প্রোটিয়াদের বিপক্ষে জয় দিয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজ শুরু বাংলাদেশের
দিন কয়েক আগেই দক্ষিণ আফ্রিকা অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে জিতেছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। এবার প্রোটিয়াদের বিপক্ষে জয় দিয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজ শুরু করেছে বাংলার যুবারা।
ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দ্রুত উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়েছিল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। একশ রান করার আগেই ৮ উইকেট হারিয়ে হারের শঙ্কায়ও পড়েছিল বাংলাদেশের যুবারা।
তবে দলের বিপদে হাল ধরেন সামিউন বশির। তার অপরাজিত ৪৫ রানের সুবাদে এক উইকেটের জয় পেয়েছে টাইগাররা।
এই জয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজে শুভ সূচনা করল বাংলাদেশ।
হারারেতে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে ৩৪ ওভার ৪ বলে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১২৮ রান করে দক্ষিণ আফ্রিকা।
দলের হয়ে সর্বোচ্চ ২৮ রান করেছেন আরমান মানাক। বাংলাদেশের হয়ে ৩২ রানে ৪ উইকেট শিকার করেছেন আল ফাহাদ।
জবাবে খেলতে নেমে ২৮ ওভার ৪ বলে ৯ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ।
১২৯ রানের জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে প্রথম ওভারেই চার-ছক্কা হাঁকিয়ে আক্রমণাত্মক শুরুর আভাস দেন জাওয়াদ আহমেদ।
তবে ইনফর্ম এই ওপেনার পরের ওভারেই সাজঘরে ফেরেন। ৯ বলে ২০ রান করেছেন তিনি।
এরপর রিফাত বেগ, রিজান হোসেন ও আজিজুল তামিম দ্রুত ফেরায় বিপাকে পড়ে দল।
মিডল অর্ডারে মোহাম্মদ আবদুল্লাহ-ফরিদ হাসানরা চেষ্টা করেছেন দলকে টেনে তোলার। তবে বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। তাতে ৫৯ রানে ৬ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।।
সপ্তম উইকেট জুটিতে আল ফাহাদকে সঙ্গে নিয়ে ৩১ রানের জুটি গড়েন সামিউন। তাতে ম্যাচে ফেরে বাংলাদেশ।
তবে এরপর দেবাশীষ দেবা ও ইকবাল ইমন দ্রুত ফেরায় আবারো হারের শঙ্কায় পড়ে দল।
তবে শেষ পর্যন্ত উইকেটে থেকে ৪৫ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন সামিউন। দায়িত্ব নিয়ে এক প্রান্ত আগলে রেখে ব্যাটিং করে দলের জয় নিশ্চিত করেছেন এই মিডল অর্ডার ব্যাটার।
এর আগে নতুন বলে রীতিমতো আগুন ঝরিয়েছেন আল ফাহাদ। ডানহাতি এই পেসারকে সামলাতে রীতিমতো চোখে সর্ষে ফুল দেখেছেন প্রোটিয়া ব্যাটাররা।
ইনিংসের পঞ্চম ওভারে বাংলাদেশকে প্রথম ব্রেকথ্রু এনে দেন ফাহাদ। আদনান ল্যাঙ্গদিনকে ৭ রানে ফিরিয়ে ১৯ রানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন এই পেসার।
একই ওভারে আরেক ওপেনার জুরিখ ফন স্কালভিককেও ফিরিয়েছেন ফাহাদ। ইনফর্ম এই ওপেনার ১৫ বলে করেছেন ১০ রান।
পরের ওভারে উইকেট পার্টিতে যোগ দেন আরেক পেসার ইকবাল হোসেন ইমন। চারে নামা জেসন রোলসকে বোল্ড করেছেন তিনি।
৪ রান করে রোলস ফেরায় ২৫ রান তুলতেই টপ অর্ডারের তিন ব্যাটারকে হারায় প্রোটিয়ারা।
এই ধ্বংসস্তুপ থেকে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে দ্রুতই অলআউট হয় প্রোটিয়ারা।
মাঝে পল জেমস-আমান মানাকরা চেষ্টা করেছেন ইনিংস লম্বা করার। তবে দুজনই থেমেছেন বিশের ঘরে।