মেডেন সুপার ওভার; টি–টোয়েন্টিতে বিশ্বরেকর্ড!
ক্রিকেট ইতিহাসের হরহামেশাই নতুন নতুন রেকর্ড হতেই থাকে। তবে এবার ঘটে গেল এক অদ্ভুতুড়ে রেকর্ড। মেডেন সুপার ওভার যা টি–টোয়েন্টিতে বিশ্বরেকর্ড!
সুপার ওভার ঘিরে বরাবরই বাড়তি উন্মাদনা থাকে দর্শকদের মধ্যে। এর অবশ্য যথেষ্ট কারণও আছে। এক ওভারের মধ্যে ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ হয়। ফলে এখানে বলে বলেই মোড় নেয় ম্যাচের ভাগ্য! কিন্তু এবার সুপার ওভারে ঘটল ভিন্ন এক ঘটনা। যা আগে কখনো দেখেনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট।
শুক্রবার (১৪ মার্চ) মালয়েশিয়ায় ত্রিদেশীয় সিরিজে বাহরাইন ও হংকংয়ের মধ্যকার ম্যাচটি গড়ায় সুপার ওভারে। হংকংয়ের বিপক্ষে সুপার ওভারে কোনো রান না করেই গুটিয়ে যায় বাহরাইন। সুপার ওভারে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এমন ঘটনা এবারই প্রথম।
বাহরাইন সুপার ওভারে আগে ব্যাটিং করেছে। এহসান খানের করা সুপার ওভার শুরু হয় ডট বল দিয়ে। প্রথম বল ডট হওয়ার পরের দুই বলে টানা দুই উইকেট হারিয়েছে তারা। দ্বিতীয় বলে বাবর হায়াতকে ক্যাচ দিয়েছেন আমের বিন। আর তৃতীয় বলে নিজাকাত খানের হাতে ধরা পড়েন সোহাইল আহমেদ।
আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী, সুপার ওভার দুই উইকেটের খেলা হয়। ফলে তিন বলের মধ্যেই দুই উইকেট হারিয়ে অলআউট হয় বাহরাইন।
এক রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে হংকংয়ের ৩ বল লেগেছে জয়ের বন্দরে পৌঁছাতে। বাবর ইনিংসের প্রথম দুই বল ডট খেলেছেন। তিন নম্বর বলে এক রান নিয়ে ম্যাচ জিতিয়েছেন তিনি।
টি-টোয়েন্টিতে সুপার ওভারে এর আগে সর্বনিম্ন ছিল গত বছরের জানুয়ারিতে আফগানিস্তানের করা ১ রান। বেঙ্গালুরুতে ভারতের বিপক্ষে সেটি ছিল ম্যাচের দ্বিতীয় সুপার ওভার।
ওয়ানডে ক্রিকেটে সুপার ওভার হয়েছে ৪ বার, যেখানে সর্বনিম্ন রান ২। ২০২০ সালে নভেম্বরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সুপার ওভারে ২ রান করেছিল পাকিস্তান।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এ ঘটনা নতুন হলেও টি-টোয়েন্টি লিগে এটা নতুন কিছু নয়। টি-টোয়েন্টি লিগগুলোতে সুপার ওভারে কোনো রান না করতে পারার ঘটনা আছে একাধিকবার।
২০০৯ সালে চ্যাম্পিয়নস লিগে সাসেক্সের বিপক্ষে দক্ষিণ আফ্রিকার দল ঈগলসের হয়ে সিজে ডি ভিলিয়ার্স সুপার ওভার মেডেন দিয়েছিলেন। সুপার ওভারে মেডেন দেওয়া বোলারদের একজন সুনীল নারাইনও। তিনি অবশ্য এ তালিকায় একটু ব্যতিক্রম।
মেডেন সুপার ওভারের সেই ম্যাচে নারাইন সেদিন ওভারের ৬টি বলই করেছেন। ম্যাচটি ছিল ২০১৪ সালের সিপিএলে। গায়ানা অ্যামাজন ও ত্রিনিদাদ ও টোবাগো রেড স্টিলের সে ম্যাচে গায়ানার হয়ে খেলছিলেন নারাইন। তাঁর করা সেই ওভারে প্রথম ৪ বল ডট খেলার পর পঞ্চম বলে আউট হন নিকোলাস পুরান। ওভারের শেষ বলটি ডট খেলেন রস টেলর।