গভীর রাতে ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিতে নেমেছেন সাগর-নাজমুল
অনেক প্রতীক্ষার পর গভীর রাতে ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিতে নেমেছেন বাংলাদেশের দুই সাঁতারু মাহফিজুর রহমান সাগর ও নাজমুল হক হিমেল।
ইংল্যান্ড সময় রাত আড়াইটার দিকে আটলান্টিকে শুরু হয় তাদের ইংলিশ চ্যানেল পাড়ির অভিযান।
ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দেওয়া যে কোনও সাঁতারুর জন্যই আজন্ম লালিত স্বপ্ন। কখনও নির্ধারিত স্লট পাওয়া যায় না। কখনও এটা সাঁতারুদের জন্য হয়ে পড়ে ব্যয়বহুল।
কিন্তু এত কিছুর পরও যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সকে বিভক্ত করা আটলান্টিক মহাসাগরের এই চ্যানেল পাড়ি দেওয়ার সুযোগ হয়, তাহলে সেটা সেই সাঁতারুর জন্য রোমাঞ্চকর এক ঘটনা বলা যায়।
মাহফিজুর রহমান সাগর গভীর রাতে ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দেয়ার শুরুর সময় সামাজিক মাধ্যমে সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন।
রাত আড়াইটায় সাঁতরানো এক বিচিত্র অভিজ্ঞতা তার জন্য,
‘এত রাতে কখনো পুকুরেও সাতরাইনি, এখন আটলান্টিকে নামতে হচ্ছে। আমাদের দলের প্রথম সদস্য হিসেবে আমি নামছি। ৩৭ বছর পর বাংলাদেশের কেউ ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিতে যাচ্ছে।’
সাগরের পর বাংলাদেশের আরেক সাঁতারু নাজমুল নামবেন। বাংলাদেশের দুই জনের সঙ্গে ভারতীয় দুই সাঁতারুও রয়েছেন।
সবাইকে কমপক্ষে এক ঘন্টা বা এরপরও বেশি সময় ইংলিশ চ্যানেলে সাঁতরাতে হবে। বৈরী আবহাওয়ার জন্য সাগরদের বুকিং করা স্লট একাধিকবার পরিবর্তন হয়েছে।
শেষ পর্যন্ত গভীর রাত আড়াইটায় খানিকটা স্বাভাবিক আবহাওয়া পাওয়ায় এতেই ঝুঁকি নিয়েছেন সাঁতারুরা।
বাংলাদেশি সাঁতারুদের মধ্যে এর আগে ব্রজেন দাস, মোশাররফ খান ও আব্দুল মালেক ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়েছিলেন।

ইংলিশ চ্যানেল অতিক্রমকারী প্রথম এশীয় ব্রজেন দাস।
১৯৫৮ থেকে ১৯৬১ সালের মধ্যে মোট ছয়বার চ্যানেলটি অতিক্রম করেন। এই চ্যানেল সবচেয়ে কম সময়ে সাঁতারে পার হওয়ার রেকর্ডও গড়েছিলেন তখন।
এরপর ১৯৬৫ সালে আবদুল মালেক ও ১৯৮৭ সালে মোশাররফ হোসেন ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দেন।
সাগর ও নাজমুল সফলভাবে আজ সাঁতার শেষ করতে পারলে তারা ৩৭ বছর পর আবার সেই কীর্তি গড়বেন।
কয়েক ঘণ্টা পরই সাগর-নাজমুলরা আবার বাংলাদেশের জন্য সুনাম বয়ে আনতে পারেন।
বাংলাদেশের দুই সাঁতারু মূলত ২০২৮ সালের আগে কোনও স্লট পাচ্ছিলেন না।
তবে কলকাতার দুই সাঁতারুর সহযোগিতায় এই বছরে ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দেওয়ার সুযোগ মেলে তাদের।
যে কারণে চার সাঁতারু মিলে একটা র্যালি করবেন ইংলিশ চ্যানেলে।