ডি কক, ক্লাসেনের আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশের লক্ষ্য ৩৮৩
এবারের বিশ্বকাপের ২৩তম ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয় মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে। টসে জিতে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন প্রোটিয়া দলপতি এইডেন মার্করাম। বাংলাদেশের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ম্যাচে ফেরেন চোট কাটিয়ে। কম্বিনেশন অনুযায়ী তাকে জায়গা করে দিতে বাদ পড়তে হয় তাওহীদ হৃদয়কে।
বাংলাদেশের শুরুটা প্রথমে ভালোই হয়েছিল, ব্যাটিংয়ে নেমে ৩৬ রানে ২ উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। তৃতীয় উইকেটে এইডেন মার্করামের সঙ্গে ১৩৭ বলে ১৩১ রানের জুটি গড়েন প্রোটিয়া ইনিংস ওপেন করা কুইন্টন ডি কক। ৬৯ বলে ৭টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৬০ রান করে সাজঘরে ফেরেন অধিনায়ক মার্করাম। এরপর চতুর্থ উইকেটে হাইনরিখ ক্লাসেনকে সঙ্গে নিয়ে রীতিমতো তাণ্ডব চালান ডি কক। এই জুটিতে তারা মাত্র ৮৭ বল মোকাবেলা করে ১৪২ রানের জুটি গড়েন।
দলীয় ৩০৯ রানের মাথায় ৪৫.১ ওভারে চতুর্থ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হন ডি কক। আউট হবার আগে চলতি বিশ্বকাপে নিজের পঞ্চম ম্যাচে তৃতীয় সেঞ্চুরি হাঁকান। হাসান মাহমুদের শিকার হওয়ার আগে ১৪০ বলে ১৫টি চার আর ৭টি ছয়ের সাহায্যে ১৭৪ রানের প্রাণবন্ত ইনিংস খেলেন ডি কক। ডি কক সাজঘরে ফেরার পর ব্যাটিং তাণ্ডব অব্যাহত রাখেন হাইনরিখ ক্লাসেন ও ডেভিড মিলার। পঞ্চম উইকেটে মাত্র ২৫ বলে ৬৫ রানের বিধ্বংসী জুটি গড়েন তারা।
বাউন্ডারির পর বাউন্ডারি হাঁকিয়ে সেঞ্চুরির পথেই ছিলেন হাইনরিখ ক্লাসেন। নার্ভাস নাইনটিতে আউট হওয়ার আগে ৪৯ বলে ২টি চার আর ৯টি ছয়ের সাহায্যে খেলেন ৯০ রানের বিধ্বংসী ইনিংস। প্রোটিয়া ইনিংসের শেষ বল পর্যন্ত ডেভিড মিলার ১৫ বলে ১ চার আর ৪টি ছয়ের সাহায্যে ৩৪ রানে অপরাজিত থাকেন। দক্ষিণ আফ্রিকার রান বন্যা থামে ৫ উইকেটে ৩৮২ রানে।
বাংলাদেশের পক্ষে ৯ ওভারে ৭৬ রান দিয়ে ১ উইকেট নেন পেসার শরিফুল ইসলাম। মাত্র ৬ ওভারে ৬৭ রানে ২ উইকেট নেন পেসার হাসান মাহমুদ। ৯ ওভারে ৪৪ রানে ১ উইকেট নেন মেহেদি হাসান মিরাজ। অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ৯ ওভার বল করে ৬৯ রান দিয়ে নেন মাত্র ১টি উইকেট।