পাকিস্তানের কাছে হেরে বিশ্বকাপ মিশনের ইতি টানলো বাংলাদেশ দল
বিশ্বকাপের ১৩তম আসরে ৬টি ম্যাচের মধ্যে ৫টিতেই হেরে নিজেদের ব্যর্থতার ষোলো-আনা পূর্ণ করে বিদায় নিলো বাংলাদেশ। শেষ দুই ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া ও শ্রীলংকার বিপক্ষে জিতে পয়েন্ট টেবিলের আট নম্বর পজিশন ধরে রাখতে না পারলে ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও খেলতে পারবে না টাইগাররা।
মঙ্গলবার কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে আসরের ৩১তম ম্যাচে টসে জিতে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। প্রথম ওভারেই ওপেনার তানজিদ হাসানকে এলবিডাব্লিওর ফাঁদে ফেলে পাকিস্তানের তারকা পেসার শাহীন শাহ আফ্রিদি। ওয়ান ডাউনে নামা শান্তকেও দলীয় ৬ রানে সাজঘরে ফেরান আফ্রিদি। ৫.৬ ওভারে মুশফিকুর রহিম আউট হয়ে মাঠ ছাড়লে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় তিন উইকেটে মাত্র ২৩ রান।
দলের এমন ব্যাটিং বিপর্যয়ে ক্রিজে জমে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেন ওপেনার লিটন কুমার দাস ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। চতুর্থ উইকেটে ৮৯ বলে ৭৯ রানের জুটি গড়েন তারা। ২০.৫ ওভারে দলীয় ১০২ রানে চতুর্থ ব্যাটসম্যান হিসেবে সাজঘরে ফেরেন ওপেনার লিটন দাস, তার আগে ৬৪ বলে ৬টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৪৫ রান করেন তিনি। এরপর অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের সঙ্গে ৫৯ বলে মাত্র ২৮ রানের জুটি গড়ে সাজঘরে ফেরেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, ফেরার আগে ৭০ বলে করেন ৫৬ রান। ৬৪ বলে চার বাউন্ডারিতে ৪৩ রান করে অর্ধশতক না পাওয়ার আক্ষেপ নিয়ে সাজঘরে ফেরেন সাকিব। ৩০ বলে ২৫ রান করেন মিরাজ, শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে মোস্তাফিজুর রহমান যখন আউট হন তখন বাংলাদেশ দলের সংগ্রহ ৪৩.৩ ওভারে ২০৪ রান।
পাকিস্তানের হয়ে ৯ ওভারে মাত্র ২৩ রানে ৩ উইকেট নেন পাকিস্তানের তারকা পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদি, ৮.১ ওভারে ৩১ রানে ৩ উইকেট নেন মোহাম্মদ ওয়াসিম। ৮ ওভারে ৩৬ রানে ২ উইকেট নেন হারিস রউফ।
২০৫ রানের সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে আক্রমণাত্মক সূচনা করে পাকিস্তান। উদ্বোধনী জুটিতে দুই ওপেনার আব্দুল্লাহ শফিক ও ফখর জামান ১২৭ বলে ১২৮ রান করেন। কিন্তু পরবর্তী ৪১ রান যোগ করতে ৩ উইকেট হারায় পাকিস্তান। ৬৯ বলে ৯টি চার আর ২টি ছক্কায় ৬৮ রান করে মিরাজের শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন ওপেনার আব্দুল্লাহ শফিক, বাবর আজমকে ৯ রানে ফেরান এই অলরাউন্ডার। ইনিংসের শুরু থেকে অসাধারণ ব্যাট চালানো ফখর জামানকেও সাজঘরে ফেরান মিরাজ, তার তৃতীয় শিকারে পরিণত হওয়ার আগে ৭৪ বলে তিন চার আর ৭টি ছক্কায় ৮১ রান করেন ফখর জামান। ১৬৯ রানে ৩ উইকেট পতনের পর ইফতেখার আহমেদকে সঙ্গে নিয়ে অপরাজিত ৩৬ রানের জুটি গড়ে দলকে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে দেন উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ রিজওয়ান।
পাকিস্তানের হারানো তিনটি উইকেটই নেন বাংলাদেশের অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ , ব্যাট হাতেও ২৫ রান করেন তিনি।