রেকর্ড গড়েই পরের রাউন্ডে বাংলাদেশ
আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাপুয়া নিউগিনিকে ৮৪ রানের রেকর্ডগড়া জয়ে সুপার টুয়েলভ নিশ্চিত করলো বাংলাদেশ। সাকিব আল হাসান-মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে সুবাদে ১৮১ রানের পাহাড় গড়ে বাংলাদেশ। জবাবে ব্যাট করতে বোলারদের তোপের মুখে পড়ে মাত্র ৯৭ রানেই সব উইকেট হারিয়ে বসে পিএনজি।
প্রথম ম্যাচে স্কটল্যান্ডের কাছে ৬ রানে হেরে সুপার টুয়েলভ নিয়ে কিছুটা সংশয় ভর করে বাংলাদেশ দলে; কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচেই ওমানকে ২৬ রানে হারিয়ে ঘুরে দাঁড়ায় টাইগার। এরপর নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে প্রথমে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে ১৮১ রানের বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করায় বাংলাদেশ। যা কি না বিশ্বকাপে টাইগারদের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহের রেকর্ড।
শুরুতেই ব্যাট করতে নেমে বরাবরই মতই আজও ব্যর্থ টাইগারদের ওপেনিং জুটি। এদিনে কোন রানের খাতা খুলার আগেই মোরেয়া বলে ক্যাচ তুলে সাজ ঘরে ফিরে নাঈম শেখ। পরে ২৩ বলে ১টি করে চার-ছয়ে ২৯ রান করে ফেরেন লিটন।
তৃতীয় উইকেটে ব্যাট হাতে খেলতে নামেন বাংলাদেশের উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম। কিন্তু ক্রিজে থাকতে পারেননি বেশিক্ষণ তিনি। মাত্র ৫ রান তুলে ফেরেন প্যাভিলিয়নে। এরপর অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ঝড়ো ৫০, সাকিব আল হাসানের ৪৬ ও শেষদিকে আফিফ হোসেন, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের ক্যামিওতে ১৮১ রানের সংগ্রহ পায় টাইগাররা।
জবাবে বিশাল লক্ষ্যের তাড়ায় ব্যাট করতে নেমে টাইগার বোলারদের আগুনে বোলিংয়ে তোপের মুখে পড়ে বিশ্বকাপে নবাগত দল পিএনজি। টাইগারদের ক্ষুরধার বোলিংয়ে ২৯ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে ফেলে পাপুয়া নিউগিনি।ব্যাটিং এর পাশাপাশি বল হাতে আজও অনন্য সাকিব আল হাসান। নিজের ৪ ওভারে মাত্র ৯ রান খরচায় নিয়েছেন ৪টি উইকেট। যার সুবাদে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি বনে গেলেন বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার। ৩৯ উইকেট নিয়ে শহীদ আফ্রিদি সাথে যৌথ ভাবে এ অবদানের মালিক সাকিব।
শেষদিকে কিপলিং ডরিগার ঝড়ো ইনিংসে দলীয়ে সংগ্রহকে একটা ভদ্রোচিত চেহারা পায় পিএনজি। একইসঙ্গে টাইগার বোলারদের অনিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে পরাজয়ের ব্যবধান কমিয়ে ৯৭ রানে থামে পাপুয়া নিউগিনির ইনিংস।
টাইগারদের হয়ে সাকিব এর চার উইকেটের পাশাপাশি সাইফউদ্দিন ও তাসকিন নেন দুইটি করে উইকেট।
স্কোর:
বাংলাদেশ : ২০ ওভারে ১৮১/৭ (রিয়াদ ৫০, সাকিব ৪৬, লিটন ২৯, আফিফ ২১, সাইফউদ্দিন ১৯*; ভালা ২৬/২, মরেয়া ২/২৬, রাভু ২/৪০)
পাপুয়া নিউগিনি: ১৯.৩ ওভারে ৯৭/১০ (দরিগা ৪৬*, সোপার ১১; সাকিব ৪/৯ তাসকিন ২/১২, সাইফউদ্দিন ১/২১, মেহেদী ১/২০)