ইনিংস হার উঁকি দিচ্ছে টাইগারদের
গল টেস্টে বীরত্বপূর্ণ ড্র ফিকে হয়ে যাচ্ছে কলম্বোতে। তৃতীয় দিন শেষে ইনিংস হার উঁকি দিচ্ছে টাইগারদের। প্রথম ইনিংসে শ্রীলঙ্কার নেওয়া ২১১ রানের লিডের জবাবে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে বিপর্যয়ে পড়েছে সফরকারীরা।
৯৬ রানে পিছিয়ে থেকে ৬ উইকেট হারিয়ে তৃতীয় দিন শেষ করেছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল।
কলম্বোর সিংহলীজ স্পোর্টস ক্লাব মাঠে বাংলাদেশ দলের বিপর্যস্ত অতীতটাই যেনো আর একবার ফিরে পেতে যাচ্ছে শান্ত’র দল।
ইতিপূর্বে এই মাঠে ৩টি টেস্টের প্রতিটিতেই বড় হারের রেকর্ড আছে বাংলাদেশের-
- ২০০১ সালে ইনিংস ও ১৩৭ রানে
- ২০০২ সালে ২৮৮ রানে এবং
- ২০০৭ সালে ইনিংস ও ২৩৪ রানে হার ।
স্মৃতির পাতায় রয়ে যাওয়া এসব কষ্ট থেকে ২০২৫ -এ এসেও বুঝি বের হতে পারছে না টাইগাররা!
তৃতীয় দিনে দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের স্কোর ১১৫/৬, টেস্টের গতিপথটা যে প্রায় নির্ধারিত হয়ে গেছে।
ইনিংস হার এড়ানোর জন্য এখন দরকার ৯৭ রান।
শ্রীলঙ্কার তিন স্পিন যাদুতে বল ঘুরতে শুরু করেছে। সাথে চলছে শান্তদের উইকেট বিলিয়ে দেয়ার প্রতিযোগিতা।
এমতাবস্থায় আপাতদৃষ্টিতে ইনিংস হার এড়ানোটা বেশ বড় চ্যালেঞ্জ।
গলে দুই ইনিংসেি ব্যর্থ ছিলেন এনামুল হক বিজয়। তবুও এই ওপেনারকে কলম্বোতে সুযোগ দিয়েছে টিম ম্যানেজমেন্ট।
তবে এবারও ব্যর্থতার বৃত্ত ভাঙতে পারলেন না তিনি। ভালো শুরুর আভাস দিয়ে ফের ব্যর্থ হন এই ওপেনার। দলীয় ৩১ রানে ১৯ বলে ১৯ রান করে সাজঘরে ফিরে যান এই টাইগার ওপেনার।
তার বিদায়ের পরই আউট হন আরেক ওপেনার সাদমান ইসলাম। ১২ রান করে ফিরে যান তিনি।
এরপর মুনিলুল হক ও শান্ত মিলে প্রতিরোধ গড়া চেষ্টা করেন। তবে ব্যর্থ হন তারা।
মুমিনুল ১৫ ও শান্ত ১৯ রান করে সাজঘরে ফিরে যান। এরপর মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাস মিলে ইনিংস মেরামতের চেষ্টা করেন। তবে দিনের শেষ বেলায় আরও দুই উইকেট হারিয়ে চরম বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ।
স্কোরঃ
শ্রীলঙ্কা ১ম ইনিংস: ১১৬.৫ ওভারে ৪৫৮ (নিশাঙ্কা ১৫৮, চান্ডিমাল ৯৩, কুশল ৮৪; তাইজুল ৫/১৩১, নাঈম ৩/৮৭)।
বাংলাদেশ: ২৪৭ ও ৩৮.৪ ওভারে ১১৫/৬ (মুশফিক ২৬, এনামুল ১৯, নাজমুল ১৯, মুমিনুল ১৫, লিটন ১৩*; ধনাঞ্জয়া ২/১৩, জয়াসুরিয়া ২/৪৭)।