খেলার মাঠে সবার আগে
Nsports-logo

বুধবার, ৪ঠা ডিসেম্বর ২০২৪

স্ট্রাইক রেট নিয়ে ভাবেন না কোহলি, দলের জন্যই খেলেন

বিরাট কোহলি কি শুধুমাত্র সমালোচকদের জবাব দেওয়ার জন্য মাঠে নামছেন? সেই প্রশ্নটা আরও একবার সামনে চলে এল বৃহস্পতিবার। এদিন ধরমশালায় পাঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে ৪৭ বলে ৯২ রান করার পরে সমালোচকদের খোঁচা দিয়ে বিরাট বলেন, ‘পুরো ইনিংসেই আমার স্ট্রাইক রেট বেশি রাখার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ ছিল।’

আর সমালোচক বলতে সেইসব ব্যক্তিরা, যারা আইপিএলে বিরাটের স্ট্রাইক রেট নিয়ে প্রশ্ন তুলছিলেন। বিরাট যে স্ট্রাইক রেটে খেলছেন, তা এ যুগের টি-টোয়েন্টির জন্য উপযুক্ত নয় বলে দাবি করতে থাকেন তারা। যাদের আগেই কটাক্ষ করেছিলেন বিরাট।

আর বৃহস্পতিবার ১৯৫.৭৪ স্ট্রাইক রেটে ৯২ রান করার পরে কটাক্ষের তিরটা আরও তীক্ষ্ণ করলেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর (আরসিবির) তারকা ক্রিকেটার।

বৃহস্পতিবার ধরমশালায় ওপেন করতে নেমে পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে ৯২ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন বিরাট। এমন কয়েকটি শট মারেন, যেগুলি স্রেফ চোখে লেগে থেকে যাবে। একটি শটের সময় তার শরীরের আকৃতিটা ইংরেজি অক্ষত ‘কে’-র মতো হয়ে যায়। সবমিলিয়ে ৯২ রানের ইনিংসে সাতটি চার এবং ছটি ছক্কা মারেন বিরাট। তবে তার সেই ইনিংসটা নিখুঁত ছিল না। তার একাধিক ক্যাচ ফস্কে দেন পাঞ্জাবের ফিল্ডাররা।

আরসিবির ব্যাটিং ইনিংস শেষ হওয়ার পরে বিরাট বলেন, ‘পুরো ইনিংসেই আমার স্ট্রাইক রেট বেশি রাখার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আমি শুধুমাত্র দলের জন্য ছন্দটা বজায় রাখার উপরে জোর দিচ্ছিলাম। রজত (পতিদার) যখন আউট হয়ে গিয়েছিল, তখন পরিস্থিতি কিছুটা জটিল হয়ে গিয়েছিল। আমাদের তিনটি উইকেট পড়ে গিয়েছিল। তারপর কিছুটা বৃষ্টি এবং শিলাবৃষ্টি হয়। তার ফলে কিছুটা ছন্দপতন হয়ে যায়।’

বিষয়টি ব্যাখ্যা করে বিরাট বলেন, ‘(খেলা ফের শুরু হওয়ার পরে) সেই ছন্দটা ফিরে আট থেকে ১০ বলের মতো লাগে। যখন ভিত্তিটা তৈরি হয়ে যায় এবং ক্যামেরন (গ্রিন) কয়েকটি বাউন্ডারি মেরে দেয়, তখন আমি ভাবলাম যে আমায় ফের মেরে খেলতে হবে।’ সেইসঙ্গে বিরাট জানান, ধরমশালার পিচে যে খুব ভালোভাবে বল আসছিল, সেটা নয়। বরং পিচটা কিছুটা কঠিন ছিল।

কাকে নিশানা করেছেন, তা সরাসরি কিছু বলেননি বিরাট। কারণ তিনি কারও নাম করেননি। তবে নেটিজেনদের মতে, গুজরাট টাইটানস ম্যাচের পরে সঞ্জয় মাঞ্জরেকর, হার্শা ভোগলেদের নিশানা করেছিলেন বিরাট। আর তা নিয়ে বিরাটের তুমুল সমালোচনা করেন সুনীল গাভাস্কার। তিনি বলেন, ‘এরা সব বলেন যে ওহ, আমি তো বাইরের কথাবার্তায় পাত্তা দিই না। কিন্তু তাহলে বাইরের কথাবার্তার কেন জবাব দিচ্ছ? আমরাও কিছুটা ক্রিকেট খেলেছি। বেশি খেলিনি। আমাদের কোনো ধান্দা নেই। আমরা যেটা দেখছি, সেটাই বলছি।’

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More

Privacy & Cookies Policy