মালানের সেঞ্চুরির কাছে হেরে গেল বাংলাদেশ
বাংলাদেশ-ইংল্যান্ড সিরিজের প্রথম ম্যাচে জয় পেতে পেতে শেষ পর্যন্ত হেরে গেল বাংলাদেশ। মালানে হার না মান সেঞ্চুরি করছে হেরে গেল বাংলাদেশ। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে খুব বেশি বড় করতে পারেননি বাংলাদেশের ব্যাটাররা। তাই বোলিংয়ের শুরুতেই বল হাতে নেমে পড়লেন সাকিব আল হাসান। প্রথম তিন বলে রয়ে সয়েই ব্যাট চালালেন ইংলিশ ওপেনার জেসন রয়। চতুর্থ বলে স্টাম্পঘেঁষা ডেলিভারিতে কাট করে চার মারেন রয়।
তবে ওভারের শেষ বলে সামনে এসে ব্যাট চালিয়ে লিডিং-এজড হয়েছেন তিনি। সার্কেলের মধ্যে শট মিড অনে দাঁড়িয়ে থাকা বাংলাদেশ অধিনায়ক তামিম ইকবাল দৌড়ে গিয়ে ক্যাচ তালুবন্দি করলেন। ফলে প্রথম ওভারেই ইংল্যান্ড শিবিরে আঘাত হানলেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব।
এরপর তাইজুলে জোড়া আঘাত। যদিও নিজের প্রথম ওভারটা ভালো হয়নি। এক ছক্কায় দেন ১১ রান। কিন্তু দ্বিতীয় ওভারে ঘুরে দাঁড়ান বাঁহাতি এই স্পিনার। তুলে নেন সল্টের উইকেট। ফিরতি ওভারে বল হাতে তুলে নিয়েও আবারও সাফল্য পেলেন। অভিজ্ঞ স্পিনারের জোড়া আঘাতে শুরুতেই চাপে ইংল্যান্ড।
আগুন ঝরা বোলিংয়ে ফিরিয়ে দেন ইংল্যান্ডের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর ব্যাটার ও অধিনায়ক বাটলারকে। ১০ বলে ৯ রান বাটলার। ২৬ রান করে মিরাজের বলে ফিরে যান উইল জ্যাকস। এরপর আবারও মিরাজের আঘাত। ফিরিয়ে দেন মইন আলিকে। ১৪ রান করেন মইন আলি। ৭ রানে তাইজুলের বলে ফিরে যান ক্রিস ওকস। তবে এক প্রান্ত ধরে রাখেন মালান। এক প্রান্তে যখন দল চরম বিপর্যয়ে তখন তুলে নেন হাফসেঞ্চুরি। দল জয়ে দিয়ে নিয়ে যান তিনি। হাফসেঞ্চুরি পর সেঞ্চুরিও তুলে নেন মালান। ১৩৪ বলে ৬টি চারে ও চারটি ছয়ে নিজে চতুর্থতম সেঞ্চুরিটি। শেষ পর্যন্ত তিন উইকেটে জয় তুলে নেয় ইংল্যান্ড। মালান ১১৪ ও আদিল রশিদ ১৭ রানে অপরাজিত থাকেন।
এর আগে নাজমুল শান্ত ব্যাট হাতে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের অভিষেক ফিফটি আসে। কিন্তু নিয়মিত বিরতিতে ব্যাটসম্যানরা উইকেট বিলিয়ে দেওয়ায় অল্পতেই গুঁটিয়ে গেছে স্বাগতিক বাংলাদেশ।
বুধবার (১ মার্চ) মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচে ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বাংলাদেশ।
কিন্তু ইংলিশ বোলারদের আঁটসাঁট বোলিংয়ে ৪৭ ওভার ১ বলে মাত্র ২০৯ রানেই অলআউট হয়ে গেছে স্বাগতিকরা। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫৮ রান করেছেন ওয়ান ডাউনে নামা নাজমুল শান্ত। এছাড়া অধিনায়ক তামিম ২৩ ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ৩১ রান করেছেন। শেষ দিকে তাইজুল ১৪ ও তাসকিন ১০ রান করেন। এতে ৪৭.২ ওভারে সবকটি হারিয়ে ২০৯ রান করেছে তামিমের দল।