খেলার মাঠে সবার আগে
Nsports-logo

বুধবার, ৩০শে জুলাই ২০২৫

পাকিস্তান সিরিজে টিকিট বিক্রি থেকে কত আয় হলো বিসিবির?

পাকিস্তানের বিপক্ষে সদ্য সমাপ্ত সিরিজের প্রতিটি ম্যাচেই গ্যালারি ছিল দর্শকে ঠাসা। ফলে টিকিট বিক্রি থেকে বেশ বড় অঙ্কের আয় হওয়ার কথা বিসিবির।
তবে ঠিক কত টাকার টিকিট বিক্রি হয়েছে আনুষ্ঠানিকভাবে সে বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত কিছু জানা যায়নি।

পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ২-১ ব্যবধানে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। লম্বা সময় পর প্রত্যাবর্তনটা বেশ ভালোই হলো হোম অব ক্রিকেটের।

পুরনো রূপ, পুরনো উন্মাদনা। মাঠের পারফরম্যান্সে ষোলোকলা পূরণ হয়েছে দর্শকদেরও।

বিপিএলের পর এই আন্তর্জাতিক সিরিজেরও টিকিট বিক্রি হলো অনলাইনে। এ নিয়ে অসন্তুষ্টি থাকলেও লাগামে ছিল কালোবাজারিদের দৌরাত্ম্য।
স্টেডিয়াম চত্বরে কালোবাজারে বিক্রি হওয়া বেশিরভাগ টিকিটই ছিল বিসিবির সৌজন্য খাতের।
 
প্রতি ম্যাচের ৩০ শতাংশ টিকিট বরাদ্দ ছিল স্পন্সর ও সৌজন্য খাতে। ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, ক্রীড়া পরিষদ সহ, ক্লাব, পৃষ্ঠপোষকরাও পায় বিনামূল্যের টিকিট।
সেসবই হাত ঘুরে গেছে কালোবাজারিদের হাতে। সৌজন্য খাতে লাগাম টানা গেলে, দর্শকদের জন্য যেমন বাড়বে বরাদ্দ, তেমনি কমবে ব্ল্যাকারদের আধিপত্য।

তবে তা সত্ত্বেও পাকিস্তান সিরিজের টিকেট খাত থেকে ভালো আয় করেছে বিসিবি।
গুঞ্জন রয়েছে, পাকিস্তানের বিপক্ষে সদ্য সমাপ্ত সিরিজে ৩ কোটি টাকার মতো টিকিট বিক্রি করেছে বিসিবি।

তিন ম্যাচের প্রতিটিতে, ইস্টার্ন-নর্দান স্ট্যান্ড ছিল সোল্ড আউট। শেষ ম্যাচে ক্লাব হাউজ, গ্র্যান্ড স্ট্যান্ড আর ইন্টারন্যাশনাল লাউঞ্জের কিছু আসন ছিল অবিক্রিত।
ম্যাচ প্রতি প্রায় ৯০ লাখ টাকার টিকিট বিক্রি করেছে বিসিবি। সংখ্যাটা আরও বাড়ার সম্ভাবনাও আছে।
সে হিসেবে ৩ ম্যাচ সিরিজে বিসিবির আয় ২ কোটি ৭০ লাখ টাকার বেশি।
নিয়মানুযায়ী এই খাতের ১৫ শতাংশের মালিক জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। সে হিসেবে তাদের প্রাপ্য ম্যাচপ্রতি প্রায় ৬ লাখ টাকা।
পাকিস্তান সিরিজে টিকিট বিক্রি থেকে কত আয় হলো বিসিবির?

বিষয়টির সত্যতা জানতে বিসিবির একজন পরিচালকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তিনি বলেন,

‘এখনো ফাইনাল কোনো কিছু হয়নি। নিশ্চিত হলে জানাতে পারব।’

তিনি আরও বলেন,

‘কে কি আগেই বলে দিয়েছে এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না। আমি জানবো কখন, যখন বোর্ডের কাগজে আসবে, মিটিংয়ে বলা হবে। এখন হিসাব চলছে। কতগুলো টিকিট কমপ্লিমেন্টারি ছিল, অফলাইনে কেমন বিক্রি হয়েছে সব হিসাব শেষে অডিট করার পর চূড়ান্ত হিসাব পাওয়া যাবে। টিকিট কমিটি এখনো কিছু সাবমিট করেনি।’

সিরিজের শেষ ম্যাচ থেকে পাওয়া টিকিট বিক্রির অর্থের পুরোটা মাইলস্টোন দুর্ঘটনায় আহতদের চিকিৎসায় দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে বিসিবি।
এনএসসির অংশ, টিকিট ছাপানোর খরচ বাদে লভ্যাংশ সেই খাতে দেবে ক্রিকেট বোর্ড।

পাকিস্তান সিরিজ শেষে আপাতত বিশ্রামে ক্রিকেটাররা।
এশিয়া কাপের আগে কোনো আন্তর্জাতিক সিরিজ না থাকলেও আয়ারল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস বা নেপালের সাথে সিরিজ আয়োজনের জন্য বিসিবি চেষ্টা করবে বলে জানা গেছে।

অবশ্য সবকিছু এখনও আলোচনার পর্যায়েই আছে।
সময় স্বল্পতার কারণে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেয়া সম্ভব না হলে আলোর মুখ না-ও দেখতে পারে কোনো সিরিজ।

সেক্ষেত্রে লম্বা সময়ের জন্য ক্রিকেটাররা একটি স্কিল এবং ফিটনেস ক্যাম্পও করতে পারে বলে জানা গেছে। এ নিয়ে বিসিবির একাধিক পরিচালকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়।

সবমিলিয়ে বলা যায়, একটি টি-টোয়েন্টি সিরিজ আয়োজনের চেষ্টা করছে বিসিবি।

শেষ পর্যন্ত তাতে সফল না হলে ক্রিকেটারদের নিয়ে ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হবে।

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More

Privacy & Cookies Policy