সাকিব কি ফুরিয়ে গেছেন
বাংলাদেশের জান,বাংলাদেশের প্রাণ সাকিব আল হাসান।কেউ কেউ নবাব আল হাসান,ব্যবসায়ী, বিজ্ঞাপন আল হাসান সহ আরো বিভিন্ন নামে ডাকে এই তারকাকে।সাকিব জিতলেই জিতে যায় বাংলাদেশ এমন একটা কথা চালু সেই অনেক আগে থেকেই।তবে গতবছর ওয়ানডে বিশ্বকাপ থেকে পারফরম্যান্স খরায় বেশ ভুগছেন এই বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।
সর্বশেষ বিপিএলে ব্যাটে বলে শুরু দিকে স্ট্রাগল করলেও পরে ঠিকই ফিরেছেন স্বমহিমায়।তবে র্আন্তজাতিক ক্রিকেটে যেনো খুজেই পাওয়া যাচ্ছে সেই চিরচেনা পারফর্মার সাকিবকে।বিশ্বকাপের আগে হওয়া জিম্বাবুয়ের সাথে ৫ ম্যাচ টি-২০ সিরিজের প্রথম ৩টি মিস করেন সাকিব আল হাসান।চতুর্থ টি-২০ তে সাকিব দলে ফিরেই ৪ উইকেট শিকার করেন এই তারকা অলরাউন্ডার। তবে ব্যাট হাতে করেছেন মাত্র ১ রান।এরপরের ম্যাচে ব্যাটে-বলে একেবারে সুবিধা করতে পারেনি এই অলরাউন্ডার।
বিশ্বকাপের আগেই যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে তাদের সাথে সিরিজ খেলে বাংলাদেশ।নবীন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে ২-১ ব্যবধানে সিরিয়ের হারের কথা তো সবারই জানা।সেখানেও ব্যাটে বলে তেমন একটা উজ্জ্বল ছিলেন না তিনি।
তবে ধারণা করা হচ্ছিল বিশ্বকাপেই হয়তো পুরনো রুপে ফিরে আসবেন এই বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।কারণ সাকিব তো এমনই, যতোবারই সমালোচনা হয়েছে ততোবারই ফিরে এসেছে রাজার বেশে।টি-২০ বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচেও সাকিব ছিলেন একেবারে মলিন।বল হাতে ৩ ওভারে খরচ করেন ৩০ রান, উইকেট সংখ্যা শূণ্য।আবার দলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ব্যাটিং করতে গিয়ে ম্যাচ শেষ করতে না পারার ক্ষত হয়তো এখনো পুড়াচ্ছে এই তারকাকে।ব্যাটে হাতে করেন মাত্র আট রান।
সর্বশেষ ৬টি আন্তর্জাতিক ম্যাচে সাকিবের সংগ্রহ মাত্র ৬৬ রান।বোলিংয়ে তিনি বরাবরই আস্থার প্রতিদান দিচ্ছেন কিন্তু ব্যাটার সাকিবকে যেনো খুজেই পাওয়া যাচ্ছে না।
১৪ হাজার আন্তর্জাতিক রান এবং ৭০০ উইকেট শিকার এই খেলোয়াড় নি:সন্দেহে শুধু বাংলাদেশ নয় তিনি বিশ্বক্রিকেটেরই তারকা।সাকিবকে ফিরতেই হবে কারণ বাংলার বাঘেদের জন্য যে তাকে বড্ড দরকার।ব্যাটে-বলে পারফর্ম করে অন্তত তার শেষ বিশ্বকাপটা যেনো রাঙিয়ে রাখতে পারে এটাই চাওয়া কোটি ক্রিকেট ভক্তের।