আলোক স্বল্পতায় আবাহনী-কিংস ফাইনাল অসমাপ্ত!
দেশের ফুটবল ইতিহাসে নতুন ঘটনা। ময়মনসিংহে তীব্র ঝড় ও বৃষ্টিতে থমকে থমকে চলতে থাকা ফেডারেশন কাপ ফাইনাল ম্যাচটি অতিরিক্ত সময়ের প্রথমার্ধ্ব শেষে স্থগিত হয়েছে। মূলত আলোক স্বল্পতায় আবাহনী-কিংস ফাইনাল অসমাপ্ত রয়ে গেছে।
আবাহনী ও বসুন্ধরা কিংসের ফাইনাল ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ের প্রথমার্ধ শেষ। রেফারি সায়মন হাসান সানি দুই দলের অধিনায়ক ও কর্মকর্তাদের ডাকলেন।
ময়মনসিংহের রফিক উদ্দিন ভূইয়া স্টেডিয়ামে ফ্লাডলাইট নেই। ফলে পরের ১৫ মিনিট খেলা ঝুঁকিপূর্ণ। এই বিবেচনায় রেফারি আজকের ফাইনাল এখানে স্থগিত করেছেন। বাফুফের লিগ কমিটি ফাইনালের পরবর্তী অংশের দিন ও সময় পরবর্তীতে নির্ধারণ করবে।
তবে, পরবর্তী দিনে ১৫ মিনিটের মাঝে খেলা মীমাংসা না হলে টাইব্রেকার থেকে বিজয়ী নির্ধারিত হবে।
ঘরোয়া ফুটবলে আলোর স্বল্পতার জন্য খেলা না হওয়ার ঘটনা সাম্প্রতিক অতীত কিংবা আগে কখনো শোনা যায়নি। আজ আকস্মিক ঝড়ের জন্য খেলার মাঝে এক ঘণ্টার বিরতি ছিল। এজন্য ম্যাচটি আলোর স্বল্পতার মধ্যে পড়ে যায়।
ঘরোয়া ফুটবল লিগে কয়েক বছরের মধ্যে অবশ্য দুই দিনে ম্যাচ অনুষ্ঠিত হওয়ার ঘটনা আছে। সিলেটে শেখ রাসেল ও বসুন্ধরা কিংসের ম্যাচ দুই দিনে হয়েছে বৃষ্টির জন্য। এ রকম আরো ঘটনা আছে।
অতিরিক্ত সময়ের প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার সময় কিংস দশ জনের দলে পরিণত হয়। ফয়সাল আহমেদ ফাহিম আবাহনীর ফুটবলারকে পেছন থেকে অযথা লাথি দিয়ে সরাসরি লাল কার্ড দেখেন।
দশ জন নিয়ে মিনিট তিনেক খেলার পরই রেফারি অতিরিক্ত সময়ের প্রথমার্ধ শেষ করার বাঁশি বাজান। এরপর আর খেলা শুরু না করে আজকের মতো স্থগিত করেন।
প্রতিপক্ষ কিংস দশ জনের দল ছিল এজন্য আবাহনী খেলা স্থগিতের সিদ্ধান্তে নাখোশ ছিল। আবাহনীর ম্যানেজার সত্যজিত দাশ রুপু এ নিয়ে বেশ অসন্তোষ প্রকাশও করেন।
প্রসঙ্গত, আলোর স্বল্পতা বিবেচনা করেই বাফুফে ফেডারেশন কাপের ফাইনাল বিকেল পৌনে ৩টায় দিয়েছিল। যাতে অতিরিক্ত সময়, টাইব্রেকার সব কিছুই যেন সূর্যের আলোয় হয়।
দ্বিতীয়ার্ধের দ্বিতীয় মিনিটে কালবৈশাখী ঝড় সকল কিছু লণ্ডভণ্ড করে দেয়। খেলা বন্ধ থাকে এক ঘণ্টারও বেশি সময়। এরপর ডাগআউট টেন্ট ও ভেজা মাঠেই খেলা শুরু হয়।
ভেজা মাঠে দুই দলের কেউই স্বাভাবিক ফুটবল খেলতে পারেনি। তবে কর্দমাক্ত মাঠে কিংসের সোহেল রানা সবচেয়ে সহজ সুযোগ মিস করেন।
ফয়সাল আহমেদ ফাহিমের ক্রসে রাকিব হেড করে বল নামিয়ে দেন সোহেল রানাকে। তিনি আনমার্কড থেকেও বল পোস্টের ওপর দিয়ে মারেন।
ভেজা মাঠে কিংস তুলনামূলক বেশি আক্রমণ করেছে। এক্ষেত্রে তারা কিছুটা সহায়তাও পেয়েছে। কারণ আবাহনীর বক্সে পানি তুলনামূলক কম ছিল।
পক্ষান্তরে, আবাহনী ম্যাচের শেষ দিকে কিংসের বক্সে গোলের সুযোগ পেয়েও বল জালে জড়াতে পারেনি বল পানিতে আটকে যাওয়ায়।