হৃদয়ের দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে লড়াকু পুঁজি বাংলাদেশের
‘নতুন বল’ বাংলাদেশের ব্যাটারদের জন্য রীতিমতো আতঙ্কের নাম। আর বরাবরের মতো টপ অর্ডার যেন তাসের ঘর। দুবাইয়ের স্লো উইকেটেও নতুন বলে ভারতীয় পেসারদের সামলাতে হিমশিম খেয়েছেন টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানরা। সৌম্য সরকার-নাজমুল হোসেন শান্তদের ব্যর্থতায় শুরুতেই পথ হারায় বাংলাদেশ। ৩৫ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে টাইগাররা যখন খাদের কিনারায় কোনোমতে আটকে আছে, তখন শক্ত হাতে হাল ধরেন তাওহিদ হৃদয় ও জাকের আলি। ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে রেকর্ড গড়ে জাকের ফিরলেও সেঞ্চুরি পেয়েছেন হৃদয়। তাতে লড়াইয়ের পুঁজি পায় বাংলাদেশ।
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ টস জিতে ব্যাটিং শুরু করে, কিন্তু প্রথম কিছু ওভারে আক্রমণাত্মক ভারতের বোলিংয়ের সামনে দুশ্চিন্তায় পড়ে যায়। ইনিংসের ষষ্ঠ বলেই সৌম্য সরকার ২ বলে শূন্য রান করে ফিরেন। পরবর্তী বলে শান্তও শূন্য রানে আউট হয়ে যান। এতে ২ রানে দুটি উইকেট হারিয়ে শুরুতেই বিপদে পড়ে বাংলাদেশ।
এরপর মেহেদী হাসান মিরাজও বড় কিছু করতে পারেননি এবং ১০ বলে ৫ রান করে আউট হন। ওপেনার তানজিদ তামিম এক প্রান্ত আগলে থাকার চেষ্টা করলেও ৯ম ওভারের দ্বিতীয় বলে আউট হয়ে যান। পরের বলেই মুশফিকুর রহিমও ডাক আউট হয়ে সাজঘরে ফিরে যান, ফলে ৩৫ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল বাংলাদেশ।
তবে এরপর তাওহীদ হৃদয় এবং জাকের আলী ম্যাচে ফেরেন। তারা ধৈর্যশীল ব্যাটিংয়ের মাধ্যমে দলের সংগ্রহ বাড়াতে থাকেন। জাকের ৮৭ বল খেলে ফিফটি করেন, আর হৃদয় ৮৫ বলে ৫০ রান পূর্ণ করেন। তাদের ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ ১৫০ রানের বেশি স্কোর করে।

৪৩ তম ওভারে মোহাম্মদ শামির বলে বাউন্ডারি লাইনে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান জাকের আলী, ১১৪ বলে ৬৮ রান করেন তিনি। এরপর তরুণ রিশাদ হোসেন চেষ্টা করলেও ১২ বলে ১৮ রান করে ফিরে যান।
অবশেষে হৃদয় একপ্রান্ত আগলে সেঞ্চুরির দ্বারপ্রান্তে পৌঁছান, তবে পায়ে আঘাতের কারণে দৌড়ে রান নিতে সমস্যায় পড়েন। তিনি ১১৩ বলে ৫০ রান পূর্ণ করেন। শেষ দিকে ৬ বলে ৩ রান করে তাসিকন আউট হন। ইনিংসের শেষ ওভারের তৃতীয় বলে হৃদয়ও ক্যাচ আউট হন, ফলে বাংলাদেশ ২২৮ রানে অলআউট হয়ে যায়।
ভারতের পক্ষে মোহাম্মদ শামি সর্বোচ্চ ৫ উইকেট শিকার করেন, এছাড়া হার্সিত রানা ৩টি এবং অক্ষর প্যাটেল ২টি উইকেট নিয়েছেন।