ভারতের ট্রফির জেতার দিন অবসর ঘোষণা বিরাট কোহলির
টি-২০ বিশ্বকাপ জিতেই এই ফরম্যাট থেকে অবসর ঘোষণা করেছেন বিরাট কোহলি।বর্ণাঢ্য এই ক্যারিয়ারে সবকিছুই অর্জন করেছে কোহলি।টি-২০ ফরম্যাট থেকে অবসর নেওয়ার জন্য এর চেয়ে ভালো মঞ্চ হয়তো আর কিছু হতেই পারে না।প্লেয়ার অব দ্য ফাইনাল নির্বাচিত হয়েই এই ফরম্যাট থেকে অবসরের কথা জানান তিনি।
দীর্ঘ দিন পর ট্রফির খরা কাটলো ভারতের।২০০৭ সালে টি-২০ সংস্করণের প্রথম আসরে ট্রফি জিতেছিল ভারত।মাঝখানে দীর্ঘদিন ট্রফি খরায় ভুগেছিলো তারা।তবে অবশেষে এইবারের টি-২০ বিশ্বকাপ আসরেই কোহলি-রোহিতদের হাত ধরেই ট্রফি ঘরে তুলে ভারত।
এই বিশ্বকাপে নিজের ছায়া হয়েই ছিলো বিরাট কোহলি।প্রথম ৬ ম্যাচে করেন মাত্র ৭৫ রান।তবে ভারতের কাপ্তান ও ম্যানেজমেন্ট তার উপর আস্থা হারায়নি একটুও।তাদের সে আস্থার প্রতিদান ঠিকই দিয়েছেন বিরাট কোহলি।
ফাইনালে ভারত যখন একের পর এক উইকেট হারিয়ে চাপে পড়েছিল ঠিক তখনই ভারতীয়দের হাল ধরেন বিরাট কোহলি।ফাইনালে ৭৬ রানের এক দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন ভারতীয় এই সেরা ব্যাটার।ম্যাচ শেষে প্লেয়ার অব দ্য ফাইনালও নির্বাচিত হন তিনি।
কোহলি ম্যাচের সেরার পুরস্কার নিতে এসে বলেন, “এটাই আমার শেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ছিল। ঠিক যেটা অর্জন করতে চেয়েছিলাম সেটাই করেছি। মাঝে মাঝে এটা মনে হয় যে আপনি হয়তো রান পাচ্ছেন না। তার পরেই একটা বড় রান চলে আসে। আসলে আমার কাছে ব্যাপারটা ছিল, হয় এখন, না হলে কখনও নয়।
তখনও কোহলি পরিষ্কার করে ইঙ্গিত দেননি যে তিনি টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নিচ্ছেন। সঞ্চালক ভোগলে আবার সেই প্রশ্ন করেন। কোহলি বলেন, “এটাই ভারতীয় দলের হয়ে আমার শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ ছিল। আমরা বিশ্বকাপ জিততে চেয়েছিলাম। জোর করে কোনও পরিস্থিতি তৈরি করার থেকে পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া উচিত। সবাই জানত এর পরে কী হতে চলেছে। এটাই সময় নতুন প্রজন্মের হাতে দায়িত্ব তুলে দেওয়ার। অসাধারণ সব ক্রিকেটার রয়েছে দলে। ওরাই দলকে সঠিক পথে এগিয়ে নিয়ে যাবে এবং দলকে আরও উঁচুতে তুলবে।
টি-টোয়েন্টিতে ১২৫টি ম্যাচ খেলেছেন কোহলি। ৪৮.৬৯ গড়ে ৪১৮৮ রান করেছেন। একটি শতরান করেছেন। সেটি এসেছিল গত বছর এশিয়া কাপে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে। এ ছাড়া কোহলির ৩৮টি অর্ধশতরান রয়েছে। হারারে-তে জ়িম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে ২০১০ সালে টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক হয়েছিল তাঁর। ঘটনাচক্রে, কোহলির অবসরের পর আবার বিশ্বকাপ সফরে যাবে ভারত। সেই সফরে নির্বাচিত করা হয়েছে তরুণ প্রজন্মকেই। যেমন ভাবে নেওয়া হয়েছিল কোহলিকে।