বিবর্ণ ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা
বিশ্বকাপ বাছাইয়ে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার মুখোমুখি লড়াইয়ের ম্যাচটি থেকে গেলো অমিমাংসিত। কোন দলই নিজেদের সেরাটা দিতে পারেনি এদিন। আর্জেন্টাইন তারকা লিওনেল মেসি পুরো ম্যাচে ছিলো বর্ণহীন। ব্রাজিল দলে নেইমারের অভাব ভুগিয়েছে হাড়েহাড়ে।
বুধবার ভোরে সান হুয়ানের এস্তাদিও দেল বিসেন্তেনারিয়োয় মাঠে নামে লাতিন আমেরিকার দল দু’টি। অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে দুই দলের মধ্যে দেখা গেলো না সেই চিরচেনা দ্বৈরথ। যেখানে দেখা গেল শুধু ফাউলের ছড়াছড়ি। মিলল না কোন গোলের দেখা। বরং দল দুটি করেছে ৪২টি ফাউল। সাতটি হলুদ কার্ড। তবে ভাগ্য ভালো, লাল কার্ড পায় নি কেউ। গোল শূন্য ড্র হলো প্রতীক্ষিত আর্জেন্টিনা-ব্রাজিল লড়াই।
লাতিন আমেরিকার প্রথম দল হিসেবে আগেই কাতার বিশ্বকাপ নিশ্চিত করেছে ব্রাজিল। তবুও তিন পয়েন্টের জন্য মরিয়া ছিল তারা। কিন্তু কাজ হয়নি। কিন্তু তিতের সব প্ল্যান ভেস্তে যায় আর্জেন্টিনার শক্ত রক্ষণভাগের কাছে। একই পরিস্থিতি আর্জেন্টিনার জন্যও।
ম্যাচের ১৭তম মিনিটে ডি-বক্সের ভেতর সুযোগ পেয়েও লক্ষ্যভ্রষ্ট শট নেন ব্রাজিলিয়ান ভিনিসিয়াস জুনিয়র। সাত মিনিটের ব্যবধানে লিওনেল মেসির জোড়ালো শট ঠেকান ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার দানিলো। ৩৫তম মিনিটে আর্জেন্টিনার ডি-বক্সে ডিফেন্ডার ওতামেন্দির হাতের আঘাতে ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড রাফিনিয়ার মুখ দিয়ে রক্ত ঝরলে ব্রাজিলিয়ানরা পেনাল্টির আবেদন করলেও তা সফল হয় নি। এভাবেই প্রথমার্ধ গোল শূন্যে শেষ হয়। বিরতির পর থেকে আবারও উভয় দল আক্রমণ পাল্টা আক্রমণের পথ বেছে নেয়। কিন্তু দু’দলের সমান ২১ টি করে ফাউল ম্যাচের সৌন্দর্য কমিয়েছে। নির্ধারিত সময়ে কোনো গোল না হওয়ায় ড্র করে মাঠ ছাড়ে লিওনেল স্কোলানির দল।
১৩ ম্যাচে ১১ জয় ও দুই ড্রয়ে ব্রাজিলের পয়েন্ট ৩৫, অবস্থান শীর্ষে। সমান ম্যাচে আট জয় ও পাঁচ ড্রয়ে ২৯ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে আর্জেন্টিনা। ভোরের অন্য ম্যাচে কনমেবল অঞ্চলে ইকুয়েডরের কাছে ২-০ তে চিলির হারে লাতিন আমেরিকার দ্বিতীয় দল হিসেবে ব্রাজিলের সাথে কাতার বিশ্বকাপ নিশ্চিত হলো আর্জেন্টিনার।