ভারতের প্রতিশোধ নাকি ইংল্যান্ডের আরো একবার রুপকথার জন্ম!
ইতোমধ্যেই শেষ হয়েছে প্রথম সেমিফাইনালের খেলা।আফগানদের হারিয়ে প্রথমবারের মতো আইসিসি ইভেন্টের ফাইনালে সাউথ আফ্রিকা।আজ দ্বিতীয় সেমিফাইনালে অনুষ্ঠিত হবে মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ।সে ম্যাচে মুখোমুখি হবে সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড বনাম ভারত।বাংলাদেশ সময় ২৭জুন রাত ৮:৩০মিনিটে গায়ানার প্রোভিডেন্স স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে ম্যাচটি।
আইসিসির ইভেন্ট মানেই যেনো হতাশা ভারতের জন্য।দীর্ঘদিন ধরেই অধরা রয়েছে আইসিসি ট্রফির।তবে প্রতিবারই ভারত সহজে সেমিফাইনাল কিংবা ফাইনালে খেলার সুযোগ পায়।যদিও গত টি-২০ বিশ্বকাপে এই ইংল্যান্ডের কাছে ১০উইকেটের লজ্জার হার নিয়ে সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নিতে হয়েছিল ভারতকে।এইবার সেই হারের প্রতিশোধ নেওয়ার আবার সুযোগ এলো ভারতের সামনে।তাই ইংল্যান্ডকে হারিয়েই ফাইনালে খেলতে চাইবে রোহিত শর্মারা।
অন্যদিকে গতবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের সামনে আবারো উঁকি দিচ্ছে ফাইনাল খেলার সম্ভাবনা।তাই তো ভারতেই বিপক্ষে জিতে বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত করতে চাইবে ইংলিশ লায়নরা।যদিও শক্তির বিচারে দু’দলই রয়েছে সমানে সমানে।তবে এই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে যে দলই নিজেদের স্নায়ু পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারবে তাদেরই জুটবে কেবল ফাইনালে খেলার সুযোগ।যদিও ইংলিশদের সামনে রয়েছে গতবারের সেমিফাইনালে ভারতকে হারানোর দারুণ এক সুখস্মৃতি।
শক্তি-সামর্থ্যে পিছিয়ে নেয় কোনো দলই।তবে ভারতের প্রধান চিন্তার কারণ হতে পারে ভিরাট কোহলির ফর্ম।ভারতের অন্যতম সেরা এই ব্যাটার এখন পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য কোনো ইনিংস খেলতে পারেনি।যদিও বড় মঞ্চে সবসময় নিজের জাত চিনিয়ে এসেছেন এই ব্যাটার।
অন্যদিকে ইংল্যান্ডের ওপেনিং জুটিও চিন্তার বড় কারণ হতে পারে ভারতের জন্য।কেননা গত টি-২০বিশ্বকাপ আসরে ইংল্যান্ডের ওপেনিং জুটির কাছেই হারতে হয়েছিলো ভারতের।
অন্যদিকে ইংল্যান্ডের দুশ্চিন্তার কারণ হতে পারে জসপ্রীত বুমরা এবং কুলদীপ যাদবের রিসেন্ট ফর্ম।যেকোনো দলের ব্যাটিং অ্যাটাককে গুড়িয়ে দিতে পারেন এই দুই বোলার।
তবে, ইংল্যান্ডের জন্য বিশেষ চিন্তার কারণ হতে পারে বৃষ্টি।এইবারের আসরে ইতোমধ্যে বৃষ্টির জন্য বেশ ভুগতে হয়েছে তাদের।একসময় উঁকি দিয়েছিলো বাদ পড়ার শঙ্কাও।এইবারো তাদের সামনেই বড় প্রতিপক্ষ হতে যাচ্ছে ঐ বৃষ্টিই।
বৃহস্পতিবার গায়ানায় ৮৭ শতাংশ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সারা দিন ধরে বৃষ্টি হতে পারে। তার ফলে খেলায় বিঘ্ন হতে পারে। এমনকি, খেলা ভেস্তে যেতেও পারে। তেমনটা হলে ভারতের লাভ। গ্রুপ শীর্ষে থাকায় ফাইনালে যাবে তারা। তাই ইংল্যান্ড চাইবে, খেলা হোক।