বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) অষ্টম আসরের ফাইনালে ফরচুন বরিশালকে ১ হারিয়ে নিজেদের তৃতীয় শিরোপা জিতলো কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। আগে ব্যাট করতে সুনীল নারাইনের ব্যাটিং ঝড়ে ১৫১ রান সংগ্রহ করে ইমরুল কায়েসের দল। জবাবে শ্বাসরুদ্ধকর শেষে ১৫০ রানে থামে ফরচুন বরিশাল।
মিরপুরে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে সুনীল নারাইনের ব্যাটে শুরুটা দুর্দান্ত করে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। নারাইনের ব্যাটিং ঝড়ে উদ্বোধনী জুটিতে মাত্র ৩ ওভারেই ৪০ রান করে কুমিল্লা। আগের ম্যাচের মতো বিধ্বংসী ইনিংস খেলে এ ম্যাচেও মাত্র ২১ বলেই ফিফটি তুলে নেন ক্যারিবীয় অল-রাউন্ডার সুনীল নারাইন।
তবে নারাইনের সঙ্গে ওপেন করতে নামা লিটন দাস অবশ্য টিকতে পারেননি। তাঁকে নিজের প্রথম ওভারে বোলিংয়ে এসে ফিরিয়ে দেন সাকিব আল হাসান। ছয় বল খেলে লিটন করেন ৪ রান। লিটনের পর দলীয় ৬৯ রানে নারাইনও সাজ ঘরে ফিরলে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে ইমরুল কায়েসের দল।
যার ফলে পাওয়ার প্লে’র ৬ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ৭৩ রান করা কুমিল্লা পরের ৬ ওভারে করে মাত্র ২৭ রান। জয়, ইমরুল, ডু প্লেসি সবাই একে একে ব্যর্থ হয়ে সাজ ঘরে ফিরতে থাকলে শেষদিলে মঈন আলীর ৩২ বলে ৩৮ রানের ইনিংসে নির্ধারিত ওভার শেষে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৫১ রান সংগ্রহ করে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।
জবাবে মাঝারি লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় ফরচুন বরিশাল। দলীয় মাত্র ৫ রানেই সাজ ঘরে ফিরেন ওপেনার মুনিম শাহরিয়ার। এরপর দ্বিতীয় উইকেট ক্রিস গেইল ও সৈকত আলী ৭৪ রানের জুটিতে জয়ের লক্ষ্যে ভালোভাবেই এগোতে থাকে ফরচুন বরিশাল।
৩৪ বলে ৫৮ রান করে সৈকত ও ৩১ বলে ৩৩ রান করে গেইল বিদায় নিলে কুমিল্লা বোলারদের বোলিং তোপে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে ফরচুন বরিশাল। নুরুল হাসান সোহান ও নাজমুল হোসেন শান্ত ছাড়া বাকি আর কেউ দুই অংকের ঘর স্পর্শ করতে না পারায় শেষ পযর্ন্ত তীরে এসে তরী ডুবে বরিশালে।
শেষ ওভারের নাটকীয়তায় মাত্র ১ রানে হারে সাকিবের বরিশাল। অন্যদিকে কুমিল্লার হয়ে দুইটি করে উইকেট শিকার করেন সুনীল নারাইন ও তানভীর ইসলাম।