অ্যাশেজে দ্বিতীয় টেস্টে ইংল্যান্ডকে ২৭৫ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়ে সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে অস্ট্রেলিয়া। গ্যাবার পর অ্যাডিলেড টেস্টেও অজি বোলারদের তোপের মুখে ব্যর্থ ইংলিশ লাইনআপ। দুই ইনিংস ব্যাটিং করেও অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ইনিংসে করা ৪৭৩ রানের সমান করতে পারেনি ইংল্যান্ড। প্রথম ইনিংসে ২৩৬’র পর দ্বিতীয় ইনিংসে তারা থেমেছে ১৯২ রানে।
অস্ট্রেলিয়ার দেয়া ৪৬৮ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে চতুর্থ দিনের শেষ বিকেলের খেলায় ৪ উইকেট হারিয়ে ৮৪ রান সংগ্রহ করেছিল ইংলিশরা। মঙ্গলবার পঞ্চম দিনের খেলায় জয়ের জন্য অস্ট্রেলিয়ার প্রয়োজন মাত্র ৬ উইকেট। আর ইংল্যান্ডের দরকার ৩৮৬ রান।
৩৮৬ রানে পিছিয়ে থেকেও শেষ দিনে ব্যাট করতে নেমে ইংল্যান্ডের আশার বাতি জ্বেলে রাখেন ক্রিস ওকস ও জস বাটলার। ৪৪ রানে রিচার্ডসনের বলে বোল্ড হয়ে ওকস সাজ ঘরে ফিরলে ফের বিপদ বাড়ে ইংল্যান্ডের। এরপর ২৬ রানে বাটলার হিট উইকেট আউট হলে আর রক্ষা মেলেনি সফরকারীদের। অসহায়ের মতো হার মেনে মাঠ ছাড়তে হয় জো রুটের দলকে।
অন্যদিকে ইংলিশদের বিপক্ষে দ্বিতীয় ইনিংসে ৫ উইকেট শিকার করেন অজি পেসার ঝাই রিচার্ডসন। তবে দুই ইনিংসে সেঞ্চুরি আর ফিফটি করে ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতে নিয়েছেন মার্নার্স লাবুশানে।
এর আগে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নামা অস্ট্রেলিয়া প্রথম ইনিংসে সংগ্রহ করেছিল ৪৭৩ রান। শতক হাঁকান মারনাস লাবুশেন। অর্ধশতক হাঁকান ডেভিড ওয়ার্নার, স্টিভ স্মিথ ও অ্যালেক্স ক্যারি। জবাবে ইংল্যান্ড প্রথম ইনিংসে সংগ্রহ করে ২৩৬ রান। অর্ধশতক হাঁকান ডেভিড মালান ও জো রুট।
দ্বিতীয় ইনিংসে ৯ উইকেটে ২৩০ রান তুলে খেলা ছাড়ে অস্ট্রেলিয়া। এতে ৪৬৮ রানের টার্গেট পায় ইংল্যান্ড।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
অস্ট্রেলিয়া: ৪৭৩/৯ ইনিংস ঘোষণা (প্রথম ইনিংস)
লাবুশেন ১০৩, ওয়ার্নার ৯৫, স্মিথ ৯৩, ক্যারি ৫১, স্টার্ক ৩৯*, নেসার ৩৫; স্টোকস ৩/১১৩, অ্যান্ডারসন ২/৫৮।
ইংল্যান্ড: ২৩৬/১০ (প্রথম ইনিংস)
মালান ৮০, রুট ৬২, স্টোকস ৩৪, ওকস ২৪; স্টার্ক ৪/৩৭, লায়ন ৩/৫৮, গ্রীন ২/২৪, নেসার ১/৩৩।
অস্ট্রেলিয়া: ২৩০/৯ (দ্বিতীয় ইনিংস)
হেড ৫১, লাবুশেন ৫১, গ্রীন ৩৩*; রুট ২/২৭, মালান ২/৩৩, রবিনসন ২/৫৪।
ইংল্যান্ড: ১৯২/১০ (দ্বিতীয় ইনিংস)
ওকস ৪৪, বার্নস ৩৪, বাটলার ২৬, রুট ২৪, মালান ২০; ঝাই ৫/৪২।