খেলার মাঠে সবার আগে
Nsports-logo

শনিবার, ২৭শে জুলাই ২০২৪

বায়োবাবল নিয়ে অসন্তুষ্ট শাস্ত্রী

0

বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসের প্রভাব বিস্তারের কারনে সবকিছুই চলছে নিয়মের বেড়াজালে। খেলাধুলা ও চলছে বিশেষ ব্যবস্থায়। কোন দেশ বাইরে সফরে গেলে মানতে হচ্ছে কড়া বিধি নিষেধ। খেলোয়াড়দের বাইরে চলাচলে সীমাবদ্ধতা তো আছেই তার উপর করোনা পরীক্ষার ধকল। সব মিলিয়ে এক কঠিন সময় পার করছে সবাই।

টানা শিডিউল, তার উপর এমন সুরক্ষা বলয় ভারতকে টি- টোয়েন্টি বিশ্বকাপে করেছে নাস্তানাবুদ। অবশেষে সেই কথাটি অকপটে স্বীকার করলেন ভারতের বিদায়ী কোচ রবি শাস্ত্রী। নামিবিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলন অর্থাৎ কোচ হিসেবে নিজের বিদায়ী সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করে বসেন শাস্ত্রী।

ভারত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রথম দুই ম্যাচে পাকিস্তান, নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরে পেছনে পরে যায়। পরের তিন ম্যাচে বিশাল জয় পেলেও সেখান থেকে ফেরত আসতে পারে নি কোহলি বাহিনী। সেমির আশা ভঙ্গ করে বিদায় নেন তারা।

সোমবার নিজেদের শেষ ম্যাচে নামিবিয়ার বিপক্ষে ৯ উইকেটে জয় পাওয়ার পর সংবাদ সম্মেলনে দলের এমন নাজুক পরিস্থিতি প্রসঙ্গে ভারতের সদ্য বিদায়ী হেড কোচ শাস্ত্রী বলেন, ‘একটা জিনিস আমি বলতে চাই, এটা কোন অজুহাত নয়, এটা ফ্যাক্ট। আপনি যখন ছয় মাস বলয়ে থাকবেন, এই দলে অনেক খেলোয়াড় আছে যারা তিন ফরম্যাটে খেলে। গত ২৪ মাসে তারা ২৫ দিনও নিজেদের বাড়িতে থাকেনি। আপনি যেই হোন না কেন, এমনকি আপনার নাম যদি হয় ব্র্যাডম্যান, আপনিও যদি বলয়ে থাকেন, আপনার গড় নিচে নেমে যাবে কারণ আপনিও মানুষ।’

শাস্ত্রির আরো শঙ্কা, বলয়ের এই যন্ত্রণা থাকলে সামনে আরও খারাপ কিছু হতে পারে, ‘এটা এমন কিছু না আপনি পেছন থেকে পেট্রোল দিলেন আর ছেলেরা ছুটে গেল। এটা এভাবে হয় না। আমার মনে হয় এটা কঠিন সময় ছিল। আমি তাই বলি জীবন সেটা নয় যেটা অর্জন করলেন, যেটা পেরিয়ে এলেন সেটা। তারা দেখিয়েছে। যাত্রা এখানে আটকে গেছে, কোন অভিযোগ নেই।’

গত জুন মাসে দেশ ছেড়েছিলেন ভারতীয় খেলোয়াড়েরা। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশীপের ফাইনাল,ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ, আইপিএলের বাকি অংশ, সবশেষে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। টানা ছয় মাস করোনা সুরক্ষা বলয়ের অসহ্য যন্ত্রণা বিশ্বকাপে সেমিতে উঠতে না পারার ব্যার্থতায় বিদায়ী কোচ রবি শাস্ত্রী দোষ দিয়ে গেলেন এই বলয়কে।

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More

Privacy & Cookies Policy