অস্ট্রেলিয়াকে ২য় টি-টোয়েন্টিতে ৫ উইকেট হারিয়ে সিরিজ জয়ের খুব কাছে চলে গেলো স্বাগতিক বাংলাদেশ।
মিরপুরে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় সফরকারী অষ্ট্রেলিয়া। ইনিংসের ৩য় ওভারের ৩য় বলে দলীয় ১৩ রানে সাজঘরে ফেরেন ওপেনার অ্যালেক্স ক্যারি৷ আরেক ওপেনার জশ ফিলিপ কে দলীয় ৩১ রানে বোল্ড করেন মোস্তাফিজুর রহমান। ফিলিপ করেন ১০ রান। এরপর দেখেশুনে খেলে সফরকারীরা।
দুই ব্যাটসম্যান মিচেল মার্শ এবং হেনরিকস ৩য় উইকেট জুটিতে যোগ করেন ৩৭(৫২) রান। হেনরিকস ব্যক্তিগত ৩০(২৫) রানে সাকিবের বলে বোল্ড হন। মিচেল মার্শ দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৫(৪২) রান করেন। ওয়েড ৪(৭), টার্নার ৩(৭), অ্যাগার ০(১) করে আউট হন৷ শেষদিকে স্টার্ক ১৩*(১০) এবং টাই ৩*(৩) রানে অপরাজিত থাকে। নির্ধারিত ২০ ওভারে অজিদের স্কোরবোর্ডে জমা হয় ১২১/৭ রান। বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট শিকার করেন মোস্তাফিজ। ২ টি উইকেট নেন শরিফুল। এছাড়া ১ টি করে উইকেট পান সাকিব এবং মেহেদী।
১২২ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের ৩য় ওভারের ২য় বলে রানের খাতা খোলার আগেই সৌম্যকে দলীয় ৯ রানে সাজঘরে ফেরান স্টার্ক। ক্রিজে থিতু হয়েও বড় ইনিংস খেলতে পারেননি আরেক ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম৷ ১৩ বলে ৯ রান করে হ্যাজলউডের বলে বোল্ড হন তিনি। তবে এরপর দেখেশুনে খেলে স্বাগতিকরা। দুই ব্যাটসম্যান সাকিব এবং মাহেদী ৩য় উইকেট জুটিতে যোগ করেন ৩৭(৩২) রান। ব্যক্তিগত ২৬(১৭) রানে টাই এর বলে বোল্ড হন সাকিব৷ মাহেদী করেন ২৩(২৪) রান। অধিনায়ক রিয়াদ রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফেরেন।
৬৭ রানে ৫ উইকেট পতনের পর ম্যাচের হাল ধরেন আফিফ এবং সোহান৷ দুজন দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে মাঠ ছাড়েন। ৫ বাউন্ডারি, ১ ওভার বাউন্ডারিতে আফিফ খেলেন ৩১ বলে ৩৭* রানের ম্যাচ জয়ী ইনিংস। অন্যপ্রান্তে থাকা সোহান করেন ২২*(২১) রান৷ ৬ষ্ঠ উইকেটে দুজন যোগ করেন ৫৬*(৪৪) রান। শেষ পর্যন্ত ৫ উইকেটের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ। অজিদের হয়ে হ্যাজলউড, স্টার্ক, জাম্পা, টাই এবং অ্যাগার প্রত্যেকেই ১ টি করে উইকেট শিকার করেন। এই জয়ে ৫ ম্যাচ সিরিজে ২-০ তে এগিয়ে গেল টাইগাররা।
সিরিজের পরের ম্যাচ ৬ আগস্ট।