গ্রিনের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে স্কটল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ
প্রথমে বল হাতে তিন উইকেট নিয়ে স্কটল্যান্ডকে অল্পতে বেঁধে দেন। তারপর ব্যাট হাতে অপরাজিত ইনিংস খেলেন। ক্যামেরন গ্রিন অলরাউন্ড নৈপুণ্য দেখালেন। এডিনবার্গে স্কটল্যান্ডকে ৬ উইকেটে হারিয়ে হোয়াইটওয়াশ করার নায়ক তিনি।
টসে জিতে অস্ট্রেলিয়া ফিল্ডিং নেয়। তারপর ১৮ রানে স্কটল্যান্ড প্রথম উইকেট হারালেও জর্জ মানসির সঙ্গে ব্র্যান্ডন ম্যাকমুলেন দাঁড়ানোর চেষ্টা করছিলেন। মানসিকে (২৫) ফিরিয়ে ৩৪ রানের জুটি ভেঙে ব্রেকথ্রু আনেন গ্রিন। দ্বিতীয় ম্যাচের মতো তারপর কেবল একাই লড়াই করেছেন ম্যাকমুলেন।
গ্রিনের পরের দুই শিকার স্কটিশ অধিনায়ক রিচি বেরিংটন ও মাইকেল লিস্ক। ম্যাকমুলেন ৩৯ বলে ৫৬ রানের সেরা ইনিংস খেলেন। তার টানা দ্বিতীয় ফিফটি বিফলে গেলো। কারণ পুঁজিটা ছিল বেশ সাদামাটা। ৯ উইকেটে ১৪৯ রান করে স্বাগতিকরা।
গ্রিন ৩৫ রান দিয়ে তিন উইকেট নেন। দুটি করে উইকেট পান অ্যারন হার্ডি ও শন অ্যাবট।
লক্ষ্যে নেমে ট্র্যাভিস হেড (১২) ও জেক ফ্রেসার ম্যাকগুর্ক (০) টানা দ্বিতীয় ম্যাচে ব্যর্থ হন। দুই ওপেনারের বিদায়ে কোনও সমস্যা হয়নি অজিদের। মিচেল মার্শকে নিয়ে গ্রিন ৬১ রানের জুটি গড়েন। মার্শ (৩১) বিদায় নেওয়ার পর টিম ডেভিডের সঙ্গে ৫২ রানের জুটি গড়েন। ডেভিডও (২৫) গ্রিনের সঙ্গে জয়ের সঙ্গী হতে পারেননি।
অ্যারন হার্ডিকে নিয়ে গ্রিন দলকে জয়ের বন্দরে নেন। তিনি ৩৯ বলে ২ চার ও ৫ ছয়ে ৬২ রানে অপরাজিত ছিলেন। ১১ রানে খেলছিলেন হার্ডি। ১৬.১ ওভারে ৪ উইকেটে ১৫৩ রান করে অস্ট্রেলিয়া।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
স্কটল্যান্ড: ২০ ওভারে ১৪৯/৯ (মানজি ২৫, হেয়ারস ১২, ম্যাকমুলেন ৫৬, বেরিংটন ৮, ক্রস ৭, লিস্ক ১৩, ওয়াট ১৮, জার্ভিস ৩, সোল ২, শারিফ ১*, কারি ১*; হার্ডি ৩-০-১৮-২, অ্যাবট ৪-০-২৮-২, কনোলি ৩-০-২৫-০, স্টয়নিস ২-০-১৪-১, গ্রিন ৪-০-৩৫-৩, জ্যাম্পা ৪-০-২৮-১)
অস্ট্রেলিয়া: ১৬.১ ওভারে ১৫৩/৪ (হেড ১২, ম্যাকগার্ক ০, মার্শ ৩১, গ্রিন ৬২*, ডেভিড ২৫, হার্ডি ১১*; ম্যাকমুলেন ৩-০-২৩-০, কারি ৩-০-২০-২, সোল ৩.১-০-২৮-১, শারিফ ২-০-২০-০, ওয়াট ৩-০-৩৮-০, জার্ভিস ২-০-২২-১)
ফল: অস্ট্রেলিয়া ৬ উইকেটে জয়ী
সিরিজ: ৩ ম্যাচের সিরিজ ৩-০তে জয়ী অস্ট্রেলিয়া
ম্যান অব দা ম্যাচ: ক্যামেরন গ্রিন