ইংল্যান্ডের কাছে হোয়াইটওয়াশই হল নিউজিল্যান্ড
মাস কয়েক আগে অস্ট্রেলিয়ার মাঠিতে অ্যাশেজ সিরিজে ইংলিশদের অসহায়ত্ব দেখেছে গোটা বিশ্ব। পাঁচ ম্যাচ টেস্ট সিরিজে চারটিতেই হারে ইংল্যান্ড। এরপরের সিরিজে নিম্ন সারির দল ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে আবারও সিরিজ হার। সব মিলিয়ে টেস্ট ক্রিকেটে ইংলিশদের সময়টা খুব একটা ভালো যাচ্ছিলো না বলাই চলে।
আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়ানশিপে ১২ ম্যাচ খেলে মাত্র চারটি তেই জয় ছিল ইংল্যান্ডের। এমন অবস্থায় দলে আমূল পরিবর্তন আনেন ইংলিশ ক্রিকেট বোর্ড। ব্যর্থতার দ্বায়ে জো রুটের অধিনায়কত্ব ছাড়ার পর দলের অধিনায়কত্বের দায়িত্ব আসে বেন স্টোকস এর কাঁধে। একই সঙ্গে দলের নতুন কোচ হিসেবে নিয়োগ দেওয়া সাবেক কিউই কিংবদন্তি ব্যাটার ব্রেন্ডন ম্যাককালামকে।
আমূল পরিবর্তন আনা দল নিয়ে ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে নামে ইংলিশরা। আর এই তিন ম্যাচেই নিজেদের অধিপত্যে দেখিয়ে নিউজিল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করলো ইংল্যান্ড। লর্ডস, নটিংহ্যাম টেস্ট জয়ের পর লিডস টেস্টেও ৭ উইকেটের বড় জয় পায় ব্রিটিশরা।
সিরিজের তৃতীয় টেস্টে চতুর্থ ইনিংসে ২৯৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে জো রুট ও জনি বেয়ারস্ট’র ঝড়ো ইনিংসে দুর্দান্ত এক জয় পায় ইংল্যান্ড। এর আগে ১১৩ রান দূরে থাকতে পঞ্চম দিন মাঠে নামে তারা। ওলি পোপ ৮১ ও জো রুট ৫৫ রানে অপরাজিত ছিলেন। দিনের প্রথম ওভারেই পোপ আর ১ রান যোগ করে টিম সাউদির কাছে বোল্ড হন।
বাকি সময় রুটের সঙ্গে অপ্রতিরোধ্য জুটিতে জয় নিশ্চিত করেন জনি বেয়ারস্ট। ৭১ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। আর ৮৬ রানে খেলছিলেন রুট। দুজনের অবিচ্ছিন্ন জুটি ১১১ রানের।
দুই ইনিংসেই পাঁচটি করে উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন ইংলিশ স্পিনার জ্যাক লিচ। সিরিজের সেরা খেলোয়াড় হন রুট। ৩১ বছর বয়সী ব্যাটসম্যান টানা দুই টেস্টে সেঞ্চুরির পর আরেকটি ম্যাচ নির্ধারণী ইনিংস খেললেন।