সিরিজ হারা মানে সবকিছু হারা নয়
বাংলার টাইগারদের ১ম টেষ্টে ব্যাটিংয়ে বাজিমাত তো ২য় টেস্টে ভরাডুবি। ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে লংকানদের দুই সময়ে দুই রুপ। ব্যাটিং-বোলিং দুইয়েই সফল তারা। বাংলাদেশ হারলো সিরিজ। লড়াই করতে পারলো না শেষ টেস্টে। এর জন্য টসকেই বড় ফ্যাক্টর মনে করছেন অধিনায়ক মুমিনুল-
“এই উইকেটে আগে ব্যাটিং করা গেলে গল্পটা অন্য রকম হতে পারত। আজ হয়তো ওরা আমাদের জায়গায় থাকত। আমরা ওদের জায়গায় থাকতাম। এসব উইকেটে খুব বেশি স্পিনার লাগে না। দুজন স্পিনারই যথেষ্ট।”
২০৯ রানের বড় হার। এর পেছনে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে যেমন দায়িত্বশীলতার পরিচয় ছিলো না সাথে ছিলো না ফিল্ডিংয়ে। বোলিংয়েও ছিলো না তেমন ধার। সেকেন্ড ইনিংসে তাইজুলের ৫ উইকেট লংকান ব্যাটারদের তাড়াহুড়োর দান। জয়াবিক্রমা-মেন্ডিসরা টাইগার ব্যাটসম্যানদের করিয়েছে ভুল , যার জন্যে দিতে হলো মাশুল। তবে মুমিনুল বলছেন ভিন্ন কথা নতুন বোলারকে নিয়ে কিনা ধারণা থাকে কম।
“নতুন এলে একটা সুবিধা থাকে। এটা আমার ক্ষেত্রেও ছিল। নতুন যারা আসে, প্রথম এক-দুই ইনিংস তাদের ক্ষেত্রে একটু ধারণা কম থাকে। আমরা এই টেস্টটি প্রথম ইনিংসেই ২৫০ রানে গুটিয়ে গিয়ে গেরে গিয়েছি। আমাদের আরও ভালো ব্যাটিং করা উচিত ছিল।”
সিরিজ হেরেছে, টেষ্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পয়েন্ট তালিকার তলানিতে থেকে শেষ করেছে। তবে সব কিছুর বাইরে এই সিরিজে মুমিনুলদের প্রাপ্তির খাতাও যে কম নয়।
সিরিজ হেরেছি, তার মানে এই না যে সবকিছু হেরে গিয়েছি
-মুমিনুল হক
“সিরিজ হেরেছি, তার মানে এই না যে সবকিছু হেরে গিয়েছি। আমি জানি, সমালোচনা হবে। এর ভেতরেও অনেক ইতিবাচক দিক আছে। আমি চাচ্ছিলাম দলগতভাবে খেলাটা খেলব। প্রথম টেস্টের ব্যাটিংয়ে সেটি হয়েছে। সবশেষ দু–তিনটা টেস্টে তো তেমন কিছু হয়নি। আমরা তখনই ভালো খেলি, যখন সম্মিলিতভাবে ভালো খেলি। তামিম ভাইয়ের দুইটা ৯০ আছে, একটা ৭০ আছে। শান্তর (নাজমুল হোসেন) ১৬০ আছে। মুশফিক ভাই, লিটনের ফিফটি আছে। আমাদের কোনো পেসার ওইভাবে কিছু করতে পারছিল না। সেদিক থেকে তাসকিন আগের চেয়ে অনেক উন্নতি করেছে। আমার কাছে মনে হয় এই সিরিজে অনেক প্রাপ্তি, ইতিবাচকতা আছে।”
ম্যাচ কিংবা সিরিজ হেরে ইতিবাচক দিক খোজা দোষের কিছু নয়। তবে টেষ্ট ক্রিকেটে হারের চক্রে ঘুরতে থাকা বাংলাদেশ কবে এ থেকে বেরিয়ে আসবে এটিওযে এখন বড় এক প্রশ্ন।
আনোয়ার কানন, এন স্পোর্টস।