খেলার মাঠে সবার আগে
Nsports-logo

বৃহস্পতিবার, ২১শে নভেম্বর ২০২৪

রোমাঞ্চকর ম্যাচে জার্মানিকে হারিয়ে সেমিতে পা রাখলো স্পেন

টানটান উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচে শেষ মুহূর্তের নাটকীয়তায় জার্মানিকে হারিয়ে সেমিফাইনালে পৌঁছাল স্পেন।১-১ গোলে ড্র থাকায় খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে।অতিরিক্ত সময়ের প্রথম হাফেও ম্যাচের কোনো সুরাহা হয়নি।তবে শেষ মুহূর্তে১১৯মিনিটে মাইকেল মেরিনোর দুর্দান্ত হেডে গোল করে স্পেনকে ২-১ গোলের লিড এনে দেয়।আর তাতেই নিশ্চিত হয়ে যায় স্পেনের জয়ে।এইদিকে কখনোই ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে না হারা জার্মানিকে ঘরের মাঠে হেরে বিদায় নিতে হয়েছে।অন্যদিকে এইবারের ইউরোতে কোনো ম্যাচ না হেরে সেমিফাইনালে পা রাখলো লুই দে লা ফন্তের শীষ্যরা।আপ্রাণ চেষ্টা করেও শেষ পর্যন্ত ২-১গোলের পরাজয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় স্বাগতিক জার্মানিকে।

খেলার ৮ মিনিটের মাথায় বড় ধাক্কা খায় স্পেন। চোট পেয়ে মাঠ ছাড়তে হয় পেদ্রিকে। বাধ্য হয়ে অনেক আগেই অলমোকে নামান স্পেনের কোচ লুইস ডে লা ফুয়েন্তে। তবে তা শাপে বর হয়। অলমো নামায় স্পেনের আক্রমণে অভিজ্ঞতা বাড়ে।

প্রথম থেকেই শারীরিক ফুটবল চলছিল। শুরুতে জার্মানির ফুটবলারেরা বেশ কয়েকটি কড়া ট্যাকল করেন। কিন্তু রেফারি শুরুতে খেলার ছন্দ খারাপ করতে চাননি। তার মাঝেই ২১ মিনিটের মাথায় ভাল সুযোগ পান জার্মানির কাই হাভার্ৎজ়। জোশুয়া কিমিকের ক্রস থেকে তাঁর হেডে বেশি গতি ছিল না। উনাই সিমোনের বাঁচাতে সমস্যা হয়নি।
দু’দলই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলছিল। বক্স থেকে বক্সে আক্রমণ হচ্ছিল। ফলে সতর্ক থাকতে হচ্ছিল দু’দলের রক্ষণকেই। প্রথমার্ধে কিছুটা হলেও এগিয়ে ছিল স্পেন। মাঝমাঠের দখল তাদের বেশি ছিল। ৪০ মিনিটের মাথায় অলমোর শট ভাল বাঁচান জার্মানির গোলরক্ষক ম্যানুয়েল ন্যুয়ের। গোলশূন্য অবস্থায় প্রথমার্ধ শেষ হয়।

দ্বিতীয়ার্ধে শুরু হওয়ার দু’মিনিটের মাথায় ভাল সুযোগ পান স্পেনের অধিনায়ক আলভারো মোরাতা। লেমিন ইয়ামালের পাস ধরে গোল করতে পারতেন তিনি। গোলরক্ষককে একা পেয়েও গোল করতে পারেননি তিনি। যদিও ৪ মিনিট পরেই জার্মানিকে ধাক্কা দেন অলমো। আবার ইয়ামাল ডান প্রান্ত ধরে উঠে বক্সে পাস বাড়ান। ডান পায়ের শটে গোল করেন অলমো। এগিয়ে যায় স্পেন।

 

 

 

 

 

গোল খাওয়ার পর বদলে গেল জার্মানির৷ খেলা।৭০ মিনিটের মাথায় রবার্ট আন্দ্রিচের শট ভাল বাঁচান সিমোন। ৭৭ মিনিটের মাথায় বক্সের ভিতর থেকে ফুলক্রুগের শট পোস্টে লেগে ফেরে। কোনও ভাবেই স্পেনের গোলের মুখ খোলে যাচ্ছিল না। ৮২ মিনিটের মাথায় সিমোনকে এগিয়ে থাকতে সরাসরি গোল লক্ষ্য করে শট মারেন হাভার্ৎজ়। বল বারের একটু উপর দিয়ে বেরিয়ে যায়।
শেষ তাস হিসাবে টমাস মুলারকেও নামিয়ে দেন জার্মানির কোচ। লাগাতার আক্রমণের ফল পায় জার্মানি। ৮৯ মিনিটের মাথায় মিটেলস্টাডের ক্রস হেডে নামিয়ে দেন হাভার্ৎজ়। চলতি বলে ডান পায়ের শটে গোল করেন উইর্ৎজ়। পোস্টে লেগে বল জালে জড়িয়ে যায়। সমতা ফেরায় জার্মানি। খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে।

 

 

 

 

 

 

দু’দলের ফুটবলারেরাই নিজেদের ১০০ শতাংশ দেওয়ায় শেষ দিকে ক্লান্ত হয়ে পড়ছিলেন। বাধ্য হয়ে দু’দলের কোচই ছ’জন পরিবর্ত ফুটবলার নামান। আর কোনও তাস বাকি ছিল না তাঁদের হাতে। ১১৫ মিনিটের মাথায় কিমিকের শট ভাল বাঁচান সিমোন। খেলা ধীরে ধীরে টাইব্রেকারের দিকে এগোচ্ছিল। ঠিক তখনই স্পেনের জাদু। বাঁ প্রান্ত থেকে বল তোলেন অলমো।আর ফাঁকা জায়গায় বল পেয়ে হেড করে গোল করেন মেরিনো।

 

আর ফিরতে পারেনি জার্মানি। খেলার শেষ মিনিটে লাল কার্ড দেখেন স্পেনের ড্যানি কার্ভাহাল। দলের জন্য কার্ড দেখেন তিনি।ফলে সেমিতে তার সার্ভিস মিস করবে দল।

 

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More

Privacy & Cookies Policy