দুর্দান্ত ফর্মে থাকা লিটনের জায়গায় হয়নি উইজডেন একাদশে
আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়ানশীপে পয়েন্ট টেবিলে বাংলাদেশের অবস্থান সবার শেষে। ২১-২৩ সিজনে এখন পযর্ন্ত দশ ম্যাচ খেলা টাইগারদের জয় মাত্র একটিতে। বাকি নয় ম্যাচের আটটিতেই হার সাকিব-তামিমদের। একটি মাত্র ড্র, তাও দেশের মাটিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে।
দেশের মাটিতে পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজ হার, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তাদের মাটিতে হোয়াইটওয়াশ। সবকিছু মিলেয়ে লাল বলের ক্রিকেটে যাচ্ছেতাই অবস্থা টাইগারদের। তবে এতকিছুর ভিড়ে ২১-২৩ সিজনে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে লাল-সবুজের বড় প্রাপ্তি লিটন কুমার দাসের ব্যাটিং নৈপুণ্য।
টেস্টে চলতি বছরে সবশেষ ১৪ ইনিংসে ৪৭.০১ গড়ে দুই সেঞ্চুরি ও চার ফিফটিতে লিটনের রান ৬৫৯। যেখানে গেল বছরে ১২ ইনিংসে ৪৯.৫ গড়ে একটি সেঞ্চুরি ও পাঁচ ফিফটিতে এই টাইগার ব্যাটারের রান ৫৯৪। এইসব পরিসংখ্যানই বলে দিচ্ছে বর্তমান সময়ে লাল বলের ক্রিকেটে লিটন দাসের অবস্থান কতটা উপরে। তবে দুঃখের বিষয় রানের বন্যা বইয়েও ক্রিকেটের বাইবেলখ্যাত উইজডেনের একাদশে জায়গা পেলেন না লিটন।
২০২২ সালের পারফরম্যান্স বিবেচনায় এই টেস্ট একাদশ সাজিয়েছে উইজডেন। শর্ত ছিল, কোনো দল থেকে ৩ জনের অধিক খেলোয়াড় রাখা যাবে না। তবে বাংলাদেশের কেউই ঠাই পাননি একাদশে। যদিও এ বছর টেস্টে বর্তমানে চতুর্থ সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক লিটন, যিনি আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের এবারের চক্রে রান সংগ্রাহকদের তালিকায়ও চতুর্থ।
যদিও মূলত ব্যাটিং গড়কে প্রাধান্য দিয়েই এই তালিকা তৈরি করেছে উইজডেন। কারণ, তালিকায় স্থান পাওয়া সকল ব্যাটারদের ব্যাটিং গড় ৫০ এর উপরে।
উইজডেন একাদশে ওপেনারের ভূমিকায় আছেন পাকিস্তানের আব্দুল্লাহ শফিক ও অস্ট্রেলিয়ার উসমান খাজা। ওয়ান ডাউনে আছেন পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজম। ব্যাটিং অর্ডারে পালাক্রমে আছেন নিউজিল্যান্ডের ড্যারিল মিচেল, ভারতের রিশভ পান্ট, ইংল্যান্ডের জনি বেয়ারস্টো ও শ্রীলঙ্কার দীনেশ চান্দিমাল।
এক নজরে চলতি বছরের উইজডেন একাদশ:
আব্দুল্লাহ শফিক (পাকিস্তান) – ৪ টেস্টে ৮৫.৮৩ গড়ে ৫১৫ রান
উসমান খাজা (অস্ট্রেলিয়া) – ৭ টেস্টে ৯৮.৬৬ গড়ে ৮৮৮ রান
বাবর আজম (পাকিস্তান) – ৪ টেস্টে ৯৪ গড়ে ৫৬৪ রান
ড্যারিল মিচেল (নিউজিল্যান্ডে) – ৬ টেস্টে ৭১.২২ গড়ে ৬৪১ রান
রিশভ পান্ট (ভারত) – ৫ টেস্টে ৬৬.৫০ গড়ে ৫৩২ রান
জনি বেয়ারস্টো (ইংল্যান্ড) – ৮ টেস্টে ৭৬.৪৬ গড়ে ৯৯৪ রান
দীনেশ চান্দিমাল (শ্রীলঙ্কা) – ৫ টেস্টে ১২৩.৬০ গড়ে ৬১৮ রান
কাইল মেয়ার্স (ওয়েস্ট ইন্ডিজ) – ৩ টেস্টে ৬০.৩৩ গড়ে ১৮১ রান ও ১৩ উইকেট
ম্যাথু পটস (ইংল্যান্ড) – ৪ টেস্টে ১৮ উইকেট
প্রবাথ জয়াসুরিয়া (শ্রীলঙ্কা) – ২ টেস্টে ১৯ উইকেট
জেমস অ্যান্ডারসন (ইংল্যান্ড) – ৪ টেস্টে ১৮ উইকেট