খেলার মাঠে সবার আগে
Nsports-logo

বৃহস্পতিবার, ২১শে নভেম্বর ২০২৪

ফাইনালে অ্যাডিলেইড স্ট্রাইকার্সের কাছে হারলো বাংলাদেশ এইচপি

অস্ট্রেলিয়ায় টপ এন্ড টি-টোয়েন্টি সিরিজের ফাইনালে বাংলাদেশ এইচপিকে ৩২ রানে হারায় অ্যাডিলেইড। ডারউইনে রোববার ১৭০ রানের লক্ষ্যে ১৩৭ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশের ইনিংস।

এই ম্যাচ দিয়েই শেষ হলো বাংলাদেশ এইচপি দলের অস্ট্রেলিয়া সফর। টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে ৮ ম্যাচে তাদের জয় ৪টি। এর আগে পাকিস্তান শাহিনসের (‘এ’ দল) বিপক্ষে তারা ১-১ ড্র করে চার দিনের ম্যাচের সিরিজ। আর দুটি এক দিনের ম্যাচেও তাদের জয়-পরাজয় ১টি করে।

তানজিদ হাসান ছাড়া ফাইনালে আর কেউ রানের দেখা পাননি। সাম্প্রতিক হতাশা ঝেরে ফেলার আভাস দেওয়া এই ওপেনারও অবশ্য নিজের ইনিংস বড় করতে পারেননি। ব্যর্থতার ধারা আরও দীর্ঘায়িত করেন জিসান আলম, পারভেজ হোসেন, আফিফ হোসেনরা।

পুরো সফরেই ধারাবাহিক বোলিং করা রিপন মণ্ডল ফাইনালেও নেন ২ উইকেট। সব মিলিয়ে ৮ ম্যাচে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ ১৫ উইকেট নেন তিনি। এছাড়া ১২ উইকেট নিয়ে টুর্নামেন্ট শেষ করেন বাঁহাতি স্পিনার রকিবুল হাসান।

মারার ওভালে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামে অ্যাডিলেইড। দ্বিতীয় ওভারে রান আউট হন দুই দলের আগের ম্যাচের নায়ক জেইক উইন্টার। পাওয়ার প্লেতে আর সাফল্য পায়নি বাংলাদেশ। দশম ওভারে হ্যারি মাথিয়াসকে বোল্ড করে ৫৯ রানের জুটি ভাঙেন মাহফুজুর রহমান রাব্বি।

এক ওভার পর ৫৩ রান করা টম ও’কোনেলকে বোল্ড করেন আফিফ হোসেন। ৩৩ বলের ইনিংসে ৫ চারের সঙ্গে ২টি ছক্কা মারেন ও’কোনেল।

পরে দলকে বড় সংগ্রহ এনে দেওয়ার দায়িত্ব নেন অধিনায়ক লিয়াম স্কট ও রায়ান কিং। দুইটি করে চার-ছক্কায় ১৮ বলে ৩০ রান করেন স্কট। কিংয়ের ব্যাট থেকে আসে ৫ চারে ১৯ বলে ৩৫ রান। এছাড়া ১৩ বলে ২০ রান করেন স্যাম রাহালে।

রান তাড়ায় কিছুটা ধীরে শুরু করেন জিসান ও তানজিদ। তবু বেশিক্ষণ টিকতে পারেনি এই জুটি। পঞ্চম ওভারে কট বিহাইন্ড হয়ে ফেরেন ১৯ বলে ১৮ রান করা জিসান। অবশ্য তার আউটে আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত নিয়ে সংশয়ের জায়গা আছে যথেষ্টই। ধারাভাষ্যকাররাও ওই সিদ্ধান্তে সন্দেহ প্রকাশ করেন।

দলের পঞ্চাশ হওয়ার আগে থামেন পারভেজ। ১১তম ওভারে তিন বলের মধ্যে ফেরেন তানজিদ ও অধিনায়ক আকবর। ২ চার ও ১ ছক্কায় ২৯ বলে ৩৫ রান করেন তানজিদ। রানের খাতা খুলতে ব্যর্থ হন আকবর। মাঠ ছাড়ার আগে তিনিও আম্পায়ারের এলবিডব্লিউর সিদ্ধান্তে অসন্তোষ প্রকাশ করেন।

প্রথম বলে বাউন্ডারি মেরে যাত্রা শুরু করলেও টিকতে পারেননি শামীম হোসেন। এর আগের তিন ম্যাচে কার্যকর ইনিংস খেলা বাঁহাতি ব্যাটসম্যান এবার ফেরেন ৪ রানেই।

এরপর একপ্রান্ত ধরে রাখেন মাহফুজুর। তবে অন্যপ্রান্তে নিয়মিতই পড়তে থাকে উইকেট।

নবম ব্যাটসম্যান হিসেবে ফেরার আগে ৩ চারে ১৯ বলে ২১ রান করেন মাহফুজুর।

অ্যাডিলেইডের প্রথম পাঁচ বোলারের সবাই নেন ২টি করে উইকেট।

ব্যাট হাতে ৩০ রানের ইনিংসের পর বোলিংয়ে ২ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেন স্কট।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

অ্যাডিলেইড স্ট্রাইকার্স: ২০ ওভারে ১৬৯/৭ (উইন্টার ৪, মাথিয়াস ১৯, ও’কোনেল ৫৩, স্কট ৩০, মানেন্তি ১, কিং ৩৫, রাহালে ২০*, ম্যাকফেইডেন ১; মারুফ ৪-০-২৫-০, রিপন ৪-০-৩৭-২, আবু হায়দার ৪-০-৪৬-০, রকিবুল ৪-০-৩৪-১, মাহফুজুর ২-০-১৪-১, আফিফ ২-০-১২-১)

বাংলাদেশ এইচপি: ১৯.৫ ওভারে ১৩৭ (তানজিদ ৩৫, জিসান ১৮, পারভেজ ৩, আফিফ ১৮, আকবর ০, শামীম ৪, মাহফুজুর ২১, আবু হায়দার ৭, রকিবুল ১২, রিপন ১১*, মারুফ ১; বাকিংহাম ৪-০-২২-২, স্কট ৪-০-২৮-২, ওকলি ৪-০-২৭-২, ম্যাকফেইডেন ৪-০-২৮-২, পোপ ২.৫-০-২০-২, মানেন্তি ১-০-৯-০)

ফল: অ্যাডিলেইড স্ট্রাইজার্স ৩২ রানে জিতে চ্যাম্পিয়ন

ম্যান অব দা ম্যাচ: লিয়াম স্কট

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More

Privacy & Cookies Policy