ডাকাতের কবলে মেসির হোটেল
প্যারিসের লো রয়াল মঁসো হোটেল
বার্সেলোনা থেকে গেল আগস্টে পিএসজিতে যাওয়ার পর নতুন বাড়ি খুঁজে না পাওয়ায় কপালে ভাজ পড়েছিল লিওনেল মেসির। পিএসজি’ র সহায়তায় সেই কষ্ট সাময়িক ভাবে লাগব হয়েছিল প্যারিসের এক অভিজাত হোটেলের মধ্য দিয়ে।যতদিন বাড়ি খুঁজে পাবে না ততদিন এই হোটেলেই অবস্থান করবেন।
কিন্তু আশ্চর্যজনক খবর হলো,নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার পরেও সেই হোটেলেই গত বুধবার একদল ডাকাত হানা দিয়ে যায়।
এল এম থার্টি থাকতেন প্যারিসের লো রয়াল মঁসো হোটেলের পঞ্চম তলায়।প্যারিস পুলিশ এর বরাতে ইংলিশ ডেইলি সান বলে,হোটেলের ষষ্ঠ তলার ব্যালকনির খোলা দরজা দিয়ে মুখোশ ধারি একদল ডাকাত ঢুকে পড়ে।ওই তলার কয়েকটি কক্ষতে লুটপাট চালিয়ে টাকা, স্বর্ণা অলঙ্কার আর মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে গেছে। তবে মেসির তলায় আসতে পারেনি তারা।
মেসি-রোকুজ্জু দম্পতির প্রতিরাতের থাকার ভাড়া পড়ত ১৭ হাজার পাউন্ড। বাংলাদেশি টাকায় যা পড়ে প্রায় ২০ লক্ষ টাকার মত।
এত টাকায় একটু শান্তিতে যদি ঘুমটা দিতে পারত সাবেক এই বার্সা তারাকা!
গত মঙ্গলবারেই চ্যাম্পিয়নস লিগে পেপ গার্দিওয়ালার ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে ম্যাচে পিএসজির জার্সিতে প্রথম গোলের দেখা পেয়েছেন এই আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড। আগের চার ম্যাচে গোল না পাওয়ার অপেক্ষার প্রহর ঘুচিয়েছেন সতীর্থ কিলিয়ান এমবাপ্পের দেয়া পাসে চোখভুলানো এক শটে ম্যান সিটির জালে বল জড়িয়ে ।
সবকিছু ছাপিয়ে এই আর্জেন্টাইনকে ভাবাচ্ছে লো রয়াল মাসোঁর নিরাপত্তা নিয়ে। এত এত পাউন্ড গুনে আর অভিজাত্য দিয়ে মনটা একটু শান্তিতে রাখতে চেয়েছিলেন তিনি।
মেসি খুব করে চাইবেন, একটু তাড়াতাড়ি যাতে নতুন বাড়ি পেয়ে এই হোটেল টা ত্যাগ করতে পারেন।এবং এই মানসিক ছাপটা যাতে মাঠে প্রভাব না ফেলে প্যারিসের ৩০ নাম্বার জার্সি গায়ে জ্বলে উঠতে পারেন।