শেষ মুহূর্তে বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিতের পর দেশে ফিরে যা বললেন জ্যোতি
অনেক যদি-কিন্তুর সমীকরণ মিলিয়ে শেষ মুহূর্তে বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত করেছেন নিগার সুলতানা জ্যোতির দল। পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের সেরা দুই দলের একটি হয়ে আজ সন্ধ্যায় দেশে ফিরেছে জাতীয় নারী দল। গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে অধিনায়ক জ্যোতি জানালেন লক্ষ্যটা এখন ভারতের মাটিতে ভালো কিছু করার।
বিশ্বকাপ বাছাইয়ে থাইল্যান্ড নারী দলের ইনিংস শেষের পর আইসিসি ওয়েবসাইট থেকে জানানো হয়, ১৬৭ রানের টার্গেট ১০ দশমিক ১ ওভারে স্পর্শ করলেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ যাবে বিশ্বকাপে। তবে সেটা ১১ ওভারেও নেয়া সম্ভব।
সেজন্য শুরুতে ১৬৬ রান করতে হতো তাদের। এরপর ছক্কা হাঁকিয়ে ১৭২ রান করতে পারলে ১১ ওভারে ম্যাচ জিতেও বাংলাদেশকে ছাপিয়ে তারা যাবে বিশ্বকাপে। তবে শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশই পেয়েছে বিশ্বকাপের টিকিট।
থাইল্যান্ডের দেওয়া ১৬৭ রানের লক্ষ্য তাড়ায় কঠিন সমীকরণও প্রায় মিলিয়ে ফেলেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। রানরেটের মারপ্যাঁচে এগিয়ে থেকে শেষ মুহূর্তে বিশ্বকাপের টিকিট খেলা নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ।
বিশ্বকাপে খেলা নিশ্চিত হওয়ায় পর টাইগ্রেসরা আজ সোমবার (২১ এপ্রিল) বিকেলে দেশে ফিরেছে।
দেশে ফিরে বিমানবন্দরে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন বাংলাদেশ অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি। সেখানে তিনি বলছিলেন,
‘আমরা প্রথমদিকে ভালোই করেছিলাম। যেহেতু শেষ দিকে আমাদের ওই সুযোগটা ছিল যে আমরা কোয়ালিফাই করতে পারব। শুরুতে আমরা ভালো চেষ্টা করেছি, তো স্টিল প্রথম তিন ম্যাচে ভালো করার ফলে কিন্তু আমরা সুযোগ পেয়েছি। তবে দুইটা ম্যাচ ভালো করতে পারিনি।
থাইল্যান্ডের রান দেখে মনে এতটুক বিশ্বাস ছিল যে সবকিছু যদি ঠিকঠাক থাকে তাদের যে টার্গেট ছিল হিউজ। তো স্টিল তারা যেভাবে করেছে, আল্লাহ আসলে কপালে না রাখলে হতো না।’
এর আগে বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ বলেন,
‘আমি আমাদের নারী দলকে আইসিসি নারী বিশ্বকাপ ২০২৫-এ খেলার যোগ্যতা অর্জনের জন্য অভিনন্দন জানাচ্ছি। পর্দার আড়ালে থেকে অক্লান্ত পরিশ্রমের জন্য কোচিং স্টাফ এবং টিম ম্যানেজমেন্টকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’
বিসিবি সভাপতি আরো বলেন,
‘ভারত বিশ্বকাপের দিকে তাকিয়ে আমি আমাদের খেলোয়াড়দের প্রস্তুতিতে মনোযোগী এবং শক্ত থাকতে জন্য অনুরোধ করছি। বিসিবি সম্পূর্ণভাবে আপনাদের পাশে আছে। আপনারা যাতে সম্ভাব্য সেরা অবস্থায় টুর্নামেন্টে যেতে পারেন তা নিশ্চিত করার জন্য আমরা প্রয়োজনীয় সকল সহায়তা প্রদান করব।
আমরা আপনাদের প্রতিভা ও সম্ভাবনার উপর বিশ্বাস রাখি এবং আশা করি আপানরা বিশ্ব মঞ্চে জাতিকে গর্বিত করবেন।’
প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ বিশ্বকাপে আরও ভালো করা প্রসঙ্গে জ্যোতি বলেন,
‘এখন আমাদের দায়িত্ব কীভাবে বিশ্বকাপের জন্য আরও ভালো ভাবে নিজেদের প্রস্তুত করতে পারি। এই টুর্নামেন্ট শেষে ব্যক্তিগত পর্যায়ে ক্রিকেটাররা নিজেদের মূল্যায়নের সুযোগ পাচ্ছে। কেননা এভাবে বাছাইপর্বের মতো খেললে আমরা হয়তো এমন ফলাফলই পাবো। বিশ্বকাপ আরও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে, তাই আমাদেরকেও আরও ভালোভাবে তৈরি হতে হবে।’