‘আমরা বিনয়ের সঙ্গে আপনার মনযোগ আকর্ষণ করছি। আমাদের প্রিয় মোহাম্মদের দুর্দশা তুলে ধরতে আহ্বান করছি। তাকে শিশু অবস্থায় আমাদের কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া হয়েছে। সৌদি আরবের পর্যটনদূত হিসেবে আপনার অনেক প্রভাব আছে। আপনি কি সেটি একজন কিশোরের জীবন বাঁচাতে ব্যবহার করবেন?’
কথাগুলো মেসিকে উদ্দেশ্য করে চিঠিতে লিখেছে সৌদি তরুণ ফারাজের পরিবার। সৌদি সরকারের বিপক্ষে ‘অপরাধ’ করার অভিযোগে মোহাম্মদ আল ফারাজ নামের ওই তরুণকে গ্রেপ্তার করা হয় ২০১৭ সালে। গ্রেপ্তারের সময় তিনি ছিলেন ১৫ বছরের কিশোর। এরপর তাঁর বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শাস্তির আবেদন করা হয়েছে। অবশ্য তাঁর পরিবার বলছে, নির্যাতন করেই স্বীকারোক্তি নেওয়া হয়েছে ফারাজের।
কিন্তু মেসির কাছে কেনো এই আবেদন? পৃথিবীতে এত এত সেলিব্রেটি, ক্ষমতাধর ব্যক্তিবর্গ থাকার পরও তারা শুধু মেসির কাছে কেনো সাহায্য চাইলো? মেসি ইতিহাসের অন্যতম সেরা ফুটবলার বলে? এটিই একমাত্র কারণ নয়। মূলত সৌদি আরবের সাথে মেসির সংশ্লিষ্টতার জন্য এমনটা করেছে। সম্প্রতি সৌদি আরবের পর্যটনের শুভেচ্ছাদূত বানানো হয়েছে আর্জেন্টাইন এই মহাতারকা কে। এই বিষয়টা বিবেচনা করে সৌদি পরিবারটি আশা করছে মেসি নিজের এই প্রভাব খাটিয়ে হলেও ফারাজকে ছাড়াতে পারবে।
এছাড়া ২০১০ সাল থেকে শিশুদের জন্য জাতিসংঘের সংগঠন UNICEF এর হয়ে কাজ করে চলেছেন লিওনেল মেসি। গ্রেফতারের সময় ফারাজের বয়স ১৫ থাকায় এদিক থেকেও হয়তো মেসি কিছু করতে পারবে সেই প্রত্যাশা আছে ফারাজের পরিবারের।