পিছিয়ে গেল আর্জেন্টিনা-স্পেনের ফিনালিসিমা!
আর্জেন্টিনা ও স্পেনের মধ্যকার বহুল প্রতীক্ষিত ফিনালিসিমা ম্যাচের সূচি আবারও পরিবর্তন করা হয়েছে। ২০২৫ সালে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও দুটি দলের ঠাসা সূচির কারণে ম্যাচটি পিছিয়ে ২০২৬ সালের মার্চ বা এপ্রিল মাসে অনুষ্ঠিত হতে পারে বলে জানিয়েছে আর্জেন্টাইন গণমাধ্যম ওলে ও লা নাসিওন।
গেল বছরে একই দিনে ইউরো ও কোপা আমেরিকার ফাইনাল শেষ হওয়ার পরই আলোচনায় আসে ফিনালিসিমা। দুই মহাদেশীয় চ্যাম্পিয়ন স্পেন ও আর্জেন্টিনার মধ্যকার এই ম্যাচ নিয়ে শুরু হয় নানা জল্পনা-কল্পনা। ২০২৫ সালের মাঝামাঝি সময়ে এই ম্যাচটি হওয়ার কথাও শোনা যায়।
তবে হতাশার খবর আসতেও দেরি হয়নি। সূচি–জটিলতার কারণে ফিনালিসিমার আয়োজন নিয়ে তৈরি হয়েছে শঙ্কা।
ফিনালিসিমার সূচি জটিল হয়ে উঠেছে মূলত স্পেনের জন্য। লুইস দে লা ফুয়েন্তের দলকে উয়েফা নেশনস লিগের ফাইনাল ও ২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ছয়টি ম্যাচ খেলতে হবে।
অন্যদিকে, আর্জেন্টিনার সামনে ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বরের পর কোনো বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের কোনো নেই, যা তাদের জন্য অপেক্ষাকৃত সুবিধাজনক। তাই ম্যাচটির দিনক্ষণ এখনও চূড়ান্ত করতে পারেনি আয়োজকরা।
এদিকে, ম্যাচটি কোথায় অনুষ্ঠিত হবে, তা নিয়েও আলোচনা চলছে। ২০২২ সালে ইতালির বিপক্ষে আর্জেন্টিনা ওয়েম্বলিতে ফিনালিসিমা জিতলেও এবার লাতিন আমেরিকা ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা কনমেবল চাইছে ম্যাচটি ইউরোপের বাইরে আয়োজন করতে।
এমনকি যুক্তরাষ্ট্রে ২০২৬ বিশ্বকাপের আগে এটি আয়োজনের সম্ভাবনাও রয়েছে।
আয়োজন নিয়ে অবশ্য যত শঙ্কাই থাকুক, আয়োজক হতে এরই মধ্যে আগ্রহ প্রকাশ করেছে অনেকেই। কদিন আগে শোনা গিয়েছিল, এই ম্যাচটির আয়োজক হতে চায় আর্জেন্টিনার ক্লাব রিভার প্লেট।
বুইন এইরেসে নিজেদের মাঠ এস্তাদিও এল মনুমেন্তালে দুই দলকে আতিথ্য দিতে চায় তারা। রিভার প্লেটের এই চাওয়ার পক্ষে আছে আর্জেন্টিনা ফুটবল ফেডারেশনও।
ফিনালিসিমা প্রথমবার আয়োজিত হয়েছিল ১৯৮৫ সালে। সেবার উরুগুয়েকে ২–০ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় ফ্রান্স। এরপর দ্বিতীয় আসরে ১৯৯৩ সালে মুখোমুখি হয় আর্জেন্টিনা ও ডেনমার্ক। টাইব্রেকারে ডেনিশদের হারিয়ে শিরোপা জেতে আর্জেন্টিনা।
এখন পরেরবার স্পেনকে হারাতে পারলে প্রতিযোগিতার হ্যাটট্রিক শিরোপা জেতার সুযোগ আছে আর্জেন্টিনার।
এবারের ফিনালিসিমা ম্যাচে একটি ইতিহাসের নিষ্পত্তিও হবে। ১৪ দেখায় আর্জেন্টিনা ও স্পেন সমান ৬টি করে ম্যাচ জিতেছে, বাকি দুটি ম্যাচ ড্র হয়েছে। তাই জয়ী দল এগিয়ে যাবে মুখোমুখি লড়াইয়ের পরিসংখ্যানে।
তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনো আসেনি, শেষ কথা বলবে ফিফা ও সংশ্লিষ্ট ফেডারেশনগুলো।