খেলার মাঠে সবার আগে
Nsports-logo

বৃহস্পতিবার, ২১শে নভেম্বর ২০২৪

ইংল্যান্ডের বিশ্বজয়ের নেপথ্যে…

মির্জা হাসিব

0

THE BANGLADESH TIGERS HAVE KNOCKED THE ENGLISH LIONS OUT OF THE WORLD CUP. One of the greatest days in Bangladesh Cricket history, One of the lowest points in English history…. এটাই বোধহয় শুরু ছিলো, হ্যা এটাই। সাদাবলের ইতিহাসের অন্যতম সেরা দলের গোড়াপত্তন হয়েছিলো ঠিক এভাবেই।

সেদিন ইংল্যান্ড না হারলে, সেবার ইংল্যান্ড কোনেরকমে পরের রাউন্ডে পাড়ি জমালে শীতপ্রধান দেশের ইংরেজদের বুকে কোনো আলো জ্বলতো না, কোনো উঞ্চতা আসতো না, ভেতর থেকে কোনো উত্তাপ তারা টের পেতো না। সেদিনের উপ্ত বীজ থেকে প্রথমবার গজানো বৃক্ষ পৃথিবীর বুকে মাথা তুলে দাঁড়ায় খুব দ্রুতই। বছর না ঘুরতে অনুষ্ঠিত হওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শিরোপা উঁচিয়ে ধরার খুব কাছাকাছি চলে যায় তারা। কিন্তু এরপরই ঘটে যায় এক অতিমানবীয়, অনাকাঙ্ক্ষিত ঝড় “REMEMBER THE NAME, CARLOS BRAITHWAITE” কিন্তু সেটাকেও ধরা যায় কেবল শুরুরই অংশ হিসেবে।

 

 

তবে সেই পরাজয় আমাদের একজন বিশ্বজয়ীকে দিয়েছে, বিশ্বসেরাকে খোলসমুক্ত হতে সহায়তা করেছে। দুর্বল নার্ভের ইংরেজদের মধ্যেও ব্যতিক্রম সে, যার নার্ভ ইস্পাত কঠিন। হয়তো মা ইংরেজ হলেও বাবা কিউই একারণে… কিন্তু কিউইদেরকেও তো সেই দুর্বল নার্ভের অধিকারী হিসেবেই ধরা হয়, অন্তত ক্রিকেটে। তাহলে? হয়তো সে পেয়েছে নিউজিল্যান্ডের অতিবিখ্যাত রাগবি’র তেজ নয়তো রবিনহুডের মতো কোনো ইংরেজ বীরের রক্ত।

সে যায় হোক, বেন স্টোকস যে ব্যতিক্রম, বেন স্টোকস যে বিশ্বসেরা তা সে প্রমাণ করেছে বারবার, বারবার। লিগ্যাসি তৈরি করার জন্য যে কারো একটি কিংবা দুইটি মুহুর্তই যথেষ্ট, ফুটবলে মারিও গোৎসে কিংবা ক্রিকেটে আগেই উল্লেখ করা কার্লোস ব্রেথওয়েট, একটা মুহুর্তই তাদের চিরস্মরণীয় করে রেখেছে। বেঞ্জামিন এ্যান্ড্রিউ স্টোকস তো এমন মুহুর্তের জন্ম দিয়েছেন কয়েকবার, ইতিহাস তাকে কিভাবে ভুলবে?

 

সাদাবলের
দলকে চ্যাম্পিয়ন করে ম্যাথু মটের এমন উদ্যম নাচ দেওয়ায় যায়।

 

 

১৯ এর বিশ্বজয় গোটা পৃথিবীর মুখে যেনো উপহাসের বিপরীতে ইংরেজ চপেটাঘাত। কন্ট্রোভার্সি ছিলো, বিতর্ক ছিলো তবে ইংল্যান্ড যে ততদিনে রঙিন পোশাকে বিশ্বের সেরা দল এটাও রথী, মগারথী, পন্ডিতগণ স্বীকার করে নিতেন অকপটে। ২১-শে আরো একবার বিশ্বসেরার মুকুট পরার সুযোগ আসে। কিন্তু ৩ ওভারের ‘ড্যারেল মিচেল ঝড়’এ সবকিছু আরো একবার লন্ডভন্ড হয়ে যায়। তাতে কেবল নড়েচড়ে বসেছিলো দলটার হর্তাকর্তারা। ফলাফল- বাইশে বিশ্বজয়।

 

রঙিন পোশাকে এই দল সর্বজয়ী নয়। চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জেতা হয়নি দলটার। গোটা টুর্নামেন্টে বুকচিতিয়ে পারফর্ম করেও সেমি ফাইনালে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়েছিলো পুরো ব্যাটিং লাইনআপ। সেদিন স্টোকস কিংবা বাটলার শেষ রক্ষা করতে পারেনি, পাকিস্তানি বোলিং অনলে অন্যদের সঙ্গে পুড়েছিলো তারাও। নয়তো দলটাকে সর্বজয়ী বলা যেতো।

 

ইংল্যান্ডের এই বিশ্বজয়ের পথে অনেক গুলো নাম স্মরণীয় হয়ে থাকবে। একটি রান করেছে যে তাকেও মনে রাখা হবে, এক বল করেছে যে তাকেও মনে রাখা হবে। তবে বিশেষ ভাবে মনে রাখা হবে তিনজনকে- মহারথী বেঞ্জামিন এ্যান্ড্রিউ স্টোকস, কারিগর উইয়িন জোসেফ জেরার্ড মর্গান আর তৃতীয় ব্যক্তি তিনি যার উপস্থিতি ছিলো সর্বদা-সবখানে, যাকে ছাড়া কোনোকিছুই ঘটতো না, জোসেফ চার্লস বাটলার।

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More

Privacy & Cookies Policy