টাইগারদের হারিয়ে প্রথমবারের মতো সেমিফাইনালে আফগানরা
আফগানিস্তানের সাথে হেরে এইবারে আসর শেষ করলো বাংলাদেশ।আফগানিস্তানের দেওয়া ১১৬ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে ১০৫ রানেই গুটিয়ে যায় টাইগাররা।অবিশ্বাস্যভাবে সেমিফাইনালে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয় বাংলাদেশের সামনে।যদি ১২.১ওভারের মধ্যে সে রান তাড়া করতে পারে টাইগাররা যাবে সেমিতে এমনটাই ছিলো সমীকরণ।তবে কোটি টাইগার ভক্তদের নিরাশ করে সেমিতে পা রাখলো আফগানরা।৩.৫ ওভারে ২৬ রান খরচায় ৪ উইকেট শিকার করে ম্যাচসেরা নির্বাচিত হয়ছেন নাভিন উল হক।
১১৬ রানের ছোটো লক্ষ্যও কঠিন হয়ে পড়ে টাইগারদের জন্য।কারণ সেমিতে যেতে হলে ১২.১ওভারের সে রান টপকাতে হবে।তবে শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি টাইগারদের। ২য় ওভারেই শূন্য রানে ফিরে যান তানজিদ তামিম।তবে একপ্রান্তে দারুণ শুরু করে লিটন দাস।তবে নাভিন উল হকের জোড়া উইকেট শিকারে আবারো চাপে পড়ে টাইগাররা। সাকিব ফেরেন শূন্য রানে।এরপর সৌম্য সরকারও বেশিক্ষণ ঠিকতে পারেননি। পরে তাওহিদ হৃদয়কে সাথে নিয়ে এগোতে থাকেন লিটন।তখনও ১২.১ ওভারেই রান তাড়া করাই ছিলো টাইগারদের মূল লক্ষ্য।তবে রশিদ খানের বলে তাওহিদ হৃদয় আউট হয়ে ফিরে গেলে সেমিফাইনালের স্বপ্ন কার্যত শেষ হয়ে যায় টাইগারদের। ইনিংসের ১১তম ওভারের রশিদ খানের জোড়া আঘাতে সাজঘরে ফিরান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ রিশাদ হোসেনকে।দলীয় ৮০ রানেই ৭ উইকেট হারিয়ে ফেলে টাইগাররা।এরপর কোনো মতে ম্যাচ জেতায় ছিলো টাইগারদের একমাত্র লক্ষ্য। দলকে জয়ের বন্দরে নিতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালায় লিটন।৪১ বলেই এই ব্যাটার ফিফটি তুলে নেন।শেষ ২ ওভারের জয়ের জন্য বাংলাদেশের দরকার পড়ে মাত্র ১২ রান।তবে নাভিন উল হকের জোড়া আঘাতে ১০৫ রানের গুটিয়ে যায় টাইগাররা। এই জয়ে সরাসরি সেমিফাইনালে চলে গেলো আফগানরা।
এইদিন আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালোই করে আফগানরা।এইদিনও ৫৯ রানের জুটি গড়েন দুই আফগান ওপেনার।তবে ইনিংসের ১০.৪ ওভারের রিশাদের বলে ক্যাচ তুলে সাজঘরে ফিরে যান ইব্রাহিম জাদরান।আজমতও বেশিক্ষণ ঠিকতে পারেননি। ১৬তম ওভারের রিশাদের জোড়া আঘাত।একই ওভারের সাজঘের ফিরান আফগান ওপেনার গুরবাজ ও মিডল অর্ডার ব্যাটার গুলবাদিনকে।এরপরে আর কোনো ব্যাটার আর উল্লেখযোগ্য ইনিংস খেলতে পারেননি।শেষের দিলে রশিদ খানের ১০ বলে ১৯ রানের ঝড়ো ইনিংসে ১১৫ রানের লড়াকু সংগ্রহ পায় টাইগাররা।