আফগানদের হারিয়ে ইতিহাস রচনা প্রোটিয়াদের
প্রোটিয়াদের কাছে হেরে ফাইনাল খেলার স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে আফগানদের।উড়তে থাকা আফগানরা দেখলো বাস্তবতা।ত্রিনিদাদে ব্রায়ান লারা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ৯উইকেটে হেরেছে তারা।৩ ওভার হাত গুড়িয়ে ১৬ রান খরচায় ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা নির্বাচিত হয়েছেন মার্কো জানসেন।এর আগে একাধিকরবার সেমিফাইনাল খেলেও কখনও জিততে পারেনি প্রোটিয়ারা।এইবার প্রথমবারের মতো কোনো আইসিসি ইভেন্টের ফাইনালে খেলবে সাউথ আফ্রিকা।
এইবারের বিশ্বকাপ যাত্রাটা দারুণভাবে শুরু করে রশীদ খানরা।হারিয়েছে অস্ট্রেলিয়া,নিউজিল্যান্ড ও বাংলাদেশের মতো দলকে।তাই সবাই ভেবেছিলো প্রোটিয়াদেরকেও ছেড়ে কথা বলবে না তারা।ত্রিনিদাদের এই মাঠেই কিউইদের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে দিয়েছিলো রশীদ,নবীরা।শুরুতেই টস জিতে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্তটাই হয়তো কাল হয়েছে আফগানদের জন্য।তবে এইবারের আসরের বেশিরভাগ ম্যাচেই আগেই ব্যাট করে জয় পেয়েছে তারা।প্রোটিয়ার বিরুদ্ধেও একই উদ্দেশ্য ছিলো আফগানদের।তবে ত্রিনিদাদের পিচ বেশ সুইচ ছিলো।আর সেই সুযোগ বেশ ভালো ভাবেই কাজে লাগায় প্রোটিয়ারা।মার্কো জানসেন,এনরিক নরকিয়াদের গতি এবং সুইয়ের তুপে মোটেই ঠিকতে পারেনি আফগান ব্যাটাররা।
প্রথম ওভার থেকেই উইকেট তুলতে শুরু করেন মার্কো জানসেনেরা। সবুজ পিচে বলের গতি এবং সুইংয়ের দাপট বুঝতে তখন হিমশিম খাচ্ছেন ইব্রাহিম জাদরানেরা। পাওয়ার প্লে-র মধ্যে একটি দল যদি ৫ উইকেট হারায় তা হলে ম্যাচে ফেরা কঠিন হয়। পাওয়ার প্লে-তে আফগানিস্তান ২৮ রানে ৫ উইকেট হারায়। সেখান থেকে দলকে ঘুরে দাঁড় করানোর মতো ব্যাটার আফগান দলে নেই। তাই ৫৬ রানের মধ্যে শেষ হয়ে গেল রশিদদের ইনিংস। তিনটি করে উইকেট নিলেন জানসেন এবং তাবরেজ শামসি। দু’টি করে উইকেট নিলেন কাগিসো রাবাডা এবং এনরিখ নোখিয়ে।
৫৬রানের লক্ষ্য, তা-ও আবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে। এতটা সহজ কাজ হবে ভাবেননি দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটারেরা। ৫ রান করেন কুইন্টন ডিকক আউট হয়ে গেলেও ম্যাচ জিততে কোনও অসুবিধাই হয়নি। ৮.৫ ওভারে ম্যাচ জিতে নিল দক্ষিণ আফ্রিকা। একমাত্র উইকেটটি নিলেন ফজলহক ফারুকি।রেজা হেন্ড্ররিক্স এবং প্রোটিয়া অধিনায়ক মার্কারাম অপরাজিত থেকে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন।
প্রথম বার বিশ্বকাপের ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকা। এর আগে একাধিক বার সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নিতে হয়েছে তাদের। ফাইনালে কাদের বিরুদ্ধে খেলতে হবে তা ঠিক হবে বৃহস্পতিবার রাতে। যে ম্যাচে মুখোমুখি হবে ভারত এবং ইংল্যান্ড। এই দুই দলের মধ্যে যারা জিতবে, তারাই পৌঁছে যাবে ফাইনালে। ২৯ জুন হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনাল।