রিয়াল মাদ্রিদ না লিভারপুল, প্যারিসে কার হাতে উঠবে শিরোপা?
ইউরোপ সেরার মুকুট উঠতে যাচ্ছে কার মাথায়, রিয়াল মাদ্রিদ না লিভারপুল? ইয়ুর্গেন ক্লপ ও কার্লো আনচেলত্তির শিষ্যদের নিয়ে সবচেয়ে বেশি তোলা এই জটিল প্রশ্নের উত্তর মিলতে যাচ্ছে আজ। উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে আজ (শনিবার) রাত ১টায় ইউরোপ সেরার আসন দখলের ম্যাচে মুখোমুখি হবে দুই জায়ান্ট রিয়াল মাদ্রিদ এবং লিভারপুল।
চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদ-লিভারপুল এর আগে আটবার মুখোমুখি হয়েছে। রিয়াল জিতেছে চারবার, লিভারপুলের জয় তিন ম্যাচে।
ফাইনালিস্ট রিয়াল মাদ্রিদ সর্বাধিক ১৩ বার ইউরোপ সেরার ট্রফি জিতেছে- ১৯৫৬, ১৯৫৭, ১৯৫৮, ১৯৫৯, ১৯৬০, ১৯৬৬, ১৯৯৮, ২০০০, ২০০২, ২০১৪, ২০১৬, ২০১৭ ও ২০১৮ সালে। সবশেষ সাতবার ফাইনালে উঠে প্রতিবারই চ্যাম্পিয়ন হয়েছে তারা। আরেক ফাইনালিস্ট লিভারপুলের হাতে শিরোপা উঠেছে ছয়বার- ১৯৭৭, ১৯৭৮, ১৯৮১, ১৯৮৪, ২০০৫ ও ২০১৯ সালে।
কাগজ কলমের শক্তিতে তিন বিভাগে ভারসাম্যপূর্ণ দল হিসেবে এগিয়ে দুইদল। দল দু’টির আক্রমণভাগ যথেষ্ট শক্তিশালী। রিয়াল মাদ্রিদের ফরাসি স্ট্রাইকার করিম বেনজেমা লা লিগায় ২৭ গোল করে সর্বোচ্চ গোলদাতা হিসেবে জিতেছেন পিচিচি অ্যাওয়ার্ড এবং চ্যাম্পিয়নস লিগে দুই হ্যাটট্রিকে ১৫ গোল করেছেন মৌসুমে। তার পাশাপাশি ব্রাজিলিয়ান তরুণ ভিনিসিউস জুনিয়র ও রদ্রিগো ত আছেনই। মাঝমাঠের শক্তি হিসেবে আছেন লুকা মদ্রিচ, টনি ক্রুস, ক্যাসেমিরো, কামাভিঙ্গা, ভালভার্দের মতো খেলোয়াড়রা।
অন্যদিকে, ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে ২৩ গোল করে সর্বোচ্চ গোলদাতা হিসেবে গোল্ডেন বুট জিতেছেন লিভারপুলের মিসরীয় ফরোয়ার্ড মোহাম্মদ সালাহ। সতীর্থদের দিয়ে ১৬ গোল করিয়ে সেরা প্লেমেকারের পুরস্কারটাও তার হাতেই উঠেছে। লিভারপুলের আক্রমণে সালাহর সঙ্গে আক্রমণের ঝড় তুলবেন সাদিও মানে, ফিরমিনো ও লুইজ দিয়াজ। মাঝমাঠে আলো ছড়াতে পারেন থিয়াগো আলকানতারা, হেন্ডারসন, নাবি কেইতা, ফাবিনউর মতো খেলোয়াড়রা।
এ ছাড়া এই মৌসুমে এরই মধ্যে লিগ কাপ ও এফএ কাপ ঘরে তোলার পাশাপাশি প্রিমিয়ার লিগে চরম প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা লিভারপুল আছে দারুণ ছন্দে।
ছন্দে রিয়াল মাদ্রিদও। লা লিগায় পুরো আসর তাদের দুর্দান্ত কেটেছে। এরই মধ্যে শিরোপাও নিশ্চিত করেছেন করিম বেনজেমারা। লিগ শিরোপার পর চ্যাম্পিয়নস লিগের মুকুটের জন্য লড়বে কার্লো আনচেলত্তির দল।