খেলার মাঠে সবার আগে
Nsports-logo

বৃহস্পতিবার, ১০ই জুলাই ২০২৫

বাফুফের ওয়েবসাইট গভীর ঘুমেঃ নেই হামজা, সাবিনাদের শিরোপার চিহ্ন!

যেখানে একটি ওয়েবসাইট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের অনলাইন পরিচয়পত্র এবং ব্র্যান্ড ইমেজ হিসেবে কাজ করে, সেখানে বাফুফের ওয়েবসাইট গভীর ঘুমে আছন্ন। সেখানে নেই হামজার গল্প, নেই সাবিনাদের শিরোপার চিহ্ন!   

তথ্য-প্রযুক্তির আধুনিক যুগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বেশ গুরুত্বপূর্ণ। তাবিথ আউয়ালের নেতৃত্বাধীন নতুন কমিটি দায়িত্ব নেয়ার পর বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) ফেসবুক পেজ অনেক সক্রিয় হয়েছে।

ফেসবুক পেজ জনসাধারণের সঙ্গে তাৎক্ষণিক ও দ্রুত সম্পৃক্ততার মাধ্যম হলেও একটি দেশের ফেডারেশনের আনুষ্ঠানিক মুখায়ব মূলত ওয়েবসাইট।

২০২৪ সালের ৩০ অক্টোবর সাবিনারা টানা দ্বিতীয় বার সাফ চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন। বাফুফের ওয়েবসাইটের ডিসপ্লেতে নেই সেই কীর্তি। সাবিনাদের আগে মিরাজুল ও ইয়ারজানদের সাফ জয়ের ছবি অবশ্য রয়েছে।

গত ১৭ মার্চ ইংলিশ প্রিমিয়ার ফুটবল লিগে খেলা ফুটবলার হামজা চৌধুরী বাংলাদেশে আসার পর থেকে সারা দেশ ফুটবল উন্মাদনায় মেতেছে। ২৫ মার্চ ভারতের শিলংয়ে হামজা বাংলাদেশের জার্সিতে অভিষেকও হয়েছে। হামজার কোনো ছবি এমনকি নামটাও নেই কোথাও।

বাফুফের ওয়েবসাইটে জাতীয় দলের একটি অপশন রয়েছে। সেই অপশনে নারী ও পুরুষ দলেরও আপডেট নেই। ওয়েবসাইটে অবশ্য কিছু সোশ্যাল পেজ ও ইউটিউবের কিছু লিঙ্ক রয়েছে সাম্প্রতিক সময়ের।

বাফুফের ওয়েবসাইট গভীর ঘুমেঃ নেই হামজা, সাবিনাদের শিরোপার চিহ্ন!
বাফুফের ওয়েবসাইটে নতুন কিছুর আপডেট নেই অনেক দিন।

 

২৬ অক্টোবর বাফুফে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সেই নির্বাচনের এক সপ্তাহ পরও ফেডারেশনের ওয়েবসাইটে সভাপতি কর্নারে কাজী সালাউদ্দিন ছিল।

এ নিয়ে প্রতিবেদন হওয়ার পর সভাপতি প্রোফাইল ও কর্ণার অপসারণ করা হলেও নতুন সভাপতি তাবিথ আউয়ালের প্রোফাইল কিংবা কর্ণার এখনো হয়নি। প্রেসিডেন্টস প্রোফাইলে ক্লিক করলে কোচদের ছবি ভেসে উঠে।

তাবিথ আউয়ালের নতুন কমিটি পাঁচ মাস সময় পার করছে। এই সময়ের মধ্যে শুধু একটি আপডেট ২৮ অক্টোবর বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন ফেডারেশনের সভাপতি তাবিথ আউয়াল বাফুফের নতুন কমিটিকে অভিনন্দন জানানোয়।

বাফুফের হোমপেজে পুরনো সংবাদের মধ্যে এখনো সিংহভাগ সাবেক সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের বন্দনা নিয়ে। ফুটবলের মতো ব্যয়বহুল খেলায় পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়া সম্ভব নয়।

বেভারেজ পার্টনার পুষ্টি কয়েক বছর ধরে থাকলেও ওয়েবসাইটে নেই তাদের কোনো লোগো। ফলে নতুন পার্টনার ইউসিবি এবং দৌড় না থাকাটা খুব স্বাভাবিকই।

তাদের ফেসবুক পেজে এখন অনেক ভিডিও দশ লাখের ওপর ফুটবলপ্রেমী দেখে থাকে। অনেক ছবি, পোস্ট শত শত শেয়ার হচ্ছে। সক্রিয় পেজের বিপরীতে ওয়েবসাইট সম্পূর্ণ বিপরীতভাবে যেন ঘুমিয়ে আছে।

বাফুফের ডিজিটাল মিডিয়া ও মার্কেটিং কমিটির চেয়ারম্যান ফাহাদ করিম এ নিয়ে বলেন,

‘স্বল্প সময়ের মধ্যে আমরা ফেসবুক পেজের সক্রিয়তা বৃদ্ধি করেছি। ওয়েবসাইট ডেভলপমেন্টও আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে। আমাদের জনবল সংকট রয়েছে।

তাই একটি এজেন্সির মাধ্যমে ওয়েবসাইট ও পেজ আমরা আরো পেশাদারভাবে পরিচালিত করব। এজেন্সি নির্বাচন প্রক্রিয়া আমরা শীঘ্রই শুরু করব।’

ভারতের মূল ওয়েবসাইট ছাড়াও প্রতি প্রদেশের ফুটবল সংস্থার নিজস্ব সাইটও বেশ সমৃদ্ধ।

 

বাংলাদেশের পাশ্ববর্তী দেশ ভারতের ফুটবল ফেডারেশনের ওয়েবসাইট যেন তথ্যভান্ডার। প্রতিদিন বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের আপডেট-ছবি, প্রতিবেদন। ফেডারেশনের বিভিন্ন পরিকল্পনার পূর্ণাঙ্গ সকল কিছুই ওয়েবসাইটে রয়েছে।

শুধু অল ইন্ডিয়ান ফেডারেশনেই নয় প্রতি প্রদেশের ফুটবল সংস্থার কত জন ফুটবলার, কোচ, মাঠ সংখ্যা এই সকল তথ্যও সুন্দরভাবে সন্নিবেশিত।

ফুটবলীয় বিষয় ছাড়াও প্রশাসনিক খাত বাজেটও ভারতের ফুটবল ফেডারেশনের ওয়েবসাইটে রয়েছে। আর বাফুফে কর্তারা ফুটবলপ্রেমীদের সামনে তো দূরের কথা, মিডিয়ার সামনেই এসব উপস্থাপনে অনীহা!

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More

Privacy & Cookies Policy