টাংয়ের অভিষেকে ৬৬ লাখ টাকা জিতলেন বাবার বন্ধু!
টাংয়ের যখন বয়স ছিল ১১, তখন তিনি লেগ স্পিন করতেন। পাইপার নিজেও ছিলেন লেগ স্পিনার। করতে পারতেন গুগলি, টপ স্পিনও। একদিন ক্লাবের নেটে বন্ধুর ছেলেকে বল করতে দেখে পাইপার বলেছিলেন, ‘এই ছেলে একদিন ইংল্যান্ডের হয়ে টেস্ট খেলবে।’
পাইপার শুধু বলেনই না, টাংকে নিয়ে বাজিও ধরেছিলেন। যেখানে বাজির দর ছিল ৫০০-১। বাজি ধরার জন্য ১০০ পাউন্ড খরচ করেছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার টাংয়ের টেস্ট অভিষেক হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেই বাজি জিতেছেন পাইপার। তবে সে দিনের ছোট্ট টাং এখন আর স্পিনার নন। তিনি ফাস্ট বোলার।
আইরিশদের বিপক্ষে টাংয়ের টেস্ট অভিষেক দেখতে লর্ডসের গ্যালারিতে উপস্থিত ছিলেন তার বাবা, মা, বান্ধবী এবং পুত্র। তবে তাকে নিয়ে বাজি ধরা পাইপার অবশ্য লর্ডসে উপস্থিত ছিলেন না। তিনি চোখ রেখেছিলেন টেলিভিশনের পর্দায়। ২৫ বছরের টাংয়ের টেস্ট অভিষেক হওয়ায় উচ্ছ্বসিত তিনি।
তিনি বলেন, ‘বাচ্চা ছেলেটা দারুণ লেগ স্পিন করত। শেন ওয়ার্নের মতো গুগলি দিতে পারত। ওকে নিয়ে বাজি ধরার রসিদটা এত দিন ধরে যত্ন করে রেখে দিয়েছিলাম। ওর জন্য ১০০ টাকা বিনিয়োগ করার সিদ্ধান্ত তা হলে আমার ভুল ছিল না।’
টাং উস্টারশায়ারের অ্যাকাডেমিতে আসার পর স্পিন বল করা ছেড়ে দেন। শুরু করেন পেস বোলিং। যদিও বছর খানেক আগে ক্রিকেট ছেড়ে দেওয়ার কথা ভেবেছিলেন তিনি। কাঁধের চোটে কাবু হয়ে পড়েছিলেন। তিন বার অস্ত্রোপচার করাতে হয়। কিছুটা অপ্রত্যাশিত ভাবেই এ বার সুযোগ পেয়েছেন ইংল্যান্ডের টেস্ট দলে। বৃহস্পতিবার তার হাতে টেস্ট টুপি তুলে দিয়েছেন জেমস অ্যান্ডারসন।
টাংয়ের ক্রিকেটজীবন অনিশ্চিত হয়ে যাওয়ার পরেও কেন বাজির রসিদ যত্ন করে রেখে দিয়েছিলেন? পাইপার বলেছেন, ‘‘অনেকেই আশা ছেড়ে দিলেও আমার একটা বিশ্বাস ছিল। ছেলেটা কত চোট পেল। তাও আশাবাদী ছিলাম। সব সময় ভেবেছি খেলতেও তো পারে এক দিন। গত দু’সপ্তাহে সব কিছু দ্রুত বদলে গেল। ভাগ্যিস আশা ছাড়িনি।’
৫০ হাজার পাউন্ড বাজি জিতে খুশি পাইপার। টাংয়ের টেস্ট অভিষেকের জন্য বন্ধু ফিলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ফোন করে। যদিও অভিষেক টেস্টের প্রথম দিন আইরিশদের বিপক্ষে বল হাতে তেমন কিছু করতে পারেননি ২৫ বছরের টাং। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে আইরিশদের ৩ উইকেট পতনে সবকটিই দখল করেন তিনি।