স্বপ্নের বিশ্বকাপে আফগানদের তৃতীয় জয়
১৩তম বিশ্বকাপে আফগানিস্তান ও শ্রীলংকার মধ্যকার ৩০তম ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয় সোমবার পুনের মহারাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে। আগের পাঁচ ম্যাচে দুটি করে জয় ছিল আফগানিস্তান ও শ্রীলঙ্কার। সেমি-ফাইনালের স্বপ্ন টিকিয়ে রাখতে তাই দুই দলের জন্যই ম্যাচটি ছিল বেশ গুরুত্বপূর্ণ। তবে এই ম্যাচে ৭ উইকেটে জয় তুলে সেমিতে খেলার স্বপ্নে বিভোর আফগানিস্তান, পয়েন্ট তালিকার পঞ্চম স্থানে উঠে এসেছে তারা। শেষ তিন ম্যাচে জয় পেলে ভাগ্যের তালা খুলতেও পারে দলটির। তবে হারলেও সেমির স্বপ্ন শেষ হয়ে যায়নি শ্রীলঙ্কার, এখনও তিনটি ম্যাচ রয়েছে তাদের হাতে।
টসে জিতে লঙ্কানদের ব্যাটিংয়ে পাঠায় আফগানরা। শুরুতেই হোঁচট খায় লঙ্কানরা, মাত্র ৫.২ ওভারে পাথুম নিশাঙ্কার সঙ্গে উদ্বোধনীতে ২২ রানের জুটি গড়ে সাজঘরে ফেরেন দিমুথ করুনারত্নে। ১৫ রান করে আউট হওয়া দিমুথ করুনারত্নের পরে মাঠে নামেন কুশাল মেন্ডিস। ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কাকে সঙ্গে নিয়ে শুরুর বিপদটা ভালোভাবেই সামাল দেন তিনি। দ্বিতীয় উইকেটে অধিনায়ক কুশাল মেন্ডিসের সঙ্গে ৭৭ বলে ৬২ রানের জুটি গড়েন পাথুম নিশাঙ্কা। কিন্তু অর্ধশতকের খুব কাছে গিয়েও তা ছোয়া হয়নি লঙ্কান এই ওপেনারের। দলীয় ৮৪ রানের মাথায় ৬০ বলে ৪৬ রান করে মাঠ ছাড়েন তিনি। নিশাঙ্কা আউট হওয়ার পর তৃতীয় উইকেটে ৭৫ বলে ৫০ রানের জুটি গড়েন কুশাল মেন্ডিস ও সাদিরা সামারাবিক্রমা। এই জুটির কল্যাণে দুই উইকেটে শ্রীলংকার সংগ্রহ ছিল ১৩৪ রান। এরপর মাত্র ৫ রানের ব্যবধানে শ্রীলংকা হারায় এই দুই ব্যাটসম্যানকে। ৫০ বলে ৩৯ আর ৪০ বলে ৩৬ রান করে ফেরেন মেন্ডিস ও সামারাবিক্রমা। ৩৫.৫ ওভারে শ্রীলংকার সংগ্রহ ছিল ৪ উইকেটে ১৬৭ রান। এরপর মাত্র ৭৪ রানের ব্যবধানে ৬ উইকেট হারিয়ে ৪৯.৩ ওভারে ২৪১ রান করে অলআউট হয় শ্রীলংকা। শেষ দিকে ৩১ বলে ২৯ রান করেন পেসার মাহিশ থিকসানা। ২৬ বলে ২৩ রান করেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস। ২২ রান করেন চারিথ আসালঙ্কা।
আফগানিস্তানের হয়ে ১০ ওভারে মাত্র ৩৪ রানে ৪ উইকেট নেন ফজলহক ফারুকি। ১০ ওভারে মাত্র ৩৮ রানে ২ উইকেট নেন স্পিনার মুজিব উর রহমান।
জবাব দিতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় আফগানিস্তান, অসাধারণ এক ইনসুইঙ্গারে ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজকে বোল্ড করে দেন দিলশান মাদুশাঙ্কা। গুরবাজ সাজঘরে ফেরেন কোনো রান করার আগেই। তবে পরিস্থিতিটা বেশ বিচক্ষণতার সাথে সামাল দিয়েছেন রহমত শাহ এবং ইব্রাহিম জাদরান। দুজনেই ক্রিজে জমে রান তুলে যান। দ্বিতীয় উইকেটে ৭৩ রান যোগ করেন ইব্রাহিম এবং রহমত। ১৬.৫ ওভারে ইব্রাহিম ৫৭ বলে ৩৯ রান করে সাজঘরে ফিরে যান। আফগানদের সংগ্রহ তখন ২ উইকেটে ৭৩ রান। অধিনায়ক হাসমতুল্লাহর সঙ্গে ৫৮ রানের আরও একটি জুটি গড়ে কাসুন রাজিথার শিকার হন রহমত। এর আগে ৭৪ বলে ৭টি চারের সাহায্যে ৬২ রান করেন তিনি। এরপর বাকীটা কেবলই হতাশার গল্প লঙ্কানদের জন্য। আজমতুল্লাহ ওমরজাইয়ের সঙ্গে ১০৪ বল স্থায়ী অবিচ্ছিন্ন ১১১ রানের জুটিতে ম্যাচ জিতেই মাঠ ছাড়েন আফগান অধিনায়ক হাসমতুল্লাহ। ৭৪ বলে ২টি চার ও ১টি ছক্কায় ৫৮ রানের ইনিংস খেলেন আফগান অধিনায়ক। ৬৩ বলে ৬টি চার ও ৩টি ছক্কায় ক্যারিয়ার সেরা অপরাজিত ৭৩ রান করেন ওমরজাই।
স্কোর