ইন্ডিপেন্ডেন্স কাপেও চ্যাম্পিয়ন ওয়ালটন সেন্ট্রাল জোন
বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের (বিসিএল) চারদিনের টুর্নামেন্টের পর এবার একদিনের টুর্নামেন্ট ইন্ডিপেন্ডেনস কাপেরও শিরোপা জিতল ওয়ালটন সেন্ট্রাল জোন। ফাইনালে বিসিবি সাউথ জোনকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে তারা। সাউথ জোনের দেওয়া ১৬৩ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৪ উইকেট হারিয়ে ৪২.৩ ওভারেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় মোসাদ্দেক হোসেনের দল।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালোই করে বিসিবি সাউথ জোন। পিনাক ঘোষ ও এনামুল হক বিজয়ের উদ্বোধনী জুটিতেই ৫১ রান যোগ করে তারা। এরপর সেন্ট্রাল জোনের দুই পেসার সৌম্য সরকার ও মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী ঘূর্ণিতে মাত্র ১৩ রানের ব্যবধানে সাজ ফিরেন দুই ব্যাটার।
পিনাকের ৩৫ ও বিজয় ২০ রানে বিদায় নিলে এরপর থেকে নিয়মিত উইকেট হারাতে থাকে বিসিবি সাউথ জোন। ১১১ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ভীষণ চাপে পড়ে তারা। এরপর ফরহাদ রেজাকে নিয়ে দলের হাল ধরতে চাইলেও ব্যর্থ হন নাহিদুল ইসলাম। শেষ পযর্ন্ত অধিনায়ক জাকির হাসান ও নাহিদুলের ৩১ রানে ইনিংসে সবকয়টি উইকেট হারিয়ে ১৬৩ রানে থামে বিসিবি সাউথ জোনের ইনিংস।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে মিজানুর রহমানকে নিয়ে দুর্দান্ত শুরু করেছিলেন সৌম্য সরকার। দুজনে উদ্বোধনী জুটিতেই করেন ৬৫ রান। এরপর নাসুমের বলে পিনাক ঘোষের হাতে ক্যাচ তুলে সৌম্য সাজ ঘরে ফিরলে এর পরপরই আব্দুল নজিদকে ফেরান শেখ মেহেদী হাসান।
এরপর মাত্র ১১ রানের ব্যবধানে ৪ উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে ওয়ালটন সেন্ট্রাল জোন। তবে শেষ পযর্ন্ত অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন ও আল আমিন জুনিয়রের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে ৪৫ বল ও ৬ উইকেট হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় তারা।
স্কোর:
বিসিবি সাউথ জোন : ১৬৩/১০ (৪৮.৫ ওভার) পিনাক ৩৫, নাহিদুল ৩১, অমিত ২৯, বিজয় ২০; সৌম্য ১৯/২, মৃত্যুঞ্জয় ২৬/২, অপু ২৮/২, মুরাদ ২৯/২, মোসাদ্দেক ৪৫/২
ওয়ালটন সেন্ট্রাল জোন : ১৬৪/৪ (৪২.৩ ওভার) আল আমিন ৫৩*, মিজানুর ৩৯, মোসাদ্দেক ৩৩*, সৌম্য ২১; নাসুম ৩২/৩