টেস্টের পর টি-টোয়েন্টি সিরিজও হারল বাংলাদেশ
লিটন-আফিফের ব্যাটে লড়াকু পুঁজি, বল হাতে শুরুতে উইন্ডিজকে চেপে ধরেও শেষ পর্যন্ত ম্যাচ বাঁচাতে পারলো না বাংলাদেশ। সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে ৫ উইকেটে হারে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল। ফলে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ০-২ ব্যবধানে বিধ্বস্ত হওয়ার পর টি-টোয়েন্টি সিরিজেও ২-০ ব্যবধানে সিরিজ হারে টাইগাররা।
তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে প্রথম ম্যাচ বৃষ্টিতে পণ্ড হলেও, দ্বিতীয় ম্যাচে টাইগারদের হারিয়ে ১-০ ব্যবধানে সিরিজে এগিয়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এমন অবস্থায় সিরিজ বাঁচাতে গায়ানায় টসে জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় টাইগার অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
বাংলাদেশের হয়ে আগে ব্যাট করতে নেমে সিরিজের বাকি ম্যাচ গুলোর এই ম্যাচেও নিজেকে ঠিক ভাবে মেলে ধরতে পারেনি ৭ বছর পর টি-টোয়েন্টি দলে জায়গায় পাওয়া এনামুল হক বিজয়। দলীয় ৩৫ রানে ব্যক্তিগত ১০ রান করে সাজ ঘরে ফিরেন এই টাইগার ওপেনার। এরপর দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৫ রান করে আউট হয়েছেন সাকিব আল হাসান।
তৃতীয় উইকেট জুটিতে লিটন-আফিফ মিলে তুলেন ৫৭ রান। ব্যক্তিগত অর্ধশতকরে পথেই হাঁটছিলেন ওপেনার লিটন কুমার দাস। কিন্তু মাত্র এক রানের আক্ষেপ থেকে যায় টাইগার উইকেটকিপার এই ব্যাটারের। আউট হয়েছেন ব্যক্তিগত ৪৯ রানে। ৪১ বলে খেলা তার এই ইনিংসটি তিনটি চার ও দুটি ছয়ে সাজানো।
বাকি সময় আফিফকে সঙ্গ করে দলের রানের চাকা সচল রাখার চেষ্টা চালাতে থাকলেও ব্যক্তিগত ২২ রানে থামেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। শেষ দিকে আফিফের হাফ সেঞ্চুরি ও মোসাদ্দেক হোসেনের অপরাজিত ১০ রানে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৬৩ রানে থামে বাংলাদেশ দল।
জবাবে রান তাড়ায় ক্যারিবীয়দের সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন অধিনায়ক নিকোলাস পুরান। ৩৯ বলে ৭৪ রানের ইনিংস খেলে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছেড়েছেন তিনি। যদিও শুরুর দিকে টাইগার বোলিংয়ের তোপে ৪৩ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে উইন্ডিজরা।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত পুরান ও কাইল মেয়ার্স এর ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ম্যাচটি ছিটকে যায় বাংলাদেশের হাত থেকে। মেয়ার্স ৩৮ বলে ৫৫ রানের ইনিংস খেলেন, হাঁকান পুরানের সমান ৫টি ছক্কা। চতুর্থ উইকেটে ৮৫ রানের জুটি গড়েন পুরান ও মেয়ার্স। এছাড়া বাংলাদেশের পক্ষে নাসুম আহমেদ ৪৪ রানের বিনিময়ে দুটি উইকেট পান।