যে কারণে শাস্তি হচ্ছে না কোহলিদের
দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে কেপটাউন টেস্টে ডিআরএস বিতর্কে ভারতীয় ক্রিকেটাররা সমালোচনায় ভাসছেন গোটা ক্রিকেট বিশ্বের কাছে। ক্রিকেট মাঠে কোহলি-রাহুলদের এমন আচরণ অশোভন দেখালেও এই ঘটনায় শাস্তি হচ্ছে না তাদের।
মূলত ম্যাচের দুই আম্পায়ার মারাইস এরাসমাস ও আদ্রিয়ান হোল্ডস্টোক তাদের বিরুদ্ধে কোনো আনুষ্ঠানিক অভিযোগ না করায় স্টাম্প মাইক কান্ডে শাস্তি না পেয়েই পার পাচ্ছেন ভারতীয় ক্রিকেটাররা।
এই বিষয়ে ইএসপিএন ক্রিকইনফোর তাদের এক প্রতিবেদনে বলে, ‘বিতর্কিত ওই ঘটনা নিয়ে ভারতের টিম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে কথা বলেছেন আইসিসির ম্যাচ অফিসিয়ালরা। কিন্তু আচরণবিধি ভাঙার কোনো আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।’
এর আগে টেস্টের তৃতীয় দিন ডিন এলগারের একটি এলবিডব্লিউ ডিআরএসে বাতিল হওয়া মেনে নিতে পারেনি ভারত। স্টাম্প মাইকে সেটার প্রতিবাদ করতে দেখা যায় কোহলি-লোকেশ রাহুল-রবিচন্দ্রন অশ্বিনদের।
The bounce of the pitch – a significant factor in Dean Elgar's successful review.#SAvIND pic.twitter.com/GI2rXjgjwd
— SuperSport 🏆 (@SuperSportTV) January 13, 2022
এই ঘটনার পর থেকে সমালোচনার ঝড় শুরু হয়েছে। অনেক সাবেক ক্রিকেটার এই ঘটনায় ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলির শাস্তি দাবি করেছেন। ইংল্যান্ডের প্রাক্তন অধিনায়ক মাইকেল ভন এ বিষয়ে বলেন, ‘কোহলিদের জরিমানা এবং সাসপেন্ড দুটোই করা উচিত।’
দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাক্তনদের মুখেও শোনা যায় এই ধরনের অভিযোগের প্রতিধ্বনি। যদিও শেষমেশ আইসিসি শুধু বেসরকারিভাবে সতর্ক করেই ছেড়ে দিয়েছে ভারতকে ।
আর গোটা বিষয়টি নিয়ে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) কেউ মিডিয়ার কাছে মুখ না খুললেও। বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়, কোহলিদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নেওয়ার কারণ, এটি শুধু ভারত অধিনায়ক বা ভারতীয় বোর্ডের কর্মকর্তাদের নয়, বিশ্বের কাছে ভারতীয় ক্রিকেটের সম্মান আর ভাবমূর্তির প্রশ্ন।
সামনেই দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যাবে ভারতীয় দল। তাই বিদেশ সফরের মাঝপথে বড় পদক্ষেপ নিলে দলের মনোবল নষ্ট হতে পারে। খেলায় তার প্রভাব পড়তে পারে। তাই এই সফরের আগে কিংবা মাঝপথে কোহলির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের সম্ভাবনা কম বলেই জানা গেছে।