অজিদের হারিয়ে সেমিতে পা রাখলো ভারত
অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে কোনো সমীকরণের ফাঁদে না আটকে সরাসরি সেমিফাইনালের টিকিট পেলো ভারতীয়রা।২০৬রানের বিশাল টার্গেটে খেলতে নেমে মাত্র ১৮১ তে থেমে যায় টিম অস্ট্রেলিয়া।ফলে ২৪রানের জয় মাঠ ছাড়ে রোহিত শর্মারা।৪১ বলে ৯২ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতেছেন রোহিত শর্মা।এখনো পর্যন্ত এই বিশ্বকাপের কোনো ম্যাচ হারেনি রোহিত শর্মরা।অন্যদিকে ভারতের কাছে হেরে অস্ট্রেলিয়ার সেমিফাইনালে যাওয়ার রাস্তা অনেকটা কঠিন হয়ে পড়েছে।যদিও এখনো আশা শেষ হয়ে যায়নি তাদের।তাদের তাকিয়ের থাকতে হবে বাংলাদেশ-আফগানিস্তান ম্যাচের দিকে।বাংলাদেশ কোনোভাবেই জিতলেই সেমিতে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে অজিদের।
ভারতের দেওয়া ২০৬ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে প্রথম ওভারেই ওয়ার্নারের উইকেট হারায় অজিরা।সেখান থেকে দলকে টেনে তুলে ট্রাভিস হেড এবং কাপ্তান মিচেল মার্শ।এই দুই ব্যাটার মিলে গড়েন ৪৮ বলে ৮১ রানের জুটি।তবে কুলদীপ যাদবের বলে অক্ষর প্যাটেলের দুর্দান্ত ক্যাচে সেই জুটি ভেঙে যায়।৩য় উইকেটে হেডের সাথে আবার জুটি গড়েন গ্লেন ম্যাক্সওয়েলও।এই ব্যাটার করেন ১২ বলে ২০ রান।তবে কুলদীপ যাদবের বলে তাকেও ফিরতে হয়।
এইদিন অজিদের জয়ের স্বপ্ন দেখাতে থাকে হেড।টেস্ট চ্যাম্পিয়নশীপ ফাইনাল,ওয়ানডে বিশ্বফাইনালের পর এই ম্যাচেও ভারতীয় মনে ভয় ধরাতে থাকে ট্রাভিস হেড।একসময় মনে হচ্ছিল হেডের তাণ্ডবে ভারতীয় হারিয়ে দেবে তারা।তবে এইবার ভারতীয়দের জন্য ত্রাতা হয়ে আসেন জাসপ্রীত বুমরাহ।বুমরাহ বলে আউট হয়ে সাজঘরে ফিরতে হয় ট্রাভিস হেডকে।আউট হওয়ার আগে এই ব্যাটার খেলেন ৪৩ বলে ৭৬ রানের ইনিংস। ১৫০রানেই ৫ উইকেট হারায় তারা।ম্যাথু ওয়েডও ঠিকতে পারেননি বেশিক্ষণ।পরে টিম ডেভিড চেষ্টা চালালেও তা কাজে আসেনি অজিদের।ফলে ১৮১ রানেই থেমে যায় অজিদের ইনিংস।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিং পেয়ে তাণ্ডব শুরু করেন রোহিত। বিরাট কোহলি দ্বিতীয় ওভারে আউট হয়ে গেলেও সেই ঘাটতি তুড়ি মেরে উড়াতে থাকেন চার-ছক্কার জয়ে।
রিশভ পান্তকে এক পাশে রেখে পাওয়ার প্লের মধ্যেই এবার বিশ্বকাপে দ্রুততম ১৯ বলে ফিফটি স্পর্শ করেন ভারত অধিনায়ক। অনায়াসে একের পর এক ছক্কা পেটাতে থাকা রোহিতকে মনে হচ্ছিলো থামানোই অসম্ভব। টি-টোয়েন্টিতে ২০০ ছক্কার রেকর্ড ছাড়িয়ে উত্তাল করে তুলেন পরিস্থিতি।
আসরের প্রথম সেঞ্চুরি ছিলো হাতের নাগালে। রোহিতের বিস্ফোরক ইনিংস অবশ্য থেমে যায় নব্বুই ছাড়িয়ে। মিচেল স্টার্কের ওভারে শুরুতে ২৯ রান নিয়েছিলেন । স্টার্কের পরের স্পেলে বোল্ড হন ৯২ রানে। ৪১ বলের উপস্থিতিতে ৭ চারের সঙ্গে মারেন ৮ ছয়।
তার বিদায়ের পর সূর্যকুমার যাদব, শিভম দুবে, হার্দিক পান্ডিয়া মিলে তরতরিয়ে বাড়াতে থাকেন রান। সূর্যকুমার ১৬ বলে ৩১ ও শিভম দুবে ২৮ করেন ২২ বলে। তিনিই ছিলেন কিছুটা মন্থর। রোহিতের ব্যাটিংয়ের সময় মনে হচ্ছিল ভারত করতে পারে আড়াইশ রান। তা হয়নি। তবে দলকে দুইশো পার করতে ১৭ বলে ২৭ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন হার্দিক।ফলে ২০ ওভার শেষে ২০৫ রানের বড় সংগ্রহ পায় তারা।