাটকীয়তায় ১৮২ রানে থামে মুশফিকুর রহিমের খুলনা টাইগার্স।
মিরপুরে এলিমিনেটর ম্যাচে আসরের সর্বাধিক রান সংগ্রহে এগিয়ে থাকা উইল জ্যাকসকে ছাড়াই টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নামে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। উদ্বোধনী জুটিতে ব্যাট করতে নেমে রানের খাতা খোলার আগেই সাজ ঘরে ফিরেন ওপেনার জাকির হাসান।
এরপর দ্বিতীয় উইকেটে ব্যাট করতে নেমে তেমন কোন সুবিধা করতে না পারায় মাত্র ৩ রান করেই আউট হন অধিনায়ক আফিফ হোসেন ধ্রুব। শুরুতেই দলীয় ১৬ রানে দুই উইকেট হারানোর ফলে থেমে যায় চট্টগ্রামের রানের চাকা। আরেক ওপেনার কেনার লুইসও ৩২ বলে ৩৯ করে বিদায় নিলে ইনিংসের প্রথম দশ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে মাত্র ৬৬ রান সংগ্রহ করে বন্দরনগরীর দলটি।
এরপরের গল্প শুধু চ্যাডউইক ওয়ালটনে। মেহেদী মিরাজকে সঙ্গে নিয়ে ইনিংসের শেষ দশ ওভারে তান্ডব চালিয়ে ১৩৩ রান তুলেন ওয়ালটন। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৪ বলে ৮৯ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন ক্যারিবিয় এই ব্যাটার। যার ফলে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৮৯ রানে বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করায় বন্দরনগরীর দল চট্টগ্রাম।
জবাবে বিশাল লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই মাহাদী হাসান ও সৌম্য সরকারের উইকেট হারালেও ওপেনার আন্দ্রে ফ্লেচারের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে শুরুটা ভালোই করে খুলনা টাইগার্স। এরপর তৃতীয় উইকেটে অধিনায়ক মুশফিক ও ফ্লেচারের ব্যাটে রান তাঁড়ায় ভালো ভাবেই এগোতে থাকে খুলনা। ২৯ বলে ১ চার ও চার ছয়ে ৪৩ রান করে মুশফিক বিদায় নিলেও শেষদিকে ফ্লেচারকে নিয়ে ব্যাটিং ঝড় তুলেন ইয়াসির আলি।
এরপর ১৯তম ওভারে ২৪ বলে ৪৫ করে ইয়াসির সাজ ঘরে ফিরলে শেষ ওভারে খুলনার প্রয়োজন ১৬ রান। এদিকে চট্টগ্রামের হয়ে শেষ ওভারে অধিনায়ক আফিফ হোসেন বল তুলে দেন সাবেক অধিনায়ক মেহেদী মিরাজের হাতে। শেষ ওভার দুর্দান্ত বল করে খুলনাকে মাত্র ৮ রানেই থামিয়ে দেয় মিরাজ। ফলে জয়ের খুব কাছে গিয়েও মাত্র ৭ রানে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নেয় মুশফিকুর রহিমের খুলনা টাইগার্স।