ফাইনালে ওঠা হলোনা বাংলাদেশের
সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে ১৬ বছর পর ফাইনাল খেলার স্বপ্ন অধরাই থেকে গেলল বাংলাদেশের। শেষ মুহূর্তে রেফারির বিতর্কিত সিদ্ধান্তে পেনাল্টিতে গোল হজম করে নেপালের সঙ্গে ড্র করে সাফ থেকে বিদায় নিলো লাল-সবুজরা।
প্রায় দেড় যুগ পর ফাইনালের মাটিতে পা রাখতে হলে নেপালের বিপক্ষে জয় ছাড়া কোন বিকল্প ছিলনা অস্কার ব্রুজোনের শিষ্যদের। অন্যদিকে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে প্রথমবারের মত ফাইনাল উঠতে নেপাল এর প্রয়োজন শুধুমাত্র ড্র।
গত তিন আসরে নেপাল এর বিপক্ষে কোন জয় না পাওয়া বাংলাদেশ খেলার ৮৬ মিনিট পযর্ন্ত লিডটা ধরে রেখেছিল নিজেদের দখলে। কিন্তু শেষ মুহূর্তেই স্বপ্নভঙ্গ। বিপজ্জনক জায়গায় নেপালের এক ফুটবলারকে ফেলে দিলেন ডিফেন্ডার সাদউদ্দিন। রেফারি পেনাল্টির বাঁশি বাজাতেই সব শেষ।
এদিনের ম্যাচের শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। ম্যাচের মাত্র ২ মিনিটেই ফাউল করে হলুদ কার্ডের দেখা পায় তপু বর্মণ। এরপর অবশ্যই ম্যাচের ৯ মিনিট এর মাথায় প্রথম গোল দিয়ে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। জামাল ভুইঁয়ার ফ্রিকিকটা নেপালের এক খেলোয়াড়ের গায়ে লেগে খানিকটা দিক বদলে বক্সে আনমার্কড সুমন রেজার কাছে গেলে দুদার্ন্ত এক হেডে বল জালে জড়িয়ে দেন।
এরপর ১৩ মিনিটে সাদ উদ্দিনের দূরপাল্লার শট গোলপোস্টের বাইরে দিয়ে যায়। ১৭ এবং ১৮ মিনিটে আক্রমণ শানায় বাংলাদেশ দল। তবে গোল আদায়ে ব্যর্থ হয়।
ম্যাচের প্রথমার্ধে বল দখলে ভালোই নিয়ন্ত্রণ রাখে নেপাল। বিপরীতে অনেকটা অগোছালো ফুটবল খেলেও, সুযোগ মত একের পর এক আক্রমণ করতে থাকে বাংলাদেশ। এরপর উভয় দল আর কোন গোল করতে না পারায় ১-০ লিড নিয়ে প্রথমার্ধ শেষ করে বাংলাদেশ।
দ্বিতীয়ার্ধে শুরুতেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে থাকে নেপাল। একের পর এক আক্রমণ করে বাংলাদেশের ডিফেন্স লাইনে ভয় ধরিয়ে দেয় তারা। এরপর ম্যাচের ৭৮ মিনিটে অঘটন ঘটে যায় বাংলাদেশের। বক্স থেকে বেরিয়ে এসে বলে হাত লাগিয়ে দেন জিকো। লাল কার্ড দেখিয়ে দেন রেফারি। দশ জনের দল হয়ে যায় বাংলাদেশ, ব্রুজোন এরপর নামান রানা আর ফাহাদকে।
এরপর ম্যাচের ৮৮তম মিনিটে নেপালকে বিতর্কিত এক পেনাল্টি উপহার দেন রেফারি। সেই পেনাল্টি থেকে গোল করে ম্যাচে সমতা ফিরিয়ে আনেন নেপালের অঞ্জন বিস্তা। ম্যাচের বাকি সময় আর গোল করতে না পারায় ড্র নিয়েই মাঠ ছাড়ে ১০ জনের বাংলাদেশ।
এই নিয়ে টানা পাঁচবারের মত সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিলো বাংলাদেশ। ১৬ বছর ধরে ফাইনাল না খেলার পথ আরো দীর্ঘায়িত হল জামাল ভূঁইয়াদের।