সাহসী লড়াইয়ে আম্মানে তিন জাতির আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টের শেষ ম্যাচেও অপরাজিত থাকল আফঈদা খন্দকারের দল। দুইবার পিছিয়ে পড়েও শেষ পর্যন্ত ২-২ গোলের ড্র।
ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ৫৯ ধাপ এগিয়ে থাকা জর্ডানের মতো শক্তিশালী প্রতিপক্ষের বিপক্ষে প্রতিকূল পরিবেশে জয়ের সমান এক ড্র বাংলাদেশের নারী ফুটবল দলের জন্য কম কিসের!
ইন্দোনেশিয়াকে রুখে দেওয়ার আত্মবিশ্বাস নিয়ে মাঠে নেমে ম্যাচের ৫ মিনিটেই জর্ডানের অধিনায়ক জেবারাহর গোলে পিছিয়ে পড়ে বাংলাদেশ।
তবে ৪৩তম মিনিটে সমতা ফেরান দুটি উইমেন’স সাফ জয়ী ফরোয়ার্ড শামসুন্নাহার জুনিয়র।
দ্বিতীয়ার্ধে (৫৮ মিনিট) আবারও বিতার বানার লক্ষ্যভেদে এগিয়ে যায় ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের চেয়ে ৫৯ ধাপ ওপরে থাকা জর্ডান। কিন্তু ৮২ মিনিটে শাহেদা আক্তার রিপার গোলে ম্যাচ শেষ হয় ২-২ সমতায়।
২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে উইমেন’স এশিয়ান কাপের বাছাইয়ে আগের দেখায় জর্ডানের কাছে ৫-০ গোলে উড়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ।
চার বছর পর সেই দলের বিপক্ষে দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই করে ড্র আদায়—বাংলাদেশের মেয়েদের জন্য এ যেন জয়ের সমান।
ইন্দোনেশিয়ার বিপক্ষে গোলশূন্য ড্রয়ের পর এই ম্যাচেও পয়েন্ট আদায় করে টুর্নামেন্টের দুটি ম্যাচই ড্র করেছে বাংলাদেশ।
আম্মানের কিং আবদুল্লাহ স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় রাত ১০টায় শুরু হওয়া ম্যাচে লাল-সবুজের দল খেলেছে মাথা উঁচু করেই। ম্যাচ শেষে মেয়েরা ছিলেন উচ্ছ্বসিত–আনন্দিত।
ম্যাচের আগের দিন সহকারী কোচ মাহবুবুর রহমান বলেছিলেন,
‘আশা করি মেয়েরা নিরাশ করবে না। ম্যাচ বাই ম্যাচ উন্নতি হচ্ছে। শেষ ম্যাচেও ভালো খেলে জয় নিয়েই ফিরবে, এই বিশ্বাস আমাদের আছে।’
জয় না হোক, এ ড্র-ই বাংলাদেশের নারী ফুটবল দলের জন্য সাহস, আত্মবিশ্বাস আর ভবিষ্যতের পথচলার শক্তি।
চলতি মাসের শেষ দিকে মিয়ানমারে হতে যাওয়া উইমেন’স এশিয়ান কাপের বাছাইয়ের আগে নিজেদের শক্তি-দুর্বলতা যাচাই করে নিতে চেয়েছিলেন বাংলাদেশ কোচ বাটলার।
সে চাওয়া পূরণের পাশাপাশি শক্তিশালী দুই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে হার এড়িয়ে নিজেদের উন্নতির ছাপ দেখাল মেয়েরা।
৩১ মে প্রথম ম্যাচে ইন্দোনেশিয়ার বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র করেছিল। আজ স্বাগতিক জর্ডানের বিপক্ষে ২-২ ড্র হয়েছে।
এর আগে সংযুক্ত আরব আমিরাত সফরে গিয়ে স্বাগতিকদের কাছে দুই ম্যাচেই হেরেছিল বাংলাদেশ। দুই ম্যাচে স্কোরলাইন ছিল ৩-১ করে।