রিয়ালকে মাদ্রিদকে উড়িয়ে দিয়ে ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালে পিএসজি
প্রথমার্ধের ২৪ মিনিটে তিনটি এবং দ্বিতীয়ার্ধে আরও এক গোল। পিএসজির গোছানো আক্রমণাত্মক ফুটবলের সামনে খুঁজেই পাওয়া গেল না মাদ্রিদের ডিফেন্ডারদের।
রিয়ালকে মাদ্রিদকে এক প্রকার উড়িয়ে দিয়ে ৪-০ গোলে ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালে নিজেদের অবস্থান নিশ্চিত করে নিল ইউরোপসেরা পিএসজি।
ভীষণ হতাশার মৌসুমে ট্রফি শূন্যই থাকল রিয়াল। এর বিপরীত অবস্থা পিএসজির।
আরাধ্য চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ের পর এবার লুইস এনরিকের দলের সামনে সুযোগ আরেকটি শিরোপা প্রথমবারের মতো জয়ের।
নিউজার্সির মেটলাইফ স্টেডিয়ামে শুরুতেই রিয়াল মাদ্রিদের ওপর চড়াও প্যারিস সেন্ট জার্মেই।
ফ্যাবিয়ান রুইজ ও আশরাফ হাকিমিকে ঠেকিয়ে দেন মাদ্রিদের কিপার থিবো কোর্তোয়া। তারপর তাদের রক্ষণের ভুলে তিন মিনিটের ব্যবধানে জোড়া গোল হয়।
৬ মিনিটে আসেনসিও বল বিপদমুক্ত করতে পারেননি। দেম্বেলের বল নিয়ে লক্ষ্যে শট নেন। রিয়াল কিপার বল রুখে দিলেও পেয়ে যান রুইজ। সহজেই জালে বল ঠেলে দেন তিনি।
৯ মিনিটে আবারও রক্ষণের ভুল। রুডিগার বলের দখল ধরে রাখতে না পারলে দেম্বেলে একাই বল টেনে নিয়ে বক্সে ঢুকে লক্ষ্যভেদ করেন।
চাপে পড়া রিয়াল ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। বরং ২৪ মিনিটে বক্সের ভেতরে ডানপাশ থেকে আশরাফ হাকিমির পাস ধরে লক্ষ্যভেদ করেন রুইজ।
৩-০ গোলে এগিয়ে থেকে পিএসজি প্রথমার্ধ শেষ করে।
এই সময়ে তারা ১১ শটের মধ্যে ছয়টি রেখেছিল লক্ষ্যে, বিপরীতে চারটির মধ্যে রিয়াল গোলপোস্ট বরাবর শট নিতে পেরেছে একটি।
বলও ৭৬.৫ শতাংশ সময় ছিল প্যারিসিয়ানদের দখলে।
৪৯ মিনিটে পিএসজি আবারও জাল কাঁপায়। কিন্তু দুয়েকে দিয়ে গোল বানানোর সময় অফসাইডে ছিলেন দেম্বেলে। এবং তা বাতিল হয়।
৬৯ মিনিটে গনসালো রামোস ও মায়ুলু পিএসজির ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ পান। কিন্তু প্রথম চেষ্টায় বল বাইরে যায়, পরেরটি রুখে দেন কোর্তোয়া।
সাবেক ক্লাবের বিপক্ষে কিলিয়ান এমবাপ্পে দুয়েকটি সুযোগ পেলেও পোস্টের বাইরে দিয়ে ও ক্রসবারের ওপরে মারেন।
ওদিকে রিয়াল ব্যবধান কমাতে না পারলেও পিএসজি ঠিক চতুর্থ গোলের দেখা পায়। ৮৭ মিনিটে বারকোলার বানিয়ে দেওয়া বলে বদলি খেলোয়াড় রামোস জালে বল জড়ান।
আগামী রবিবার হবে ফাইনাল। যেখানে আগে থেকে অপেক্ষা করে আছে ছয়বারের ইংলিশ চ্যাম্পিয়ন চেলসি।
চলতি বিশ্বকাপে এনিয়ে তৃতীয় ম্যাচে প্রতিপক্ষকে চার গোল দিলো পিএসজি।
রিয়ালের নগরপ্রতিদ্বন্দ্বী অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদকেও একই স্কোরে হারিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করেছিল লুইস এনরিকের শিষ্যরা।
শেষ ষোলোতে লিওনেল মেসির ইন্টার মায়ামিকেও চার গোল দেয় ফরাসি চ্যাম্পিয়নরা।
চেলসির মুখোমুখি হওয়া নিয়ে ম্যাচসেরা রুইজ বললেন,
‘এটা কঠিন হবে। কারণ তারা এই টুর্নামেন্টে ভালো করছে। তারা ভালো দল। তবে আমরা জিততে চাই এবং সম্ভাব্য সেরা উপায়ে মৌসুম শেষ করার লক্ষ্য থাকবে আমাদের।’