খেলার মাঠে সবার আগে
Nsports-logo

শুক্রবার, ২২শে নভেম্বর ২০২৪

ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ড আজও ধ্রুপদী লড়াই!

0

বর্তমান ক্রিকেট বাজারে বেশ চাঙ্গা ইংল্যান্ড -নিউজিল্যান্ড। বিশ্ব ক্রিকেটের অন্যতম পরাশক্তি এই দুই দলের যুদ্ধটাও বেশ আড়ম্বরপূর্ণ। যেন কেউ কাউকে এক চুল ও ছাড় নয়। ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সেমিফাইনাল, ২০১৯ বিশ্বকাপ ফাইনালের পর এবার ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে মুখোমুখি ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ড। আগের দুবারই জয় পেয়েছে ইংল্যান্ড।

আজ রাতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম সেমিফাইনালে মাঠে নামছে ইংল্যান্ড – নিউজিল্যান্ড। ইংল্যান্ডের শক্তি, সামর্থ্য ভারসাম্য আর নিউজিল্যান্ডের চাঙা মনোবল, দলের প্রয়োজনে খেলোয়াড় দের জ্বলে উঠা।  দুই দলের অধিনায়কের কাছে প্রতিপক্ষের এসব শক্তি সামর্থ্য মাথাব্যাথা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ম্যাচ পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে দুইদলের অধিনায়ক এমন আভাস দিয়ে গেলেন।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম সেমিফাইনাল আজ রাত ৮ টায়।

 

জয়ের দিক দিয়ে এগিয়ে থাকা ইংল্যান্ড দলের অধিনায়ক ইয়ন মরগান বললেন, ‘তাদের বিপক্ষে খেলতে তর সইছে না আমাদের। গ্রুপ পর্বে শীর্ষে থেকে এসেছি, তবে সেরা খেলাটাই খেলতে হবে। আমরা জানি তারা কেমন ধারাবাহিক ও ভালো দল। কেইনের অধীনে নিউজিল্যান্ড সব সময়ই প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক, চ্যালেঞ্জ জানানোর মতো একটা দল। ধারাবাহিকভাবে সেমিফাইনাল, ফাইনাল খেলছে। দল হিসেবে সমন্বিত প্রচেষ্টাই তাদের সবচেয়ে বড় শক্তি। এ ম্যাচে ‘স্ট্রং ফেবারিট’ বলব না নিজেদের। তার ওপর তাদের দলটা পূর্ণ শক্তির, আমাদের চোটের সমস্যা আছে। তবে সবাই মুখিয়ে আছে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলতে’।

২০১৯ বিশ্বকাপের ফাইনালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে নিজেদের নিবেদনের কথা স্বরণ করে দিয়ে নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক কেন উইলামসন বললেন, ‘তাদের বিপক্ষে বেশ কয়েকবারই দারুণ কিছু ম্যাচ খেলেছি। ইংল্যান্ডের বিশেষ করে সাদা বলের ক্রিকেটে উন্নতি চোখে পড়ার মতো, টি-টোয়েন্টিতেও অনেক অভিজ্ঞ। জানি চ্যালেঞ্জটা কেমন। দূরে থেকে দেখে মনে হচ্ছে, আমাদের মতো তারাও প্রতি ম্যাচ ধরে এগোচ্ছে, উন্নতি করতে চাচ্ছে। তাদের ম্যাচ জেতানো অনেক খেলোয়াড় আছে। ব্যাটিং লাইনআপ লম্বা। তবে দিন শেষে দল হিসেবে কেমন করবেন, সেটাই ব্যাপার। ইংল্যান্ড দলে চোটের আঘাতটা নিশ্চিতভাবেই বাজে। তবে এরপরও তারা খুবই শক্তিশালী দল, নিজেদের সেরা পরিকল্পনা নিয়েই নামতে হবে আমাদের। দুই দলই এ ম্যাচের অপেক্ষা করছে। অনেক দিন পর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হচ্ছে, এতে সম্পৃক্ত থাকাটা রোমাঞ্চকর। সেমিফাইনালে এসেছি, আশা করি আরেকটা ম্যাচ খেলতে পারব’।

তবে শেষ পর্যন্ত দেখার বিষয়, চোটাক্রান্ত ইংল্যান্ডকে বধ করে ২০১৯ বিশ্বকাপের দগদগে ক্ষতটা মুছে দিতে পারেন কিনা কেন বাহিনী। নাকি আরো একটি ঐতিহাসিক জয় নিয়ে ফাইনালে পা রাখবে ইংল্যান্ড।

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More

Privacy & Cookies Policy