জোন্সের ১০ ছক্কার ঝড়ে বিশ্বকাপে বড় জয় যুক্তরাষ্ট্রের
আইসিসির দুই সহযোগী দেশের ম্যাচ দিয়ে পর্দা উঠেছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসরের। তাতে প্রথম রেকর্ড জয়ে বিশ্বকাপ শুরু করেছে স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্র। ডলাসে উদ্বোধনী ম্যাচে টস হেরে আগে ব্যাট করে ঢালিওয়াল ও অ্যারন জনসনের ফিফটিতে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৯৪ রান সংগ্রহ করে কানাডা, যা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ। জবাবে ১৪ বল ও ৭ উইকেট হাতে রেখেই জয় তুলে নিয়েছে বাংলাদেশকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়ে উড়ন্ত ফর্মে থাকে যুক্তরাষ্ট্র।
যুক্তরাষ্ট্রের এই জয়ে বিশ্বকাপের অভিষেক ম্যাচে জয়সহ তছনছ হয়ে গেছে একঝাঁক রেকর্ড। কারণ, এর আগে ২০১৪ আসরে প্রথমবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলতে নেমে ১৯৩ রান তুলেছিল নেদারল্যান্ডস। রবিবার ( ২ জুন) অভিষেক কোনো দলের সেই রেকর্ড ভেঙে কানাডা তোলে ১৯৪ রান। লক্ষ্য তাড়ায় যুক্তরাষ্ট্রকে ইতিহাস গড়তে হতো। কারণ এর আগে তাদের সর্বোচ্চ ১৬৯ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড ছিল। কিন্তু দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ম্যাচটি শেষ পর্যন্তই নিজেদের করে নিলেন জোন্সরা।
১৯৫ রানের বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্রের। ডাক মেরে সাজঘরে ফিরে যান ওপেনার স্টিভেন টেইলর। এরপর অ্যান্ড্রিস গউস ও অধিনায়ক মোনাঙ্ক প্যাটেল মিলে ৪২ রানের জুটি গড়ে শুরুর ধাক্কা সামাল দেন। ১৬ বলে ১৬ রান করে আউট হন মোনাঙ্ক।
তার বিদায়ের পর ক্রিজে আসা অ্যারন জন্সকে সঙ্গে নিয়ে মারমুখী ব্যাটিং করতে থাকেন গউস। আগ্রাসী ব্যাট চালিয়ে ফিফটি তুলে নেন এই দুই ব্যাটার। গড়েন ১৩১ রানের জুটি। দলীয় ১৭৩ রানে ৪৬ বলে ৬৫ রান করে গউস সাজঘরে ফিরলে ভাঙে এই জুটি। তবে থামেনি অ্যারন জন্সের ব্যাট। নিজের ব্যাটকে তরবারি বানিয়ে প্রতিপক্ষের বোলারদের কচুকাটা করে শেষপর্যন্ত ৪০ বলে ৯৪ রানের অপরাজিত ঝড়ো ইনিংসে খেলেন। তার ইনিংসে ভর করে ১৪ বলে হাতে রেখেই ৭ উইকেটের জয় তুলে নে যুক্তরাষ্ট্র।
এর আগে, টস হেরে ব্যাট করতে নেমে কানাডাকে ভালো শুরু এনে দেন দুই ওপেনার অ্যারন জনসন ও নাভনিত ঢালিওয়াল। ৪৩ রান সংগ্রহ করেন এই দুই ওপেনার। ১৬ বলে ২৩ রান করে জনসন আউট হলেও মারমুখী ব্যাটিংয়ে হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন নাভনিত।
এছাড়াও ফিফটির পেয়েছেন নিকোলাস ক্রিস্টনও। এই দুই ব্যাটারের ফিফিটিতে ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৯৪ রান সংগ্রহ করে কানাডা। নাভনিত ৪৪ বলে ৬১ ও ক্রিস্টন ৩১ বলে ৫১ রান করেন। এছাড়া ১৬ বলে ৩২ রানে অপরাজিত থাকেন শ্রেয়াস।