দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে বিধ্বস্ত বাংলাদেশ
ম্যাচের আগের দিন প্রেস কনফারেন্সে টাইগার দলপতি সাকিব আল হাসান বলেছিলেন, ” আমরা নই; তাঁরাই চাপে থাকবে” বাস্তবিক পক্ষে দক্ষিণ আফ্রিকার উপর কোন চাপ-ই ফেলতে পারেনি বাংলাদেশ। বরং টাইগারদের পেয়ে ছেলে খেলাই করল প্রোটিয়ারা। এক রাইলি রুশো ঝড়ে লণ্ডভণ্ড বাংলাদেশ শিবির। তার সমান রান পর্যন্ত নিতে পারেনি ১১ টাইগার মিলে।
দক্ষিণ আফ্রিকার ৫ উইকেটে ২০৫ রানের জবাবে বাংলাদেশ ১৬.৩ ওভারে ১০১ রানে অলআউট। ফলে মাইটি দক্ষিণ আফ্রিকা ১০৪ রানে ম্যাচ জিতে নিল। এই জয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার ২ ম্যাচে ৩ পয়েন্ট।
এদিন টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন প্রোটিয়া অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা। তিনিই কুইন্টন ডি ককের সঙ্গে ওপেন করতে নেমে ৬ বল খেলে মাত্র ২ রান করেই ফিরে যান। এরপর ডি ককের সঙ্গে জুটি বাঁধেন রাইলি রুশো। এই দুই ব্যাটার স্কোরবোর্ডে যোগ করেন ১৬৮ রান। ডি কক ৩৮ বলে ৬৩ এবং রুশো ৫৬ বলে অতি মানবীয় ১০৯ রানের ইনিংস খেলেন।
তাদের দুইজনের ইনিংসে ভর করে ২০৬ রানের লক্ষ্য দাঁড় করায় দক্ষিণ আফ্রিকা।
দক্ষিণ আফ্রিকার মতো শক্তিশালী দলের বিপক্ষে ২০৬ রানের টার্গেট তাড়া করে জেতা বাংলাদেশের অনুমিত ভাবে কঠিন ছিল। তবে লড়াই করে হারা তো দূরে থাক প্রোটিয়া বোলারদের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি তাঁরা। একমাত্র লিটন দাস ছাড়া বাংলাদেশের আর কোনও ব্যাটার লড়াই করতে পারলেন না।
সৌম্য (১৫) সরকার শুরুতে দুই বলে দুই ছক্কা হাঁকিয়ে কিছুটা আশার সঞ্চার করলেও বাকিরা কেউই বেশিক্ষণ ক্রিজে টিকে থাকতে পারেননি। ফলে পুনঃনির্ধারিত পরাজয় বরণ করতে হল সাকিব বাহিনীর।
দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ১০ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন অ্যানরিখ নরকিয়া। ২০ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন তাবরিজ শামসি। কাগিসো রাবাদা ও কেসভ মহারাজ ১ উইকেট করে নেন।