বসুন্ধরাকে হারিয়ে ৩১ বছর পর চ্যাম্পিয়ন আবাহনী
স্বাধীনতা কাপের ১১তম আসরে বসুন্ধরা কিংসকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে ৩১ বছর পর চ্যাম্পিয়ন আবাহনী। রাকিব হোসেন ও দোরিয়েলতন গোমেজের গোল উৎসবে দীর্ঘ দিনের খরা কাটিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো স্বাধীনতা কাপের শিরোপা জিতল ঢাকার ঐতিহ্যবাহী দলটি।
শনিবার কমলাপুর বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে ফাইনালের মঞ্চে আবাহনীর প্রতিপক্ষ ছিল বসুন্ধরা কিংস। কাগজ-কলমে কেউ কারও কম নয়। তবে মাঠে শক্তির সেই সমতা যেন আকাশে উবে গিয়েছিল আবাহনীর দুর্দান্ত ফুটবলে। বল দখলে প্রথমার্ধের আধিপত্য অবাহনীর থাকলেও, গোলশূন্য অবস্থায় শেষ হয় ম্যাচের প্রথমার্ধ।
অন্যদিকে বসুন্ধরার হয়ে গত ম্যাচে শেষ মূহুর্তে গোল করে দলকে ফাইনালে তোলা জোনাথনের পরিবর্তে এদিনে শুরু থেকেই ফরোয়ার্ডে মাহবুবুর রহমান সুফিলকে খেলায় কোচ অস্কার ব্রুজন। কিন্তু ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডারের অভাবটা শুরু থেকেই ভালোভাবে টের পায় বসুন্ধরা কিংস।
যার ফলস্বরূপ, দ্বিতীয়ার্ধের প্রথমেই ভালো আক্রমণ থেকে এগিয়ে যায় আবাহনী। রাফায়েলের দারুণ থ্রু পাস ধরে গায়ের সঙ্গে সেঁটে থাকা ইয়াসিন আরাফাতকে গতিতে পরাস্ত করে আগুয়ান জিকোর পাশ দিয়ে নিখুঁত শটে লক্ষ্যভেদ করেন রাকিব।
এরপর ম্যাচের ৬১তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে ব্যবধান দ্বিগুণ করে আবাহনী। আবাহনীর কোস্টারিকান ফরোয়ার্ড বল নিয়ে বক্সে ঢুকলে তাকে ফেলে দেন রিমন হোসেন। আবাহনীর হয়ে পেনাল্টি থেকে গোল করেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড দোরিয়েলতন গোমেজ।
ম্যাচের ৭২তম মিনিটে আবারও বসুন্ধরা জালে বল জড়িয়ে আবাহনীর জয় অনেকটাই নিশ্চিত করে দেন দোরিয়েলতন। রাফায়েল অগাস্তোর কর্নার থেকে বল পেয়ে ডান পায়ের শট নেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড। গতির সঙ্গে নেয়া তার শট ঠেকানোর কোনো রাস্তাই যেন জানা ছিল না বসুন্ধরা গোলরক্ষক জিকোর।
৩ গোলে পিছিয়ে পড়া বসুন্ধরা বাকি সময় চেষ্টা করে ম্যাচে ফিরতে পারেনি। ফলে বড় ব্যবধানের জয় নিয়েই চ্যাম্পিয়নের মুকুট পরে আবাহনী।সর্বশেষ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ১৯৯০ সালে। পরে ২০১৬ সালে ফাইনালে নাম লিখলেও শিরোপা জেতা হয়নি। সেবার তারা শিরোপা হাতছাড়া করে চট্টগ্রাম আবাহনীর কাছে। সে হিসেবে ৩১ বছর পর টুর্নামেন্টের শিরোপা ঘরে তুললো ঢাকা আবাহনীর।